Krishnanagar News: ক্যাফে বন্ধ করতে 'হুঁশিয়ারি-হুমকি'! কৃষ্ণনগরে কাঠগড়ায় TMC কাউন্সিলর
Nadia News: ওই ব্য়বসায়ীর সব অভিযোগ নস্যাৎ করেছেন অভিযুক্ত কাউন্সিলর। হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়নি, শুধুমাত্র অনুরোধ করা হয়েছিল বলে তাঁর দাবি।
প্রদ্যোৎ সরকার, নদিয়া: ভোট মিটতেই কৃষ্ণনগর (Krishnanagar) শহরে তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে গা-জোয়ারির অভিযোগ। তৃণমূলের (Nadia) কাউন্সিলরের প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় জোরপূর্বক ক্যাফে বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল।
কাঠগড়ায় তৃণমূলের কাউন্সিলর পলাশ দাস। তার সঙ্গেই ক্যাফের পাশের পার্কটিও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। যার ফলে কৃষ্ণনগর শহরের কদমতলা ঘাটের পাশের পার্ক ও ক্যাফেও বন্ধ রয়েছে। প্রশ্ন উঠছে একজন কাউন্সিলর কী ভাবে গায়ের জোরে পুরসভার কোনও জিনিস বন্ধ করে দিতে পারে? এই ঘটনায় কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে পুরসভায় লিখিত অভিযোগ জমা করেছেন ক্যাফের মালিক প্রলয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘আমি নিয়মিত কাজ করতাম। গত শনিবার কিছু ছেলে এসে ক্যাফে জোর করে বন্ধ করে দেয়। আমাদের গালাগালি দিয়ে শাসানো হয়। আমি পুরসভায় অভিযোগ জানিয়েছি।’
বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছে পুরসভাও। পুরসভার তরফ থেকে ওই বিষয়টি জানানো হয়েছে মহকুমা প্রশাসন, আইসি কোতোয়ালি, জেলাশাসককে। কৃষ্ণনগর পুরসভার চেয়ারম্যান রীতা দাস বলেন, 'আমি অভিযোগ পত্র পেয়েছি। বিষয়টি মহকুমা শাসক-সহ শীর্ষ প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। কৃষ্ণনগর শহরের সৌন্দর্যায়নের কাজে পার্ক ও ক্যাফেটি পুরসভার তরফ থেকে বাননো হয়েছিল। কাগজে বিজ্ঞাপন দিয়ে টেন্ডার ডেকে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। মাসে ৪৭ হাজার টাকা পুরসভার তহবিলে জমা পড়ে।'
অভিযুক্ত কাউন্সিলর পলাশ দাস কৃষ্ণনগরে নেই। তাঁকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, 'এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে। আমরা একটি rti করেছিলাম এই ক্যাফে নিয়ে। তার কোনও রেসপন্স আমাদের কাছে আসেনি। সেই জন্য আমরা ওই ক্যাফেতে গিয়েছিলাম এবং আমরা একটা অনুরোধ করেছিলাম যে আমরা একটা আরটিআই করেছি তার উত্তর আমাদের কাছে আসেনি তাই আপনারা ক্য়াফেটি বন্ধ রাখুন। আগামী দিনে যদি ঠিক পদ্ধতিতে টেন্ডার পাস হয়, আপনার কপালে থাকলে অবশ্যই ব্যবসা করবেন।'
মাস কয়েক আগে কৃষ্ণনগর পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডে কদমতলা ঘাটের কাছে পার্ক ও ক্যাফে তৈরি করে পুরসভা। টেন্ডারের মাধ্যমে এক ঠিকাদারকে ক্যাফের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ক্যাফে থেকে পুরসভার নিজস্ব তহবিলেও অর্থ আসে। অভিযোগ, গত ৮ জুন ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পলাশ দাস ও তাঁর লোকজন এসে ক্যাফেটি বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ। ক্যাফের কর্মীদের গালাগালি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। যাফে ভেঙে দেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয় ঠিকাদারকে। সেই নিয়ে গত সোমবার কৃষ্ণনগর পুরসভায় লিখিত অভিযোগ জমা পড়ে।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীবারে কার ভাগ্যে লটারি-যোগ? কার ব্যবসায় উন্নতি? রইল রাশিফল
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।