Murshidabad Murder: মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে বচসা! গুলি করে, কুপিয়ে খুন ব্যক্তিকে
গুরুতর জখম আরও ৫ জন। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায়, তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মুর্শিদাবাদ: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে বড়ঞার তৃণমূল বিধায়কের গ্রেফতার নিয়ে উত্তেজনার মধ্যেই মুর্শিদাবাদের সাগরপাড়া থানা এলাকায় শ্যুটআউট। মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে বচসার জেরে গুলি করে, কুপিয়ে খুন করা হল এক ব্যক্তিকে। গুরুতর জখম আরও ৫ জন। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায়, তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযোগ, গতকাল রাতে সাগরপাড়ার খয়রামারি বিলে মাছ ধরেছিলেন মৃতের ছেলে। অভিযুক্তরা ওই বিলে মাছ চাষ করেছিলেন। অভিযোগ, এই নিয়ে বচসার জেরেই আজ ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ বন্দুক, ধারাল অস্ত্র নিয়ে ওই পরিবারের ওপর চড়াও হন তাঁরা। গুলি করে, কুপিয়ে খুন করা হয় বছর ঊনষাটের সুন্নত শেখকে। অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে।
নিহতের নাম, সুন্নত শেখ (৫৯)। তাঁর পরিবারের দাবি, রবিবার রাতে খয়রামারির চাইপাড়ায়, বিলে মাছ ধরেছিলেন নিহতের ছেলে। অভিযোগ, মাছ ধরে ফিরে আসার পথে তাঁর পথ আটকান স্থানীয় কয়েকজন। বিলের বদলে তাঁদের পুকুর থেকে মাছ ধরার অভিযোগে, সুন্নত শেখের ছেলের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। তখনকার মতো বিবাদ মিটে গেলেও সোমবার ভোরে পরিস্থিতি ফের ঘোরাল হয়ে ওঠে। পরিবারের অভিযোগ, সুন্নত শেখের পরিবারের লোকজন মসজিদ থেকে নমাজ পড়ে ফেরার পথে, তাঁদের উপর চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানোর পাশাপাশি, গুলি করে খুন করা হয় ৫৯ বছরের সুন্নত শেখকে। জখম হয়েছেন তাঁর পরিবারের আরও চারজন সদস্য। যদিও খুনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্তের পরিবার। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। তবে সামান্য মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে, বিবাদ যেভাবে খুনোখুনি পর্যন্ত গড়াল, তাতে রীতিমতো আতঙ্কে রয়েছেন এলাকাবাসী।
আরও পড়ুন- উদ্ধার জীবনের 'নিখোঁজ' দ্বিতীয় মোবাইল, মিলবে 'বিস্ফোরক' তথ্য়?
এদিকে, উত্তরপ্রদেশের (Uttarpradesh) প্রয়াগরাজে (Prayagraj) আতিক-খুনে ঘটনার পর এবার শ্যুটআউটের (Shootout) ঘটনা ঘটল। ঘরের মধ্যে ঢুকেই ঘুমন্ত যুবককে গুলি। যুবকের আর্তনাদে ছুটে আসে পরিবারের লোকজন। আশঙ্কা জনক অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরে। রবিবার রাত দুটো নাগাদ হঠাৎই গুলি শব্দ, তারপরেই বাড়ির ছেলে জাহির লস্করের আর্তনাদ। ঘরে গিয়ে পরিবারের লোকজন দেখে, জাহির লস্করের ডান দিকের বুকের পাজরে গুলি লেগেছে। ঘুমন্ত জাহিরকে গুলি করে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। তড়িঘড়ি অবস্থায় তাঁকে নিয়ে আসা হয় বারুইপুর মহাকুমা হাসপাতালে। সেখান থেকে তাকে কলকাতা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে স্থানান্তরিত করে চিকিৎসকরা।