Nadia News: বাসের অপেক্ষায় নিত্য যাত্রী, আচমকাই বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কা, কৃষ্ণনগরে ক্যামেরাবন্দি ভয়াবহ দুর্ঘটনা !
Nadia Accident: উৎসবের মরশুমে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা নদিয়ায় !

প্রদ্যোৎ সরকার, নদিয়া: নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দ্রুত গতিতে ছুটে আসা স্করপিয়র ধাক্কায় মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ল সেই ভয়াবহ দুর্ঘটনার ছবি।আজ সকালে ঘটনাটি ঘটেছে কৃষ্ণনগরের পালপাড়ায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম সুজিত মাহাতো। তাঁর বাড়ি কৃষ্ণনগরের বারুইহুদা এলাকায়। আজ সকালে কৃষ্ণনগর পালপাড়া মোড়ে ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশের একটি দোকানের সামনে বাসে ওঠার জন্য দাঁড়িয়ে ছিলেন ওই ব্যক্তি। সেই সময় দ্রুত গতিতে আসা একটি স্করপিও গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাকে ধাক্কা মেরে দোকানে ঢুকে গিয়ে উল্টে যায়। এরফলে গুরুতর জখম হন ওই ব্যক্তি। তাকে উদ্ধার করে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। দোকানে লাগানো সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ে দুর্ঘটনার মুহূর্তের চিত্র।
পুলিশের হাজার সচেনতারমূলক বার্তা ছড়ানোর পরেও, চলতি বছরের একের পর এক দুর্ঘটনা। সম্প্রতি দিঘায় জগন্নাথ দেবের দর্শনে যাওয়ার মুখে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল প্রাইভেট কার। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দাঁতনের সোনাকনিয়া এলাকায় ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে উল্টে গিয়েছিল প্রাইভেট কার। জানা গিয়েছিল, পুরুলিয়া থেকে ১৩ জন যাত্রী নিয়ে প্রাইভেট কারটি দিঘা জগন্নাথ দেবের দর্শনের জন্য যাচ্ছিলেন। আচমকাই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে জাতীয় সড়ক থেকে নিচে তিন পাল্টি খেয়ে উল্টে যায়। পাঁচজন জখম হয়েছেন। একজনের হাত ভাঙে। ঘটনাস্থলে দাঁতন থানার পুলিশ এসে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। গাড়ির ভেতরে থাকা আহত এক যাত্রী বলেন, 'পুরুলিয়া থেকে দিঘা জগন্নাথ দেবের দর্শন করতে যাচ্ছিলাম। আচমকাই জাতীয় সড়কে পাল্টি খেয়ে যায়। গাড়ির চালকের ঘুম পেয়ে যাওয়ার কারণেই এই দুর্ঘটনা হয়েছে। সারা রত্রি ধরে গাড়ি চালানোর কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। ছোট বাচ্চা-সহ ১৩ জন গাড়ির মধ্যে ছিল', বলে জানিয়েছেন তিনি।
অতীতে আরও একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছিল শিলিগুড়ি শহর সংলগ্ন ফুলবাড়ি এলাকার জোটিয়াকালীতে। দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন এক মহিলা।তার বাড়ি প্রধান নগর থানা এলাকার চম্পাশাড়িতে বলে জানা গিয়েছিল। ট্যাঙ্কারের নিচে চাপা পড়ে ঐ মহিলার মৃত্যু হয়েছিল। দুর্ঘটনার পর এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েযছিল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিল নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশ। জনতার বিক্ষোভ থাকায় ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছেছিল। উত্তেজিত জনতা শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি জাতীয় সড়ক পথ অবরোধ শুরু করেছিল। বন্ধ হয়ে গিয়েছিল সড়ক যোগাযোগ। পথ অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশের সাথে বচসা এবং হাতাহাতি শুরু হয়েছিল স্থানীয় বাসিন্দাদের। এর পর লাঠিচার্জ করতে বাধ্য হয়েছিল পুলিশ। এরপর মৃতদেহ উদ্ধার করে পাঠানো হয়েছিল উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।






















