Nadia News: স্বামীকে বেধড়ক মার দুষ্কৃতীদের, বন্ধ ঘর থেকে স্ত্রী শুনলেন গুলির আওয়াজ !
Nadia Murder Case: ভয়াবহ ঘটনা নদিয়ার তাহেরপুর থানার ভাদুড়ি গ্রামে।
সুজিত মণ্ডল, নদিয়া: স্ত্রীকে ঘরে ঢুকে মারধর এবং স্বামীকে গুলি করে খুনের ঘটনায় (Murder Case) চাঞ্চল্য ছড়াল নদিয়ার তাহেরপুর থানার ভাদুড়ি গ্রামে।নিহত ব্যক্তির নাম রাজা ভৌমিক। বয়স ৪৯।জানা গিয়েছে, বেসরকারি একটি কোম্পানির জোনাল ম্যানেজার পদে ছিলেন রাজা ভৌমিক।
নিহতের স্ত্রী মুনমুন ভৌমিকের অভিযোগ, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ ৩ থেকে ৪ জনের একটি সশস্ত্র দুষ্কৃতীদল দ্বিতলে প্রথমে স্বামীর ঘরে ঢোকে। এরপর নিচতলায় স্ত্রীকে প্রথমে মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে চুলের মুটি ধরে মারধর করে। গায়ের সোনার অলংকার খুলে নেয়। একইসঙ্গে আলমারিতে রাখা নগদ টাকা এবং সোনা নিয়ে নেয়। প্রত্যেকেরই মুখ বাধা অবস্থায় ছিল। এরপর তাকে টানতে টানতে দোতলায় নিয়ে যায়। স্বামীকেও মারধর করা হয়। পাশের ঘরে স্ত্রীকে নিয়ে যায়। সে সময় তিনি দুটি গুলির আওয়াজ শুনতে পান। তারপর পাশের ঘরে স্ত্রীকে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। স্ত্রীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে দরজা খুলে উদ্ধার করে।
গতবছর দিনেদুপুরে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে খুন হয়েছিলেন এক গৃহবধূ। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছিল গলা কাটা দেহ। ডাকাতিতে বাধা দেওয়াতেই খুন বলে অনুমান, তদন্তকারীদের। নেপথ্যে কি পরিচিত কেউ? তদন্তে পুলিশ। সূত্রের সন্ধানে আনা হয়েছিল পুলিশ কুকুর। দুপুরে বাড়িতে একাই ছিলেন মহিলা। স্বামীর দাবি, অফিসে যাওয়ার পর ফোন করে স্ত্রী জানান, তিনি ব্যাঙ্কে যাবেন, লকার থেকে গয়না বের করে আনবেন। ব্যাঙ্ক থেকে ফেরার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বাড়ির মধ্যে খুন হয়ে গিয়েছিলেন সেই মহিলা। চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে। মৃতের নাম, সুপ্রিয়া দত্ত(৪১)। স্বামী ও একমাত্র ছেলের সঙ্গে থাকতেন রায়গঞ্জ শহরের রবীন্দ্রপল্লিতে।
আরও পড়ুন, পানীয় জলের পাইপ থেকে বেরিয়ে এল কেঁচো ও পোকামাকড় ! কাঠগড়ায় প্রশাসন
মহিলার স্বামী উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের ইঞ্জিনিয়ার দেবাশিস দত্ত। তাঁর দাবি, রোজকার মতো এদিন সকালেও তিনি কাজে বেরিয়ে গিয়েছিলেন, স্কুলে যায় ছেলে। কয়েক দিন পর সপরিবারে একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা ছিল। সেইজন্য ফোন করে স্ত্রী জানিয়েছিলেন, লকারে রাখা গয়না আনার জন্য তিনি ব্যাঙ্কে যাবেন। পুলিশ সূত্রে খবর, বিকেলে স্কুল থেকে ফিরে মায়ের গলাকাটা দেহ দেখতে পায় ছেলে। তার চিৎকারেই ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। খবর দেওয়া হয়েছিল পুলিশে। আনা হয়েছিল পুলিশ কুকুর।