Nabanna Abhijan : হকের দাবিতে নবান্ন চলো, দু-মানুষ সমান উঁচু ব্যারিকেড, রাস্তাতেই বসে পড়লেন আন্দোলনকারীরা
নবান্নর পথে বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থী, চাকরিজীবী, চাকরিহারা ঐক্য মঞ্চ ও সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। ব্যারিকেড দিয়ে মিছিল আটকাল পুলিশ, রাস্তায় বসে আন্দোলনকারীরা।

অর্ণব মুখোপাধ্যায় , পার্থপ্রতিম ঘোষ, ঐশী মুখোপাধ্যায়, হাওড়া: বঞ্চিত চাকরি প্রার্থী, চাকরিজীবী ও চাকরিহারা ঐক্য মঞ্চ ও সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ডাকে নবান্ন চলো অভিযান ঘিরে পারদ চড়ছে হাওড়ায়। যোগ্য চাকরিহারাদের চাকরি ফেরানো, শূন্য পদে নিয়োগ, বকেয়া ডিএ সহ বিভিন্ন ইস্য়ুতে সোমবারে নবান্ন অভিযানে পুলিশের অনুমতি ছিল না। কিন্তু হকের দাবিতে নবান্ন অভিযানে অনড় আন্দোলনকারীরা। হাওড়া স্টেশনের ৯ নম্বর প্ল্যাটফর্মে জড়ো হন আন্দোলনকারীরা। সেখান থেকে ওন্ড ক্যাব ওয়ে রোড ধরে স্টেশন থেকে বেরিয়ে আসেন তাঁরা। রেল মিউজিয়ামের সামনের রাস্তা দিয়ে এরপরে তেলকল ঘাটের কাছে পৌঁছোন আন্দোলনকারীরা।
অভিযান রুখতে সকাল থেকেই দুর্গের চেহারা নিয়েছে হাওড়া। দিকে দিকে পুলিশের ব্যারিকেড। এক-একটি ব্যারিকেডের উচ্চতা দুই মানুষ সমান। কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে আশেপাশের এলাকা। নবান্নমুখী রাস্তাগুলিতে রয়েছে পুলিশি প্রহরা। হাওড়ার ফোরশোর রোডে তারের জালি আটকানো প্রায় দু’মানুষ সমান উঁচু ব্যারিকেড লাগানো হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে জলকামান। নামানো হয়েছে র্যাফ। অন্যদিকে লক্ষ্যে পৌঁছতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ আন্দোলনকারীরা। বেলা একটু গড়াতেই প্ল্যাকার্ড, পোস্টার, প্রতীকী নবান্ন হাতে নিয়ে হাওড়া থেকে যাত্রা শুরু করে বিরাট মিছিল। ফোরশোর রোডের দিকে এগোতেই মিছিল আটকায় পুলিশ। তখন রাস্তাতেই বসে পড়েন আন্দোলনকারীরা।
পুলিশের সঙ্গে কথাও হয় সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের প্রতিনিধিদের। কিন্তু তাতে সমাধান সূত্র মেলেনি বলেই ইঙ্গিত। তারপরই রাস্তায় বসে পড়েন তাঁরা। তাঁদের স্পষ্ট বার্তা, তাঁরা এখানেই থাকবেন। কোথাও যাবেন না। পথেই আন্দোলন করে এসেছেন, পথেই থাকবেন, কোনও ধৈর্যচ্যুতি তাঁদের হবে না।
অন্যদিকে আদালতের নির্দেশের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে সকাল থেকেই মাইকিং করছে পুলিশ। পুলিশের তরফে বলা হয়, এই মিছিলের কিন্তু অনুমতি নেই। যে কোনও মুহূর্তে এই মিছিলকে তারা নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে পারে। ২৮ জুলাইয়ের নবান্ন অভিযান আটকাতে আগেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল মঙ্গলাহাট ব্যবসায়ী সমিতি। তাঁদের অভিযোগ ছিল নবান্ন অভিযানের ফলে ব্যবসায় ক্ষতি হচ্ছে। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে এই মামলা হয়। শুক্রবার সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ নির্দেশে বলেন, যেহেতু পুলিশ অনুমতি দেয়নি, তাই ২৮ জুলাই অর্থাৎ সোমবার কোনও জমায়েত করা যাবে না। নির্দেশ না মানলে, আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করতে পারবে পুলিশ। সেই কথাই ঘোষণা করা হয় পুলিশের তরফে।





















