Teacher Arrest : কেউ পড়াতেন ক্লাস ওয়ানে, কেউ ক্লাস টু, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত চার অযোগ্য শিক্ষকের সহকর্মী থেকে পরিবার, কী বলছেন ?
Recruitment Scam : দেখা যাচ্ছে, ২০০২ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় সেকেন্ড ডিভিশনে পাস করেন সায়গর। টেনে টুনে পাস উচ্চ মাধ্যমিকে।
পার্থপ্রতিম ঘোষ ও অনির্বাণ বিশ্বাস, মুর্শিদাবাদ : কেউ ক্লাস ওয়ানের বাচ্চাদের পড়াতেন তো কেউ ক্লাস টুয়ের। কী বলছেন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত চার অযোগ্য শিক্ষকের স্কুলের প্রধান শিক্ষক থেকে অন্যান্য শিক্ষকরা ? কী বলছে পরিবার ?
নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় প্রথমবার আদালতের নির্দেশে চার জন অযোগ্য শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে CBI। চার্জশিটে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, এরা প্রত্যেকেই ঘুষ দিয়ে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি কিনেছিলেন। এবিপি আনন্দের অন্তর্তদন্তে উঠে এল আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। ধৃত চারজনের মধ্যে দু নম্বরে নাম রয়েছে, সায়গর হোসেনের। নবগ্রাম থানার শিলগ্রামের বাসিন্দা সায়গর ২০১৮ সালে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরিতে যোগ দেন সিঙ্গার পশ্চিমপাড়া প্রাথমিক স্কুলে। দেখা যাচ্ছে, ২০০২ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় সেকেন্ড ডিভিশনে পাস করেন সায়গর।
তবে ২০০৪-এর বদলে ২০০৬ সালে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেন তিনি। ২০০ নম্বরের প্রত্যেক বিষয়ের পরীক্ষায় কোনওটিতেই তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছতে পারেননি তিনি। যাকে বলে কোনওরকমে পাস। এর ছ বছর বাদে, ২০১২ সালে নেতাজি ওপেন ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক হন তিনি। তবে সেবারও সেকেন্ড ডিভিশন। কিন্তু, এরপরই হঠাৎ করে ঘুরতে থাকে কপাল, পাল্টাতে শুরু করে নম্বর! ২০০৬ সালের স্পেশাল প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিংয়ের পরীক্ষা ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে দেন সায়গর। সেখানে ৬০ শতাংশের ওপরে নম্বর পান। এ হেন সায়গর হোসেনই এতদিন ধরে ক্লাস টুয়ের বাচ্চাদের পড়াতেন।
সিঙ্গার পশ্চিমপাড়া প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক অপূর্বকুমার মার্জিত বলেন, 'শনিবার পর্যন্ত ক্লাস করেছে। কাল ছুটি নিয়েছিল কলকাতায় যাবে। ৬ জানুয়ারি ২০১৮-তে জয়েন করে। ক্লাস টুর ক্লাস নিত। তাই আর কী দেখব। অবাক লাগলেও আমার কিছু করার নেই।' সায়গর হোসেনের মা বলেছেন, কী করে, কী করত বলতে পারব না। টাকা কী দিয়েছে, বলতে পারব না। নিজের যোগ্যতায় পেয়েছে।
মুর্শিদাবাদের ইকরোল কুসুমকামিনী প্রাইমারি সকুলে শিক্ষকতা করছিলেন সোমবার গ্রেফতার হওয়া জাহিরুদ্দিন শেখ। শনিবার পর্যন্তও স্কুলে এসেছিলেন জাহিরাদ্দিন। নবগ্রামের পূর্ব তিলিপাড়ার বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল, ভিতরে লোক রয়েছে। তবে ডাকলেও সাড়াশব্দ দিচ্ছেন না কেউ।
মুর্শিদাবাদের খোজারডাঙ্গা প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক সীমার হোসেন। মাটির বাড়িতে থাকেন তিনি। ২০১৮-র জানুয়ারিতে, খোজারডাঙ্গা প্রাইমারি স্কুলে যোগ দিয়েছিলেন। প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর ধরে চাকরি করছিলেন। শনিবার পর্যন্ত স্কুলে এসেছিলেন। নবগ্রাম থানার সাঙ্কুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা সৌগত মণ্ডল শিক্ষকতা করতেন মাধুনিয়া প্রাইমারি স্কুলে।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার বাঁকুড়ার ৭ জন শিক্ষককে তলব করেছে CBI। সবার কৌতূহল কী হবে এবার।
আরও পড়ুন- খাতায়-কলমে পরাজিত, কিন্তু দলের চোখে জয়ী ! ভোটে হারা ১৬ প্রার্থীকে সম্বর্ধনা সিপিএমের
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন