(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Nadia Hanskhali Rape: হাঁসখালি ধর্ষণেও সিবিআই তদন্ত কেন! কারণ ব্যাখ্যা করল আদালত
Hanskhali Rape Case: হাঁসখালিতে নাবালিকাকে গণধর্ষণ এবং খুনের মামলায়, তৃণমূল নেতার ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: রাজ্যে একের পর এক মামলায় সিবিআই (CBI Investigation) তদন্তের নির্দেশ। সেই তালিকায় নয়া সংযোজন নদিয়ার হাঁসখালিকাণ্ড (Hanskhali Rape)। আদালতের (Calcutta High Court) নজরদারিতে সিবিআই তদন্ত চলবে ওই মামলায়। পুলিশি তদন্তে খামতির কথা তুলে ধরেই হাঁসখালিতেও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের সংযুক্ত করেছে আদালত। এর পাশাপাশি মৃতার পরিবার এবং স্থানীয়দের আস্থা ফেরাতেই সিবিআই-কে দিয়ে তদন্ত করানো উচিত বলে জানিয়েছে আদালত।
জনস্বার্থ মামলা ভিত্তিতেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ!
হাঁসখালিতে নাবালিকাকে গণধর্ষণ এবং খুনের মামলায়, তৃণমূল নেতার ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মৃতার পরিবারকে হুমকির অভিযোগ, ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়া শেষকৃত্য ঘিরে, প্রশ্নের মুখে পড়েছে প্রশাসনের ভূমিকাও। এই প্রেক্ষাপটে হাঁসখালিকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দু’টো জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল।
তার শুনানিতে মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ এই তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেয়। আদালতের রায়ে বলা হয়, “আমরা কেস ডায়েরি খতিয়ে দেখেছি। মামলাকারীর আইনজীবী যে বিষয়গুলি উল্লেখ করেছেন, তা-ও বিবেচনা করেছি। আমাদের মনে হয়েছে, তদন্তে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায়, গুরুতর খামতি রয়েছে। আমরা এবিষয়ে চোখ বুজে থাকতে পারি না, যে অভিযুক্ত শাসক দলের ক্ষমতাশালী নেতার ছেলে।“
বিচারপতিরা আরও লেখেন, “কেস ডায়েরির তথ্য ইঙ্গিত করছে, নির্যাতিতার পরিবারকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। কোনও মেডিকো-লিগাল সার্টিফিকেট, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট, ডেথ সার্টিফিকেট না থাকাটা, ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার এবং তথ্যপ্রমাণ লোপাটের ব্যাপারে সন্দেহ তৈরি করে। রাজ্য সরকারের আইনজীবী জানিয়েছেন, গ্রামে কোনও শ্মশান নেই বলে, ডেথ সার্টিফিকেট নেই। কিন্তু, মনে হয় এই তথ্য সঠিক নয়। কারণ, কেস ডায়েরি বলছে, নির্যাতিতার শেষকৃত্য হয়েছিল শ্যামনগর আতিরপুর শ্মশানে।“
সিবিআই তদন্তের সপক্ষে বিচারপতিদের যা যুক্তি—
সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার কারণ হিসেবে, বিচারপতিরা রায়ের কপিতে লিখেছেন, “স্বচ্ছ তদন্তের স্বার্থে এবং মৃতার পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দাদের আস্থা ফেরাতে, পুলিশের বদলে সিবিআইকে দিয়ে তদন্ত করানো উচিত। তাই রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থাকে আমরা নির্দেশ দিচ্ছি, অবিলম্বে তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে। মামলা সংক্রান্ত নথিপত্র এবং হেফাজতে থাকা ব্যক্তিদেরও সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেবে পুলিশ।“
হাঁসখালিকাণ্ডে মৃতার পরিবারকে নিরাপত্তা দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ২ মে তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে আদালতে রিপোর্ট দেবে সিবিআই। গত কয়েকমাসে স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ সংক্রান্ত ৬টি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে হলদিয়ায় তোলাবাজির মামলা, রামপুরহাটে পুড়িয়ে হত্যা, তৃণমূলের উপপ্রধান ভাদু শেখ খুন, ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। মঙ্গলবার দুপুরে ঝালদাকাণ্ডের অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শীর রহস্যমৃত্যুতেও তদন্তভার সিবিআইকে দেয় আদালত। রাতে হাঁসখালি গণধর্ষণ খুনের মামলার তদন্তভারও গেল সিবিআইয়ের হাতে।