HC On Nagrakata Incident: নাগরাকাটাকাণ্ডে CBI তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে আরও একটি মামলা দায়ের
Calcutta High Court On Nagrakata Incident : নাগরাকাটা হামলাকাণ্ডে NIA তদন্ত চেয়েও মামলা দায়ের

কলকাতা: 'বিজেপি সাংসদ, বিধায়কদের ওপর হামলার পিছনে কারণ কী?', সিবিআই তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে আরও একটি মামলা দায়ের। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মামলা দায়ের হয়েছে। হামলাকাণ্ডে NIA তদন্ত চেয়েও মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই নিয়ে নাগরাকাটাকাণ্ডে দুটি মামলা দায়ের হয়েছে হাইকোর্টে। জোড়া মামলার শুনানি হবে আগামী ১৪ অক্টোবর।
নাগরাকাটায় বিজেপির সাংসদ-বিধায়ক আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় এখনও জনরোষের তত্ত্বে অনড় তৃণমূল। এরইমধ্য়ে, পাল্টা মারের হুঁশিয়ারি শোনা গেল সুকান্ত মজুমদারের গলায়। বললেন - পুলিশ যদি ব্য়বস্থা না নেয়, বিজেপি, বিজেপির মতো করে ট্রিটমেন্ট করবে। পাল্টা তোপ দেগেছে তৃণমূলও। তাদের মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী বলেন, দু’গালে চড় পড়লে, গান্ধীবাদ নয়, সুভাষবাদকে আঁকড়ে ধরতে হয়। কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বলেন,পুলিশ যদি এদের বিরুদ্ধে ব্য়বস্থা না নেয়, বিজেপি, বিজেপির মতো করে ট্রিটমেন্ট করবে। তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী বলেন,এই ধরনের আগুন নিয়ে খেলবেন না। এই ধরনের আগুন নিয়ে খেললে, সেই আগুনে কিন্তু নিজেদের হাতই পুড়বে।
নাগারকাটার এই ভয়ঙ্কর ছবি কিংবা ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলার এই জঘন্য় ছবি সামনে আসার পরও হুমকি-হুঁশিয়ারির রাজনীতি থেকে সরে আসতে নারাজ তৃণমূল কিংবা বিজেপি!বরং বিধানসভা ভোট এখনও বেশ কয়েক মাস দূরে হলেও, পরিস্থিতি এখন থেকেই তাততে শুরু করেছে এই দুই দলের নেতাদের গরম গরম ভাষণে! কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বলেন, কোনও কোনওখানে দরকার আছে মারের বদলে মার। দরকার আছে তো। আমাদের শাস্ত্রও তাই বলছে। আপনাকে রক্ষা করার, নিজেকে আত্মরক্ষা করার অধিকার আছে। আমাদের একজন আদিবাসী নেতাকে মারল। পুলিশ যদি গ্রেফতার না করে, আমরা ছেড়ে দেব? যারা এই অন্য়ায় করল, তারা যে অন্য়ায় করেছে, তাদের বোঝাতে হবে না?
প্রশ্ন: কী করবেন?
সুকান্ত মজুমদার: সময় আসুক না... পুলিশকে আমরাই ধরে নিয়ে বেঁধে, পুলিশের হাতে তুলে দেব।
প্রশ্ন: এই যে বাঁধবেন এবং তুলে দেবেন, এই প্রক্রিয়াটা নিশ্চয়ই শান্ত, মানে শান্তভাবে, গান্ধীবাদী নীতি মেনে হবে না?
সুকান্ত মজুমদার : আমরা শান্তভাবেই করব। আমাদের কর্মীরা একটু আদর করবে। আর কী আছে।
তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী বলেন, আমরা গান্ধীবাদে বিশ্বাস করি নিশ্চিতভাবে, আমরা একগালে চড় মারলে আরেকগাল বাড়িয়ে দিই...মহাত্মা গান্ধী শিখিয়েছেন। কিন্তু দু’গালে চড় পড়লে, তখন গান্ধীবাদ শুধু নয়, নিশ্চয়ই সুভাষবাদকে আঁকড়ে ধরতে হয়। এই ধরনের আগুন নিয়ে খেলবেন না। এই ধরনের আগুন নিয়ে খেললে, সেই আগুনে কিন্তু নিজেদের হাতই পুড়বে। পশ্চিমবঙ্গে রাজনীতির রক্তাক্ত ইতিহাস আছে। যুগ বদলায় কিন্তু রক্ত ঝরা বন্ধ হয় না। কিন্তু তারপরও যদি এই ধরনের হুমকি-হুঁশিয়ারি চলতে থাকে, তাহলে ভোট এগিয়ে এলে পরিস্থিতি কি আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে না? উঁচু তলার রাজনীতিবিদদের একঝাঁক নিরাপত্তা রক্ষী থাকে কিন্তু নিচুতলায়! এই হুমকি-হুঁশিয়ারি নিচুতলায় পৌঁছনোর পর তো আরও বহু মার কোল খালি হতে পারে! নেতারা কি এই ভয়ঙ্কর সত্য়টা বুঝেও না বোঝার মতো ভান করে থাকেন?






















