South 24 Parganas: মুড়িগঙ্গার নির্মীয়মাণ নদী বাঁধে ধস, আতঙ্ক নামখানায়
Erosion News: স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রায় ৬ কোটি টাকা খরচ করে মাটি ও বাঁশের খুঁটি দিয়ে এই বাঁধ নির্মাণ করেছিল সেচ দফতর। ২ মাস যেতে না যেতেই প্রায় ১০০ মিটার নদী বাঁধে ধস নামল।
গৌতম মণ্ডল, নামখানা: নামখানায় (Namkhana) নদী বাঁধে ধস। দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানার নারায়ণগঞ্জের মুড়িগঙ্গার নির্মীয়মাণ নদী বাঁধে আচমকাই ধস নামে। বাঁধ নির্মাণের কাজ নিয়ে প্রশ্ন স্থানীয়দের।
আতঙ্ক নামখানায়: স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রায় ৬ কোটি টাকা খরচ করে মাটি ও বাঁশের খুঁটি দিয়ে এই বাঁধ নির্মাণ করেছিল সেচ দফতর। ২ মাস যেতে না যেতেই প্রায় ১০০ মিটার নদী বাঁধে ধস নামল। এক বাসিন্দা সাবিত্রী মাজি বলেন, “দু দিন আগে ধস নেমেছে। আজকে ভোরে পুরো ধস নেমেছে। এরকম করে চলতে থাকলে কী করে হবে। কাজটা তো ভাল করে করতে হবে। এরকম কাজ করে দিয়ে চলে যাবে দু দিন অন্তর ভেঙে যাবে। আমরা বাচ্চা নিয়ে আতঙ্কে থাকব। কী করে চলবে এমন হলে। বাঁশ দিয়ে মেরামত করছে। পেরেক মারছে। কাজটা ভাল মতো হয়নি।’’
এনিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা বলেন, “ইতিমধ্যে সেচ দফতর দ্রুততার সঙ্গে ব্য়বস্থা গ্রহণ করছে। কারণ যখন একটা কাজ হচ্ছে আমাদের সময় দিতে হবে এক বছর। ভাঙন শুরু হলে আমাদের কিছু করার নেই। এই ভাঙনটা কিন্তু সরাসরি ভাঙন নয়। নদীর জলোচ্ছ্বাসে ভাঙন নয়। ঢেউগুলো যে মারছে তার জন্য় ভাঙন হচ্ছে।’’ বিজেপির মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক পলাশ রাণা বলেন, “সারা সুন্দরবন, সাগর থেকে সমস্ত সুন্দরবনের অধীনে যত নদী বাঁধ আছে একটা নদী বাঁধের স্থায়ী সমাধান করছে না। এখানকার সরকার কেন্দ্রীয় সরকারের টাকা নয়ছয় করছে। মৌসুনি দ্বীপে জোয়ার খেলছে গ্রামে। কোনও সুরাহা নেই। আর যেখানে নদী বাঁধ মেরামতি হচ্ছে সেখানে নদীর বুক থেকে মাটি কেটে বাঁধ মেরামত করছে।’’
প্রবল বৃষ্টিতে জলোচ্ছ্বাসের জেরে দুই জেলায় একই দিনে ভাঙল নদী বাঁধ। এদিকে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের সন্দেশখালির রায়মঙ্গল ও বড় কলাগাছি নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হল মনিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আতাপুর ,তালতলা, মণিপুর সহ বেশ কয়েকটি গ্রাম। নদীর জলস্তর বেড়ে গিয়ে আচমকা ভেঙে যায় তিনশো ফুট লম্বা নদী বাঁধ। ওই গ্রামের এক বাসিন্দা লক্ষ্মী মণ্ডল বলেন, “আতঙ্কে আছি সন্তানদের নিয়ে। খুব ভয় পাচ্ছি। জিনিস পত্র, ঘর বাড়ি এসব নিয়ে আতঙ্কে আছি। এটা আমাদের আতাপুর তালতলা। কী করে বোঝাব আমরা কী ভয়ে আছি।’’
নোনা জল ঢুকে বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়ে চাষের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন মৎসজীবীরাও। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন সেচ দফতরের আধিকারিকরা। পাইলিং বসিয়ে বাঁধ মেরামতি করা হয়। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সদস্য় শেখ শাহজাহানের নির্দেশে ঘটনাস্থলে আসেন সন্দেশখালি ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রওফনা ইয়াসমিন মোল্লা, মণিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান প্রসেনজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
আরও পড়ুন: Biswajit Sarkar Update: প্রাণহানির আশঙ্কা! CBI-এর দ্বারস্থ নিহত বিজেপি কর্মীর দাদা