Domkal : ডোমকলে সপুত্র 'আক্রান্ত' তৃণমূল নেতা, গ্রেফতার দলীয় বিধায়ক-ঘনিষ্ঠ ওয়ার্ড সভাপতি
TMC Leader Attacked ? রবিবার, ডোমকল পুরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর প্রদীপ চাকী ও তাঁর ছেলের উপর হামলা হয়
রাজীব চৌধুরী, অনির্বাণ বাগচী ও আশিস বাগচী, ডোমকল : ডোমকলে তৃণমূল নেতা (TMC Leader) ও তাঁর ছেলেকে মারধরের ঘটনায় ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে তৃণমূলের কোন্দল। এবার দলীয় নেতার উপর হামলার ঘটনায় গ্রেফতার হলেন ওয়ার্ডের তৃণমূল সভাপতি। যিনি আবার বিধায়কের (MLA) ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত।
মুর্শিদাবাদে গিয়ে নদিয়ার তৃণমূল নেতা খুনের পর ডোমকল পুরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যানের উপর হামলার ঘটনা। একের পর ঘটনায় বারবার সামনে চলে আসছে তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব ! এবার সেই আগুনেই যেন ঘি পড়ল ! ডোমকলে তৃণমূল নেতার উপর হামলার ঘটনায় গ্রেফতার হলেন তৃণমূলেরই ওয়ার্ড সভাপতি।
আক্রান্ত তৃণমূল, ধৃত তৃণমূল-
এরই মধ্যে সামনে এসেছে রবিবারের হামলার CCTV ফুটেজ। রবিবার, ডোমকল পুরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর প্রদীপ চাকী ও তাঁর ছেলের উপর হামলা হয়। CCTV ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, লাঠি হাতে বেশ কয়েকজন চড়াও হন তৃণমূল নেতার ছেলের রেস্তোরাঁয়। ব্যাপক ভাঙচুরের পর, মারধর করা হয় নেতার ছেলে শিলাদিত্যকে। অভিযোগ, এরপরই একটি ঘরের ভিতরে ঢুকে মারধর করা হয় প্রদীপ চাকীকে। যদিও CCTV ক্যামেরায় ধরা পড়েনি তাঁকে মারধরের ছবি।
ঘটনায় ১১জনের বিরুদ্ধে FIR দায়ের করেছিলেন আক্রান্ত তৃণমূল নেতার পরিবার। তাতে নাম রয়েছে, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল সভাপতি মকবুল শেখের। যিনি ডোমকলের তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। রবিবার রাতে তাঁকেই গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতার হয়েছেন আনোয়ার রফিক নামে আরও একজন। আক্রান্ত তৃণমূল নেতার ছেলে শিলাদিত্য চাকী বলেন, প্রাথমিকভাবে একটা FIR করেছিলাম, ঋজু পাল-সহ আরও কয়েকজনের নামে। তাঁকে আমি নিজে দেখেছিলাম।
যদিও ধৃত তৃণমূল নেতা মকবুল শেখ বলছেন, আমি কিছুই জানি না। বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে এসেছে।
সম্প্রতি মুর্শিদাবাদের নওদায় ছেলের সঙ্গে দেখা করে ফেরার পথে খুন হন নদিয়ার তৃণমূল নেতা মতিরুল ইসলাম। যা নিয়ে দলেরই বিধায়ক ও জেলা পরিষদ সদস্যের আকচাআকচি চরমে পৌঁছেছে। এই ঘটনায় যাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ, তিনিও এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসেবেই পরিচিত বলে স্থানীয়দের দাবি। আর রাজনৈতিক কারণেই যে স্বামীকে খুন হতে হয়েছে, এদিন ফের সেই দাবি করেন নিহত তৃণমূল নেতার স্ত্রী। যিনি নিজেও তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান।
মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করে, বাকি অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানান, নিহত তৃণমূল নেতার স্ত্রী।