Nadia Murder : হাঁসখালিতে নাবালিকাকে গণধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে গ্রেফতার মূল অভিযুক্তের বন্ধু
Nadia Murder : নাবালিকার মৃত্যুর পর ময়নাতদন্তের আগেই ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়াই দেহ পুড়িয়ে দেওয়ার মতোও মারাত্মক অভিযোগ উঠেছে
হাঁসখালি : জন্মদিনের পার্টিতে (Birthday Party) ডেকে মাদক খাইয়ে নাবালিকাকে গণধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে আরও একজনকে গ্রেফতার করল হাঁসখালি থানার (Hanskhali PS) পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, মূল অভিযুক্তর বন্ধু সে। মূল অভিযুক্ত জেরায় তার নাম জানায় বলে দাবি পুলিশের। গতকাল গ্রেফতার হয়েছে মূল অভিযুক্ত।
নদিয়ার হাঁসখালিতে ভয়ঙ্কর ঘটনা। জন্মদিনের পার্টিতে ডেকে মাদক খাইয়ে নবম শ্রেণির ছাত্রীকে গণধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে উত্তাল বাংলা। ধৃত তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের ছেলে। নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, সোমবার ওই যুবকের (মূল অভিযুক্ত) আমন্ত্রণে জন্মদিনের পার্টিতে তাদের বাড়িতে যায় ওই নাবালিকা। সেখানেই তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। পরিবারের দাবি, এরপর এক অপরিচিত মহিলা নাবালিকাকে বাড়িতে দিয়ে যায়।
আরও পড়ুন ; দময়ন্তী সেনের নজরদারিতে চার ধর্ষণ মামলার তদন্ত, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের
ঘটনার বেশ কিছু দিন পরে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলেই তথ্য সামনে আসে। পাশাপাশি নাবালিকার মৃত্যুর পর ময়নাতদন্তের আগেই ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়াই দেহ পুড়িয়ে দেওয়ার মতোও মারাত্মক অভিযোগ উঠেছে। যে ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতার ছেলে। গণধর্ষণ ও খুনের মামলা রুজু হয়েছে। ধৃতের ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার রানাঘাট মহকুমা আদালতে মৃতার মা-বাবা, হাতুড়ে ও শ্মশানের অস্থায়ী কর্মীর গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্তের বাবা তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য। ধৃতকে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এদিকে হাঁসখালির ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টে দুটি জনস্বার্থ মামলা হয়েছে। তার মধ্যে একটি মামলা করেছে বিজেপি। এ প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, হাঁসখালির ঘটনা আর উত্তরপ্রদেশের হাথরসের ঘটনা যখন সামনে আসছে তখন এই বাংলার অধঃপতনের ছবিটা আপনাদের সামনে স্পষ্ট হচ্ছে।
হাঁসখালির ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল রাজভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখায় SUCI। পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধস্তাধস্তি হয়।