Naushad Siddiqui: তৃণমূলে যোগ দিতে মোটা টাকার টোপ দেওয়া হয়েছে, বিস্ফোরক নওশাদ, প্রমাণ করুন, পাল্টা দেবাংশু-সওকত
West Bengal: নওশাদকে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়া সেলের ইনচার্জ দেবাংশু ভট্টাচার্য।

কলকাতা: তিনি রাজ্যের শাসক দলের সঙ্গে বারবার সংঘাতে জড়িয়েছেন। শাসক দলের বিরোধিতায় বারবার সরব হয়েছেন। ভাঙড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে টক্কর দিয়ে বিধানসভা ভোটে জিতেছিলেন।
সেই নওশাদ সিদ্দিকি (Naushad Siddiqui) এবার বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন। তৃণমূলে যোগ দিতে মোটা টাকার টোপ দেওয়া হয়েছে তাঁকে, বিস্ফোরক দাবি ISF বিধায়কের। নওশাদ বলেছেন, 'আমাকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে। প্রস্তাব দিয়েছেন শাসক দলের বিধায়ক।' তৃণমূল কংগ্রেসের সেই প্রস্তাব তিনি নাকচ করেছেন বলেও জানিয়েছেন নওশাদ। তাঁর সেই অবস্থান যে তৃণমূল কংগ্রেস ভালভাবে নেয়নি, সেই ইঙ্গিতও দিয়েছেন তিনি। নওশাদ বলেছেন, 'তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় আমার নামে কুৎসা করা হচ্ছে। আমি ৩০ কোটি টাকা নিয়ে ভাবি না, আমি নেবও না। আমি মানুষকে পরিষেবা দিচ্ছি, মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছি। এটাই তৃণমূলের ঈর্ষার কারণ।'
যদিও ভাঙড়ের ISF বিধায়কের দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছেন রাজ্যের শাসক দলের নেতারা। উল্টে নওশাদকে আক্রমণ করেছেন তাঁরা। 'মাথায় টুপি দিয়ে বললেই ভাবছে সবাই বিশ্বাস করবে। একজন ভণ্ড বিধায়ককে তৃণমূল নেবে, এরকম অবস্থা হয়নি,' ভাঙড়ের ISF বিধায়ককে পাল্টা আক্রমণে তৃণমূলের সওকত মোল্লা।
নওশাদকে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়া সেলের ইনচার্জ দেবাংশু ভট্টাচার্য। বলেছেন, 'ওঁর সঙ্গে কোন রাজনৈতিক দলের সেটিং আছে সেটা বোঝার জন্য রকেট সায়েন্স জানার প্রয়োজন পড়ে না। বাংলার সাধারণ মানুষ দেখেছিল ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের সময় যে মুহূর্তে সর্বশক্তি লাগিয়ে বিজেপিকে বাংলা থেকে দূরে রাখার কথা, সেই সময় হঠাৎ করে ধর্ম নিয়ে আইডেন্টিটি পলিটিক্স করা একটা দলের জন্ম হল, এবং তারা কোথা থেকে কোটি কোটি টাকার ফান্ডিংও পেয়ে গেল সেটা বাংলার মানুষ জানে। বিজেপি মিমকে দিয়ে অন্য রাজ্যে এই চেষ্টা করেছে, এখানে সেটা পারবে না। যেহেতু বাঙালি অধ্যুষিত রাজ্য, তাই এখানে সেটা হবে না।'
দেবাংশু আরও বলেছেন, 'ওঁকে কেউ টাকা অফার করে থাকলে সেটা কারা, নামগুলো কেন প্রকাশ করছেন না উনি। কেউ যদি টাকা অফার করে থাকেন, সেটা তো অপরাধ। টাকা কেউ অফার করতে পারে না। সেই অপরাধটা উনি চেপে যাচ্ছেন কেন? নাকি এই শুভেন্দু অধিকারী নওশাদ ভাই নওশাদ ভাই বলছিল, দাদার রোগ কি ভাইও লাগিয়েছেন? বড় বড় হাঁকডাক দেব, কিন্তু বাস্তবের মাটিতে কিছু প্রমাণ করার জায়গায় নেই।' তিনি কটাক্ষের সুরে বলেছেন, 'নওশাদ অতই জনপ্রিয় নেতা হয়ে থাকলে বিধানসভায় ২০ হাজার ভোটে জিতে থাকা আসনে লোকসভা ভোটে ৪০ হাজার ভোটে পিছিয়ে থাকতেন না।'






















