(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Nadia: নর্দমা দিয়ে বইছে রক্ত, ঘর থেকে উদ্ধার পচন ধরা ঝুলন্ত দেহ
শুক্রবার তালা ভেঙে সিঁড়ি ঘর থেকে পচন ধরা ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে।
সুজিত মণ্ডল, নদিয়া: তালা দেওয়া বাড়ির ভেতর থেকে উদ্ধার হল মাঝ বয়সী এক ব্যক্তির পচন ধরা ঝুলন্ত দেহ। ঘটনাটি নদিয়ার তাহেরপুর থানার খামার শিমুলিয়া গ্রামের। মৃত ব্যক্তির নাম অসিত সরকার। বয়স ৫২। তালা দেওয়া ঘরের সিঁড়ি ঘরের নালা থেকে রক্ত গড়িয়ে পড়তে থাকে, দেখতে পান এলাকার মানুষ। এছাড়া দুর্গন্ধও বের হতে থাকে ওই বাড়ি দিয়ে।
এই ঘটনার পর তাহেরপুর থানার খবর দেওয়া হলে পুলিশ শুক্রবার তালা ভেঙে সিঁড়ি ঘর থেকে পচন ধরা ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে। মৃত ব্যক্তির পরিবারের অভিযোগ, স্ত্রীর সঙ্গে বনাবনি ছিল না অসিতের। প্রায় তিন মাস আগে স্ত্রী নিখোঁজ হয়ে যান। শান্তিপুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন স্বামী অসিত সরকার। তাদের দুটি ছেলে রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, মাসতিনেক আগে নিখোঁজ হয়ে যান প্রৌঢ়ের স্ত্রী। ৮ ও ১০ বছরের ছেলেকে সপ্তাহখানেক আগে শ্বশুরবাড়িতে আসেন প্রৌঢ়।
সম্প্রতি অসিত সরকারের শ্বশুরবাড়ি থেকে সম্পত্তি তাঁর দুই ছেলের নামে লিখে দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন বলে অভিযোগ। বুধবার সকালে ওই গ্রামে শেষবারের জন্য অসিত সরকারকে দেখতে পান পরিবারের লোকজন। এরপর শুক্রবার সকাল থেকে নালা থেকে পড়তে থাকা রক্ত দেখে তাদের সন্দেহ হওয়ায়, পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। থানায় লিখিত অভিযোগ না হলেও, পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। ময়না তদন্তের পরই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে বলে তাহেরপুর থানার পুলিশ জানান। তবে অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে দানা বেঁধেছে রহস্য।
অন্যদিকে, রুলিয়ার বরাবাজারের ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কোয়ার্টার থেকে উদ্ধার হল এক মহিলা চিকিৎসকের পচাগলা মৃতদেহ। শুক্রবার সন্ধেয় তালা ভেঙে উদ্ধার করা হয় চিকিৎসক সুচিত্রা সিংহর দেহ। পুলিশ জানিয়েছে, ওই চিকিৎসকের ঘর থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে হাসপাতালের কর্মী ও এলাকাবাসী থানায় খবর দিয়েছিলেন। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের তালাবন্ধ কোয়ার্টার থেকে মহিলা চিকিৎসকের পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার নিয়েই শুরু হয়েছে তরজা। আত্মঘাতী হয়েছেন না পরিকল্পিত খুন, চিকিৎসকের মৃত্যু নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন। প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার পদে কর্মরত ছিলেন সুচিত্রা। স্বাস্থ্যকেন্দ্র লাগোয়া কোয়ার্টারেই থাকতেন তিনি। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরেই কোয়ার্টারের দরজা বন্ধ থাকায় সন্দেহ হয়।