Nusrat Jahan: নিম্ন আদালতে সশরীরে হাজিরা দিতেই হবে, ফ্ল্যাট প্রতারণাকাণ্ডে 'ধাক্কা' নুসরতের
Nusrat Jahan Update: নিম্ন আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে আলিপুর জজ কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নুসরত। সেই মামলাতেই 'ধাক্কা' খেলেন নুসরত জাহান।
প্রকাশ সিনহা, কলকাতা: ফ্ল্যাট প্রতারণাকাণ্ডে (Flat Selling Scam) আদালতে 'ধাক্কা' অভিনেত্রী (actress) ও তৃণমূল সাংসদ (TMC MP) নুসরত জাহানের (Nusrat Jahan)। নিম্ন আদালতে তাঁকে সশরীরে হাজিরা দিতেই হবে, নির্দেশ আলিপুর জজ কোর্টের।
আদালতে 'ধাক্কা' অভিনেত্রী সাংসদ নুসরত জাহানের
নিম্ন আদালতে সশরীরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে আলিপুর জজ কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ফ্ল্যাট প্রতারণাকাণ্ডে অভিযুক্ত অভিনেত্রী সাংসদ নুসরত জাহান। সেই মামলাতেই 'ধাক্কা' খেলেন নুসরত। শুরুতে অন্তত একবার এসে আদালতে হাজিরা দিতে বলেছিল নিম্ন আদালত। সেই নির্দেশে কোনও ভুল নেই, জানিয়ে দিল আলিপুর জজ কোর্ট।
গত অগাস্ট নাগাদ, ফ্ল্যাট দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ ওঠে নুসরত জাহানের বিরুদ্ধে যদিও সেই খারিজ করেন অভিনেত্রী। প্রায় ১০ বছর আগের প্রতারণা মামলায় নাম উঠে আসে নুসরতের। এই মামলায় নিম্ন আদালতের নির্দেশ ছিল যে সশরীরে নুসরত জাহানকে হাজির দিতে হবে এবং কোর্টে এসে বন্ড জমা দিতে হবে। নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল যে প্রত্যেক শুনানিতে তাঁর না এলেও চলবে, কিন্তু অন্তত শুরুর দিকে এসে শারীরিকভাবে উপস্থিত থেকে বন্ড জমা দিতে হবে। সেই নির্দেশকেই চ্যালেঞ্জ করে নুসরত জাহান আলিপুর জজ কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। আদালতে গিয়ে সশরীরে উপস্থিত থাকতে পারবেন না বলে জানিয়েছিলেন অভিনেত্রী সাংসদ। দীর্ঘদিন শুনানির পর গতকাল আলিপুর জজ কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, যে নিম্ন আদালতের নির্দেশ মানতেই হবে। অর্থাৎ নুসরত জাহানকে অন্তত শুরুতে একবার কোর্টে গিয়ে সশরীরে হাজির দিতেই হবে ও বন্ড জমা দিতে হবে।
আরও পড়ুন: Shooting Strike: টালিগঞ্জের টেকনিশিয়ানদের একাংশের ডাকে কর্মবিরতি, থমকে গেল শ্যুটিং
অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন এবং বর্তমান কর্মীদের যে সংগঠন রয়েছে, তাদের সঙ্গে সিক্সথ সেন্স ইনফ্র্যাস্ট্রাকচার নামের একটি সংস্থার চুক্তি হয়। ওই চুক্তির আওতায় ব্যাঙ্কের প্রাক্তন এবং বর্তমান মিলিয়ে মোট ৪২৯ জন কর্মীকে ৫ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা করে দিতে বলা হয়। ঠিক হয়, ইকোপার্কের উল্টো দিকে রাজারহাটে ৫০০ কাঠা জমি কেনা হবে। সেখানে ওই টাকার বিনিময়ে ব্য়াঙ্কের প্রাক্তন এবং বর্তমান কর্মীরা ফ্ল্যাট পাবেন। কিন্তু বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ, তাঁরা যে অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করেছিলেন, পরে সেই অ্যাকাউন্টের টাকা দিয়ে পাম অ্যাভিনিউয়ে একটি ফ্ল্যাট কেনা হয়। অভিযোগ, সেই ফ্ল্যাটটি কেনেন নুসরতই। শুধু তাই নয়, সিক্সথ সেন্স ইনফ্র্যাস্ট্রাকচার সংস্থার ডিরেক্টরও ছিলেন নুসরত, এমনও দাবি সামনে এসেছে। বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ, নুসরত এবং রাকেশ সিংহ নামের এক ব্যক্তি সংস্থার ডিরেক্টর ছিলেন। রাকেশ সেই সময় পি-১৬ গড়িয়াহাট ইস্টের যে ঠিকানা দিয়েছিলেন, সেখানে গেলে বাড়ির মালিক জানান সিনেমা প্রযোজনা সংস্থার জন্য কিছুদিনের জন্য বাড়িটি ভাড়া নেওয়া হয়।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।