BJP : মুর্শিদাবাদ জেলাকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার দাবি,প্রধানমন্ত্রী-রাজ্যপালকে চিঠি বিজেপি বিধায়কের
Murshidabad: গৌরীশঙ্কর ঘোষের কথায়, অখণ্ড বাংলা, বিহার ও ওড়িশার একসময় রাজধানী ছিল মুর্শিদাবাদ। বাংলার প্রথম নবাব মুর্শিদকুলি খাঁ-র নাম অনুসারে মুকসুদাবাদ থেকে পরে নাম পরিবর্তন হয়ে হয়েছিল মুর্শিদাবাদ।
উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, কলকাতা : মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলাকে বিভক্ত না করে অখণ্ড মুর্শিদাবাদ হিসেবে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী, রাজ্যপালকে চিঠি দিলেন মুর্শিদাবাদের বিজেপি বিধায়ক গোরীশঙ্কর ঘোষ। তাঁর অভিযোগ, ‘মুর্শিদাবাদ জেলাকে ভেঙে ইতিহাস বদলে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে’। বিজেপি বিধায়কের যে চিঠি ঘিরে শুরু হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক তরজা।
গতকাল নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যে নতুন সাতটি জেলা ভাগ করার কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তাঁর কথা অনুযায়ী, মুর্শিদাবাদ থেকে ভেঙে আরও দুটি নতুন জেলা বহরমপুর ও কান্দি তৈরি হবে আগামী ৬ মাসের মধ্যে। আর মুখ্যমন্ত্রীর যে বক্তব্যের ঠিক পরের দিনই প্রতিবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দিয়ে অখণ্ড মুর্শিদাবাদ রেখে সেটিকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল (Union Territory) করার দাবি জানিয়েছেন বিজেপি (BJP) বিধায়ক। গৌরীশঙ্কর ঘোষের কথায়, অখণ্ড বাংলা, বিহার ও ওড়িশার একসময় রাজধানী ছিল মুর্শিদাবাদ। বাংলার প্রথম নবাব মুর্শিদকুলি খাঁ-র নাম অনুসারে মুকসুদাবাদ থেকে পরে নাম পরিবর্তন হয়ে হয়েছিল মুর্শিদাবাদ। নাম বদলে আখেরে মুর্শিদাবাদ জেলার ইতিহাস বদলে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।
বিজেপির যে বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে তৃণমূল (TMC) শিবির। যদিও জেলা-ভাগ ঘিরে আপত্তি না জানালেও নামবদল নিয়ে উষ্ণা প্রকাশ করেছে কংগ্রেস। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বহরমপুরের সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরীর (Adhir Ranjan Chowdhury) কথায়, 'প্রশাসনিক কাজে সুবিধার জন্য জেলা ভাগে আপত্তি নেই। পশ্চিমবঙ্গে ইতিহাসে আগেও তেমনটা হয়েছে। কিন্তু নাম বদল হলে তাঁর প্রতিবাদ গোটা মুর্শিদাবাদ জেলার মানুষ প্রতিবাদ করবেন। মুর্শিদাবাদ ভাগ করে উত্তর, পশ্চিম, দক্ষিণ মুর্শিদাবাদ করলে কোনও সমস্যা নেই।'
এদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন (Shantanu Sen) বলেছেন, 'যে দল দেশের ইতিহাস, সংসদীয় কাঠামো রোজ ভেঙে দিচ্ছে। বদলে দিচ্ছে অশোক স্তম্ভ, তাদের সদস্যদের মুখে এমন কথা সাজে না। আসলে গেরুয়া শিবিরের লক্ষ্য ক্ষমতা কুক্ষিগত করা। প্রশাসনিকভাবে আরও ভাল কাজ করার জন্য জেলা ভাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। যে দলের স্থানীয় নেতারা রাজ্যভাগের কথা রোজ বলেন, তাদের উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব-র কী বক্তব্য এই বিষয়ে সেটা জানার পরই বাকি কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া সম্ভব।'
আরও পড়ুন-স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে কলকাতার একাধিক জায়গায় ইডি-র তল্লাশি অভিযান