Murshidabad News: 'এখন সান্ত্বনা দিতে..' ? সামশেরগঞ্জে বাবা-ছেলে খুনে নিহতদের বাড়িতে যেতেই কটু কথা শুনতে হল TMC-র প্রতিনিধি দলকে !
TMC Delegation Samserganj Victims House : সামশেরগঞ্জে খুন বাবা-ছেলে, নিহতদের বাড়িতে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল, তারপর যা হল !

মুর্শিদাবাদ: সামশেরগঞ্জে খুন বাবা-ছেলে, নিহতদের বাড়িতে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। তৃণমূলের সাংসদ, বিধায়কের সামনে BSF ক্যাম্পের দাবিতে সরব নিহতের পরিবার। স্পষ্ট জানালেন, 'রাজনীতির বলি হলেন পরিবারের ২ জন। হামলার সময়ে কেউ আসেননি, এখন সান্ত্বনা দিতে এসেছেন। আমরা সরকারের সাহায্য় নেব না। মিথ্যা বলছেন তৃণমূল সাংসদ-বিধায়ক', সরব নিহতের পরিবার।
আরও পড়ুন, 'ভোটব্যাঙ্কের জন্য ঘৃণার বিষ ছড়াচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী..' ! মুর্শিদাবাদ কাণ্ডে গুরুতর অভিযোগ শুভেন্দুর
ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদের নামে উন্মত্ত বিক্ষোভকারীদের হিংসার বলি হতে হয়েছে ধুলিয়ানের জাফরাবাদের বাসিন্দা বাবা-ছেলেকে। বাড়ি থেকে হিড়হিড় করে টেনে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে থেঁতলে নৃশংসভাবে খুন করা হয় সত্তর বছরের হরগোবিন্দ দাস এবংতাঁর ছেলে চন্দন দাসকে (৪০)। সেই জোড়া হত্যাকাণ্ডের ৫ দিনের মাথায়,মুর্শিদাবাদেরই সুতি থেকে গ্রেফতার করা হল মূল চক্রীকে। জাফরাবাদের বাসিন্দা ধৃত ইনজামুল হকই হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।
ADG (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার বলেন, সারা রাত ধরে অভিযান চালিয়ে, আরও একজনকে আমরা গ্রেফতার করেছি। রাজ্য পুলিশের STF তাঁকে গ্রেফতার করেছে সুতি থানা এলাকা থেকে। যার নাম ইনজামুল হক এবং বাড়ি জাফরাবাদে যেখানে খুনটি হয়েছিল, তার সংলগ্ন এলাকা শুলিপাড়া। সেই শুলিপাড়ার বাসিন্দা। এর আগে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে হত্যাকাণ্ডের ৩ দিন পর,সুতির বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় দিলদার নাদাবকে। বীরভূমের মুরারই থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় তার ভাই কালু নাদাবকে। এবার পুলিশের জালে আরও এক।
ADG দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার বলেন, তদন্তে আমরা জানতে পেরেছি, যে সেদিন যে নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটে , তার যারা পরিকল্পনা করেছিল এবং প্রত্যক্ষভাবে ঘটনায়, এই হত্যাকাণ্ডে নেতৃত্ব দিয়েছিল, তার অন্যতম হচ্ছে এই ইনজামুল। শুধু নেতৃত্ব দেওয়াই নয়, যাতে তথ্য প্রমাণ পুলিশের হাতে না থাকে, যাতে সিসিটিভি ফুটেজ না পাওয়া যায়, তাই জন্য এলাকার এবং বাড়ি সংলগ্ন যেখানে যা সিসিটিভি ফুটেজ ছিল, তার বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা এবং সেটাকে নষ্ট করায় নেতৃত্ব দিয়েছিল এই ইনজামুল।
যদিও, পুলিশি তদন্তে আস্থা রাখতে পারছে না নিহতদের পরিবার। নিহত হরগোবিন্দ দাসের জামাই বিশ্বজিৎ দাস বলেন, 'এনআই দরকার। পুলিশ যদি সাপোর্ট করত তাহলে দুটো প্রাণ যেত না।'তৃণমূলের তরফে যখন বারবার অভিযোগ করা হচ্ছে বাংলাদেশ থেকে লোক ঢুকিয়ে অশান্তি ঘটানো হয়েছে, তখন বিরোধীদের পাল্টা প্রশ্ন, যদি বাংলাদেশিরাই এই কাণ্ড ঘটিয়ে থাকে, তাহলে ধৃতদের মধ্য়ে কজন বাংলাদেশী আছে? বৃহস্পতিবার ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা জাফরাবাদে যান।






















