TMC Leader Shot : গ্রামে ফিরতেই তৃণমূল নেতাকে গুলি ! নদিয়ার থানারপাড়ার ঘটনায় গ্রেফতার ৯
Nadia Shoot-out : ঘটনায় একটি নাইন এম এম পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে
থানারপাড়া (নদিয়া) : নদিয়ার (Nadia) থানারপাড়ার পিয়ারপুরে তৃণমূল নেতাকে গুলি (TMC Leader Shot)। গুলিবিদ্ধ তৃণমূল নেতা হাসিফুল মণ্ডলকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খুনের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার (Arrest) ৯ জন। ঘটনায় একটি নাইন এম এম পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ঘটনার সূত্রপাত থানারপাড়া থানায় গণস্বাক্ষর কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে। সই কারচুপির অভিযোগে গ্রামবাসীদের দু’ পক্ষের মধ্যে বচসা বাধে। অভিযোগ, তার জেরে গ্রামে ফিরতেই তৃণমূল নেতার ওপর হামলা চালায় অপর পক্ষ। তৃণমূল নেতার পায়ে গুলি লাগে। হামলার কারণ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।
দিলীপের নিশানা-
এপ্রসঙ্গে রাজ্যের শাসক দলকে একহাত বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের। তিনি বলেন, "তৃণমূলের মুষলপর্ব শুরু হয়ে গেছে। এতদিন লুঠপাট হচ্ছিল, ভাগাভাগি ঠিকঠাক চলছিল। টাকা দিল্লি থেকে খুব আসছিল। লুঠ হচ্ছিল। কোনও সমস্যা ছিল না। টাকা কমে গেছে। কাটমানি কমে গেছে। ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে মারামারি। এখন তো অস্ত্রশস্ত্রের কারখানা চলছে। আর ওই দিয়ে সব সমাধান হচ্ছে। কলকাতাতেও গুলি চলছে। সাধারণ মানুষ মারা যাচ্ছে। তৃণমূলের যেখানেই বিজয়া সম্মিলনী হচ্ছে, সেখানেই মারামারি হচ্ছে। পার্টিটা দুর্বৃত্ততে ভরে গেছে। এখন সেই পার্টিকে বাঁচাতে যা চেষ্টা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, পার্টি বাঁচাতে গেলে বাংলাটা ডুবে যাবে। এই অবস্থা হয়েছে।"
যদিও এর পাল্টা জবাব দেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। তিনি বলেন, "নিজের দলে সম্পূর্ণ কোণঠাসা অবস্থায় থাকা দিলীপবাবু চূড়ান্ত হতাশা থেকে এই ধরনের কথাগুলো বলছেন। সেই কারণে সাধারণ মানুষ যখন তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছেন, তিনি মুখের ভাষার সংযম রাখতে পারছেন না। যখন তাঁর সম্বন্ধে শোনা যাচ্ছে, গৌরী শঙ্করবাবু বলে কেউ একজন, সৌমেনবাবু বলে কেউ একজন...তাঁরই দলের নেতা অভিযোগ করছেন, দিলীপবাবু নাকি রিসিট না দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা মানুষের থেকে তুলেছেন। তাঁর নাকি সাংসদ তহবিলের টাকায় সঠিকভাবে কাজ হচ্ছে না। বলছেন যে, পেটে পা তুলে দেব, বুকে পা তুলে দেব। একটা ঘটনা ঘটেছে। বিজেপি এখন সন্ত্রাসের ওপর ভিত্তি করে রাজনীতিতে বেঁচে থাকতে চাইছে। তাই কর্মীদের কখনো বলছে, তরোয়াল ধরো, কখনো বলছে বাঁশ ধরো। কখনো বলছে বন্দুক তৈরি করো, কখনো আবার বলছে, বুকে গুলি করো। এই ধরনের ভাষার মধ্যে দিয়ে তারা উস্কানি দিতে চাইছে নিজেদের কর্মীদের। আগামী পঞ্চায়েতে নির্বাচনের দেওয়াল লেখনটাও তারা ইতিমধ্যে পড়ে ফেলেছে। পঞ্চায়েত গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে মমতাময়ী হয়ে থাকবে।"
আরও পড়ুন ; পটাশপুরে বাজার থেকে ফেরার পথে তৃণমূল নেতাকে গুলি, আটক ২