Nadia: প্রবল বেগে জল ঢুকছে নদিয়ার একাধিক গ্রামে, ২০ বছর পর এমন বন্যা
২০০০ সালের পর এমন বন্যার মুখোমুখি হতে হবে, এ কল্পনাও করতে পারেনি বাসিন্দারা।চিন্তায় রয়েছে ওই সমস্ত এলাকার সাধারণ মানুষ।
সুজিত মণ্ডল, হরিহরপুর (নদিয়া): এ দৃশ্য আগে দেখেনি নদিয়াবাসী। ২০০০ সালের পর এমন বন্যার মুখোমুখি হতে হবে, এ কল্পনাও করতে পারেনি বাসিন্দারা। টানা কয়েকদিনের নিম্নচাপের জেরে অতি বৃষ্টিতে ভাগীরথীর জলস্তর বৃদ্ধির ফলে নদিয়ার শান্তিপুরের হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার চৌধুরী পাড়া, নতুন গ্ৰাম, হালদারপাড়া, হাউস সাইড কলোনী-সহ একাধিক এলাকায় ভাগীরথীর জল ঢুকতে শুরু করেছে।
ফলে চিন্তায় রয়েছে ওই সমস্ত এলাকার সাধারণ মানুষ। সাম্প্রতিক সময়ে এই ধরনের বড় বন্যা দেখেনি হরিপুর অঞ্চলের গ্ৰামের মানুষেরা। ইতিমধ্যেই নৃসিংহপুর হাউস কলোনী থেকে চৌধুরীরপাড়ার রাস্তা জলের তলায় চলে গিয়েছে। ক্রমশ ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে পরিস্থিতি। সাধারণ মানুষ বলছেন এইভাবে জল বাড়তে শুরু করলে বাড়ির ভিতরে অবিলম্বে জল ঢুকতে শুরু করবে।
বেশিরভাগ বাড়ির চারিদিক জলমগ্ন। তিনটি গ্ৰাম জলে ঢুবে রয়েছে। যেভাবে জলের স্রোত বাড়ছে, আরেকটু বৃষ্টিতে জল বাড়লেই এলাকায় ঢুকবে বলে মনে করছে সাধারণ মানুষ। ভাগীরথীর পার্শ্ববর্তী এলাকায় চাষের জমি বিশেষ করে সবজী চাষের জমিতে জল ঢোকায় চাষিদের মাথায় হাত। এই মরসুমের শুরুতে ধারদেনা করে চাষ করে সবে মাত্র সামান্য সবজী তুলেছেন তাঁরা। ফলে চিন্তায় কপালে ভাঁজ পড়েছে চাষিদের।
গ্রামবাসীদের দাবী, ভাগীরথীর জল বাড়ার কারণে রাত জেগে একপ্রকার পাহারা দিতে হচ্ছে। বেড়ে চলেছে দুশ্চিন্তা। গ্ৰাম প্রধান ইতিমধ্যে খোঁজ খবর নিতে শুরু করেছেন যদিও। এলাকার পরিস্থিতি সামলাতে মাথা গোঁজার ঠাঁইইয়ের জন্য সরকারি প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান শোভা মন্ডল সরকার। তিনি জানিয়েছেন গোটা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন তিনি।
এদিকে, আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, শুক্রবার পর্যন্ত গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। বৃহস্পতিবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে। জেলায় জেলায় বন্যা পরিস্থিতির মাঝে এমন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে দুর্যোগ আরও বাড়তে পারে বলেই মত।