Nadia : পঞ্চায়েতে স্ত্রী বিজেপি টিকিটে জয়ী, কাজ গেল সিভিক ভলান্টিয়ার স্বামীর !
Civic Volunteer Sacked : ২০১৩ সাল থেকে শান্তিপুর থানায় সিভিক ভলান্টিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন হরিপুরের বাসিন্দা কার্তিক হালদার। তাঁর স্ত্রী সুপর্ণা ২০১৮ থেকে বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন।
সুজিত মণ্ডল, নদিয়া : পঞ্চায়েত সমিতির (Panchayat Samitit) নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে জিতেছিলেন স্ত্রী। তার জেরেই সিভিক ভলান্টিয়ার (Civic Volunteer) স্বামীকে কাজ থেকে অপসারিত করা হয়েছে। এমনই অভিযোগ উঠল নদিয়ার (Nadia) শান্তিপুরে। পাশাপাশি পুলিশের বিরুদ্ধেও উঠেছে জয়ী বিজেপিকে প্রার্থীকে তৃণমূলে যোগ দিতে চাপ দেওয়ার অভিযোগ! যদিও পুলিশের দাবি, দীর্ঘদিন বিনা অনুমতিতে অনুপস্থিত থাকায়, নিয়ম মেনে বরখাস্ত করা হয়েছে তাঁকে।
স্ত্রী বিজেপির (BJP) টিকিটে এবার পঞ্চায়েত সমিতিতে ভোটে জিতেছেন। আর তার জেরেই সিভিক ভলান্টিয়ার স্বামীকে অপসারিত করা হয়েছে কাজ থেকে। ঝালদা থেকে রানিনগর, পুলিশের (Police) বিরুদ্ধে যখন শাসকদলের হয়ে একের পর এক অভিযোগ উঠছে, তখন মারাত্মক অভিযোগ উঠল নদিয়ার শান্তিপুরেও। ২০১৩ সাল থেকে শান্তিপুর থানায় সিভিক ভলান্টিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন হরিপুরের বাসিন্দা কার্তিক হালদার। তাঁর স্ত্রী সুপর্ণা ২০১৮ থেকে বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন। ২০২৩-এর পঞ্চায়েত ভোটে শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতির বিজেপি প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেন।
অভিযোগ, তারপর থেকে শুরু হয় তৃণমূলের অত্যাচার। হুমকি থেকে প্রোলোভন, বাদ যায়নি কিছুই ! এমনকি পুলিশের বিরুদ্ধেও উঠেছে তৃণমূলে যোগ দিতে চাপ দেওয়ার অভিযোগ। বরখাস্ত সিভিক ভলান্টিয়ার ও বিজেপির জয়ী সদস্যের স্বামী কার্তিক হালদারের অভিযোগ, শুধুমাত্র আমার ওয়াইফ বিজেপিতে দাঁড়িয়েছে বলে আমাকে এখান থেকে ক্লোজ করা হয়েছিল। পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছিল। রেজাল্ট বেরনোর পর ওয়াইফ যখন জেতে, তারপর আমাকে রীতিমতো ১২ তারিখে ভয় দেখানো হয়, লোভ দেখানো হয়। এটা তো তৃণমূলের লোকেরা করেছেই। বাড়িতে অন্যান্য তৃণমূলের লোকেরা এসে ভয় দেখায়। আমরা মনে করিনি যে এখানে থাকার নিরাপত্তা আছে, তাই সেই রাতে আমরা অন্য জায়গায় পালিয়ে যাই।
পাশাপাশি শান্তিপুরের ওসি-র বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনে কার্তিকের অভিযোগ, শান্তিপুর থানার ওসি পর্যন্ত আমাকে রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ, কালনা ঘাটে আমাকে ডেকে নিয়ে পর্যন্ত আমাকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কথা বলেছে। কার্তিকের দাবি, ৫ সেপ্টেম্বর, শান্তিপুর থানার ওসির কাছে ফের কাজে যোগ দেওয়ার জন্য লিখিত আবেদন করেন তিনি। কিন্তু ঠিক দু'দিন পরে, তাঁকে মেল করে জানানো হয়, সরকারি কাজে গাফিলতির কারণে তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। যদিও, এই অভিযোগ মানতে নারাজ পুলিশ। নদিয়ার রানাঘাট পুলিশ জেলার সুপার কে কান্নান জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে শান্তিপুরের এই সিভিক ভলান্টিয়ার কোনও অনুমতি না নিয়ে কাজে যোগ দেননি। তাই নিয়ম অনুযায়ী তাকে অপসারণ করা হয়েছে। যদিও গোটা ঘটনা নিয়ে শান্তিপুর থানার ওসি সুব্রত মালাকারের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
আরও পড়ুন- উৎসবের মরশুমের আগে ট্রেনের তৎকাল টিকিটে জালিয়াতি চক্রের পর্দাফাঁস !
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন