Murshidabad:নদীগর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে বাড়ি থেকে কৃষি জমি, গঙ্গা ভাঙন নিয়ে রাজ্য সরকারের সমালোচনা অধীরের
Adhir Chowdhury: নদী গিলে খাচ্ছে বাড়ি, কৃষি জমি থেকে গাছপালা। সব চলে যাচ্ছে নদীগর্ভে। পুজোর আগে থেকেই মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জে শুরু হয়েছে ভয়াবহ ভাঙন।
রাজীব চৌধুরী, সামসেরগঞ্জ: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সামশেরগঞ্জে গঙ্গা ভাঙন নিয়ে রাজ্য সরকারের সমালোচনায় সরব হলেন অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury)। এদিন ভাঙন-বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি। পাল্টা, ভিত্তিহীন অভিযোগ বলে দাবি করেছে তৃণমূল।
গঙ্গা ভাঙন নিয়ে রাজ্য সরকারের সমালোচনা: নদী গিলে খাচ্ছে বাড়ি, কৃষি জমি থেকে গাছপালা। সব চলে যাচ্ছে নদীগর্ভে। পুজোর আগে থেকেই মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জে শুরু হয়েছে ভয়াবহ ভাঙন। একটু একটু করে এগিয়ে আসছে গঙ্গা। শনিবার, সামশেরগঞ্জের ভাঙন-বিধ্বস্ত এলাকা ঘুরে দেখেন বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ ও লোকসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান অধীর চৌধুরী। ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রী গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়াতকে চিঠি দিয়েছেন তিনি। চিঠির কপি দেওয়া হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যের সেচমন্ত্রীকেও।
সামসেরগঞ্জের ভাঙন-বিপর্যস্ত এলাকা পরিদর্শনের পর রাজ্য সরকারের সমালোচনায় সরব হন অধীর চৌধুরী। অধীর চৌধুরী বলেন, “এখানে টাকা মাটি, মাটি টাকা। এখনকার কন্ডাক্টর কী করবে কাজ নেবে, কাজ করার পর সে ভাগ দেবে, তৃণমূল নেতারা ভাগ খাবে, প্রশাসন ভাগ খাবে, দিয়ে কী করবে, ভাগের মা গঙ্গায় যাবে। টাকা বরাদ্দ হচ্ছে, টাকা চুরি হচ্ছে, মানুষের ভাঙন চলছে। মানুষের জীবন শেষ হচ্ছে। কারও কোন মাথা ব্যাথা নেই। কেন্দ্র সরকারের কাছে কিছু বলতে গেলে একটাই কথা বলে শুনে আমাদের লজ্জা হয়, রাজ্য যদি কিছু দাবি না করে, আমরা কী করে দেব।’’ বিজেপির মুর্শিদাবাদ উত্তর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ধনঞ্জয় ঘোষ বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার টাকা দিচ্ছে, রাজ্য সরকার ঠিকভাবে খরচ করছে না। অধীর বাবু কী করেছেন, অধীর বাবুর এই সব কথা মানায় না। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন তাই অধীর বাবু দু-একটা পঞ্চায়েতে হাওয়া দিতে এসেছেন।’’
সামশেরগঞ্জে নদী ভাঙনে নিয়ে রাজ্যের সমালোচনা কংগ্রেস-বিজেপির। জবাব দিয়েছে তৃণমূল। তৃণমূলের জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি খলিলুর রহমান বলেন, “অধীরবাবু যেটা বলছেন, সেটা ভিত্তিহীন। কারণ ২০০৪ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত অধীর চৌধুরীর সরকার ছিল তাঁর ফলে তাঁদের সেই সময় কিছু মনে পড়েনি। রাজ্য সরকার কেন্দ্র সরকারের কাছে চিঠি পাঠাচ্ছে, আর গঙ্গা ভাঙনের ক্ষতিপূরণ থেকে পুনর্বাসনের জন্য সবটাই কেন্দ্র সরকারকে জানাচ্ছে। কেন্দ্র সরকারের বাংলার প্রতি বঞ্চনা লক্ষ্য করছি।’’ ভাঙন-রোধে কবে স্থায়ী সমাধান হবে? রাজনৈতিক তরজার মধ্যেই বারবার এই প্রশ্ন তুলছেন দুর্গতরা।
আরও পড়ুন: DA: মেলা-খেলায় টাকা ব্যয়, সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ নয় কেন? রাজ্যকে কটাক্ষ বিরোধীদের