Murshidabad News: মুর্শিদাবাদে শ্যুটআউট, গুলিবিদ্ধ TMC কর্মী !
Murshidabad TMC Shoot Out Case: হরিহরপাড়ায় তৃণমূলকর্মীর উপরে দুষ্কৃতী হামলার অভিযোগ

মুর্শিদাবাদ: মুর্শিদাবাদে শ্যুটআউট, গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মী। হরিহরপাড়ায় তৃণমূলকর্মীর উপরে দুষ্কৃতী হামলার অভিযোগ। পরপর ২ রাউন্ড গুলি ছোঁড়া হয়েছে বলে খবর। ইতিমধ্যেই মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে রেফার করা হয়েছে। ২ কংগ্রেস কর্মীর বিরুদ্ধে পুরনো শত্রুতার জেরে হামলার অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন, 'টাকা আপনার বেঁচেছে, গাল খেয়েছে মোদি..' ! বললেন প্রধানমন্ত্রী
রাজ্যে এর আগেও ভুরি ভুরি রাজনৈতিক খুনের উদাহরণ রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম মালদার তৃণমূল নেতা দুলাল সরকার খুন। দীর্ঘদিন ধরে রেকির পর, পরিকল্পনামাফিক মালদার জেলা তৃণমূল সহ সভাপতি দুলাল সরকারকে খুন করে সুপারি কিলাররা! তদন্তে নেমে এমনটাই দাবি করছিল পুলিশ। কিন্তু মূল প্রশ্ন হল, তৃণমূল নেতাকে খুনের সুপারি দিল কারা? কী কারণে খুন? মালদায় তৃণমূল নেতা দুলাল সরকার খুনেও সামনে এসেছিল বিহার যোগ। বিহার থেকে গ্রেফতার করা হল সুপারি কিলারকে। এই নিয়ে একাধিক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ইংরেজবাজারে তৃণমূল নেতাকে খুনের পর, মানিকচক হয়ে বিহারে পালিয়ে যাওয়ার ছক কষেছিল দুষ্কৃতীরা। ১ জন বিহারে পালিয়ে যেতে পারলেও, পালানোর সময়ই ২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী বলেন, এই সমস্ত খুনের পিছনে প্রোমোটাররাজ আছে। আপনি ঘরের মধ্য়ে খুঁজুন, বাইরে খুঁজে লাভ নেই। বিহার থেকে, ঝাড়খণ্ড থেকে টাকা না দিলে কেউ আসে না। টাকা দেওয়ার ক্ষমতা কাদের আছে? পশ্চিমবঙ্গের যারা তৃণমূলের বড় বড় কর্তা, বড় বড় মাফিয়া, নোট খরচ করার ক্ষমতা তাদের আছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মালদার তৃণমূল নেতাকে খুনের ব্লু প্রিন্ট তৈরি করা হয়েছিল অনেকদিন আগে থেকেই। প্রায় ১৫ দিনেরও বেশি সময় ধরে মালদায় ঘাঁটি গেড়েছিল সুপারি কিলাররা। ক্রিসমাস কার্নিভাল চলাকালীনই তাঁকে খুনের পরিকল্পনা করা হয়। কিন্তু কার্নিভালে বহু মানুষের জমায়েতের কারণে ভেস্তে যায় খুনের ছক। তৃণমূল নেতার প্রত্যেক মুহূর্তের গতিবিধি রেকি করতে থাকে দুষ্কৃতীরা।
তিনি কোথায় যান? কখন যান? পুরোটাই নখদর্পণে চলে এসেছিল সুপারি কিলারদের। প্রতিদিন মহানন্দা পল্লির বাড়ি থেকে বেরিয়ে কানির মোড়ে নিজের কার্যালয়ে যেতেন দুলাল সরকার।এরপর সেখান থেকে যেতেন মহানন্দা পল্লিতে তাঁর পাইপ ফ্যাক্টরিতে। সেখান থেকে ফিরে আসতেন কানির মোড়ে নিজের কার্যালয়ে। আর দিনের মধ্যে একমাত্র এই সময়টাই একা থাকতেন দুলাল সরকার।
কখনও নিজে স্কুটি চালিয়ে যেতেন, কখনও আবার যাতায়াত করতেন নিজের গাড়িতে। সঙ্গে থাকতেন গাড়ির চালক। আর তৃণমূল নেতার দৈনন্দিন এই রুটিন কার্যত জলের মতো মুখস্থ হয়ে গেছিল সুপারি কিলারদের কাছে। বৃহস্পতিবার সকালে এই সুযোগটাই নেয় দুষ্কৃতীরা। দৌড়ে পালিয়ে দোকানের ভিতর ঢুকে প্রাণে বাঁচার চেষ্টা করেন তৃণমূল নেতা দুলাল সরকার। তাঁকে ধাওয়া করে দোকানে ঢুকে পড়ে দুষ্কৃতীরাও। মৃত্যু নিশ্চিত করতে, তৃণমূল নেতার মাথায় গুলি করা হয়। আর এরপরই প্রশ্ন উঠছে, ২ সপ্তাহ ধরে এলাকায় সুপারি কিলার ঘোরাঘুরি করলেও, কোনও খবরই পেল না পুলিশ!
(খবরটি সম্প্রতি ব্রেক করা হয়েছে। বিস্তারিত কিছুক্ষণ পরই দেওয়া হচ্ছে। একটু পরে রিফ্রেশ করুন। জেলা থেকে শহর, দেশ, বিদেশ, বিনোদন থেকে খেলা, বিজ্ঞান থেকে প্রযুক্তি সহ অন্যান্য সমস্ত খবরের আপডেটের জন্য দেখতে থাকুন এবিপি আনন্দ ও এবিপি লাইভ)






















