Kolkata Alipur Zoo: আশির দশকের পরে আবার! কলকাতা চিড়িয়াখানায় ফিরল এই প্রাণী
Malayan Tapir in Kolkata Zoo: গরম পড়লে কলকাতা চিড়িয়াখানায় ভিড় শীতকালের তুলনায় কমে যায়। নতুন অতিথির টানে গরম পড়লেও ভিড় দেখল চিড়িয়াখানা।
ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, কলকাতা: শীতকাল চলে গিয়েছে। গরম পড়তে শুরু করেছে। এই সময়টা তেমন করে কলকাতা চিড়িয়াখানায় ভিড় হয় না। কিন্তু সেই নিয়ম ভেঙে মঙ্গলবার মোটামুটি ভাল ভিড় দেখা গিয়েছিল। তার কারণ কলকাতা চিড়িয়াখানার (Kolkata Zoo) নতুন অতিথি। এমন একজন এখানে এসেছে যাকে বহুকাল, প্রায় কয়েক দশক দেখেনি কলকাতার মানুষ। তিনি আসতেই ভিড় টানল কলকাতা চিড়িয়াখানা।
নতুন অতিথি কে?
দূর থেকে দেখলে মনে হবে ঠিক যেন শূকর! নাকটা আবার অনেকটা হাতির শুঁড়ের মতো। আপাতনিরীহ এবং তৃণভোজী এই প্রাণীটিই আলিপুর চিড়িয়াখানার নতুন অতিথি। যাকে দেখতে ভিড় জমেছে। নয়া অতিথির নাম মালয়ান তাপির (Malayan Tapir in Kolkata Zoo)।
কলকাতা চিড়িয়াখানার প্রায় শুরু থেকেই মালয়ান তাপির ছিল। কিন্তু আশির দশকের পর থেকে আর এই পশুকে দেখা যায়নি। এই কথা জানাচ্ছেন আলিপুর চিড়িয়াখানার অধিকর্তা শুভঙ্কর সেনগুপ্ত। তিনি বলেন, 'এটা একটা সুন্দর কিউট দেখতে জন্তু। হাতির মতো ছোট্ট শুঁড় আছে। জল-কাদায় থাকতে ভালবোসে। এই তাপির আমাদের চিড়িয়াখানায় ১৮৭৭ সাল থেকে ছিল। ১৮৭৫ থেকে চিড়িখানা শুরু হয়। ১৮৭৭ থেকে নিয়মিত এখানে তাপির ছিল। ১৯৮০র দশকের পরে আমাদের কাছে কিন্তু তাপির ছিল না । বহুদিন বাদে আমরা আবার পেয়েছি।'
সম্প্রতি এই মালয়ান তাপিরটিকে ময়নাগুড়ি থেকে উদ্ধার করেন বনকর্মীরা। ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে আদালতের নির্দেশে এটিকে আলিপুর চিড়িয়াখানায় আনা হয়েছে।
এসেছে একজোড়া রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার:
মালয়ান তাপির ছাড়াও কলকাতা চিড়িয়াখানায় আনা হয়েছে একজোড়া রয়্য়াল বেঙ্গল টাইগার (Royal Bengal Tiger)। মঙ্গলের দুপুরে যাদের দেখতে বেশ ভালই ভিড় জমেছিল চিড়িয়াখানায়। আলিপুর চিড়িয়াখানা সূত্রে খবর, বাঘ দুটিকে নর্থ বেঙ্গল ওয়াইল্ড অ্য়ানিমাল পার্ক থেকে নিয়ে আসা হয়েছে। বর্তমানে তাদের বয়স ৩ বছর।
মালয়ান তাপির স্তন্যপায়ী প্রাণী। মূলত দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া এদের বাসস্থান। মালয় উপদ্বীপ এলাকার মধ্যে তাইল্যান্ড, মায়ানমারের কিছু অংশ এবং ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপে এর দেখা মেলে। ছোট ছোট পা, ছোট চোখ এবং কান ছোট ও গোলাকার হয়। নাকের অংশ অনেকটা শুঁড়ের মতো। তাপিরের অন্য কিছু প্রজাতি পাওয়া যায় মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকায়। ব্রিটানিকার তথ্য অনুসারে ইউরোপ, চিন এবং উত্তর আমেরিকায় এই প্রজাতির প্রাণীর ফসিল মিলেছে। তাতে মনে করা হয় একসময় তাপিরের বাসস্থান সারা বিশ্বজুড়েই ছিল। পরে অন্য জায়গা থেকে বিলুপ্ত হয়ে এখন কিছু এলাকায় রয়েছে এই প্রাণী।
আরও পড়ুন: আজই মোদি হাতে উদ্বোধন হাওড়া-এসপ্ল্যানেড মেট্রোর, তালিকায় নিউ গড়িয়া-রুবি রুটও