Tension In Kaliaganj: জ্বলছে থানা, রাজবংশী ও আদিবাসী সংগঠনের বিক্ষোভ ঘিরে ফের উত্তেজনা কালিয়াগঞ্জে
Minor Murder Case: নতুন করে উত্তেজনা কালিয়াগঞ্জে। রাজবংশী ও আদিবাসী সংগঠনের বিক্ষোভ ঘিরে উত্তেজনা। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টির অভিযোগ। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হল থানায়।
সুদীপ চক্রবর্তী, উত্তর দিনাজপুর: নতুন করে উত্তেজনা (Fresh Tension) কালিয়াগঞ্জে (Kaliaganj Minor Murder)। রাজবংশী ও আদিবাসী সংগঠনের বিক্ষোভ (Agitation) ঘিরে উত্তেজনা। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টির (Stone Pelting) অভিযোগ। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হল থানায়। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করল পুলিশ। ছোড়া হল কাঁদানে গ্যাস। সব মিলিয়ে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি।
কী পরিস্থিতি?
কালিয়াগঞ্জে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার প্রতিবাদে এদিনই রায়গঞ্জে এসপি অফিস ঘেরাও করে বিজেপি। আবার এদিনই ময়নাতদন্ত রিপোর্টে জানা যায়, নাবালিকার মৃত্যু হয়েছে বিষক্রিয়ায়। কী ধরনের বিষক্রিয়ায় মৃত্যু, তা জানতে নমুনা ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। গোটা ঘটনা নিয়ে বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি তোলে উত্তর দিনাজপুর জেলা বামফ্রন্ট। কিন্তু নতুন করে উত্তেজনা মাথাচাড়া দেয় রাজবংশী ও আদিবাসী সংগঠনের বিক্ষোভ ঘিরে। পুলিশ অশান্তির আশঙ্কা করে আগেই তিনটি ব্যারিকেড গড়েছিল। অভিযোগ, প্রথম ব্যারিকেড ভাঙার পরই পুলিশের দিকে ইটবৃষ্টি শুরু করে। মুহূর্তের মধ্যে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে কালিয়াগঞ্জ। নতুন করে তেতে ওঠে এলাকা। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় কালিয়াগঞ্জ থানা। পাল্টা কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। লাঠিচার্জও করা হয়।
প্রেক্ষাপট...
দিন চারেক আগেও একই ছবি দেখা গিয়েছিল। দোষীদের শাস্তির দাবিতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল কালিয়াগঞ্জ-দুর্গাপুর রাজ্য় সড়ক। মৃতদেহ নিয়ে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ চলে। ঘটনাস্থলে গেলে, পুলিশকে লক্ষ্য় করে চলে ইটবৃষ্টি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পাল্টা লাঠিচার্জ করে পুলিশ। ফাটানো হয় কাঁদানে গ্য়াসের সেল। চলে ধরপাকড়। স্থানীয় সূত্রে খবর, গত বৃহস্পতিবার সন্ধে থেকে নিখোঁজ ছিল এক নাবালিকা। পর দিন অর্থাৎ শুক্রবার সকালে একটি পুকুরে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মৃত নাবালিকা এবছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল। তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে, প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। প্রথমে কালিয়াগঞ্জ-দুর্গাপুর রাজ্য সড়ক অবরোধ ও পরে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। পুলিশ মৃতদেহ তুলতে গেলে, বাধা দেন বিক্ষোভকারীরা। এরপরই দু-পক্ষের মধ্যে বেঁধে যায় খণ্ডযুদ্ধ। পুলিশের দিকে উড়ে আসতে থাকে ইট। পাল্টা ইট ছোড়ে পুলিশও। ফাটানো হয় কাঁদানে গ্যাসের শেল। চলে ব্যাপক লাঠিচার্জ। পুলিশ সূত্রে দাবি করা হয়, মৃত নাবালিকার সঙ্গে এক যুবকের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। মৃতের পরিবারের মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে ওই যুবক ও তাঁর বাবাকে আটক করা হয়। পাশাপাশি পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়ার অভিযোগে, আরও কয়েকজনকে আটক করা হয়। কিন্তু সেদিন যে বিক্ষোভের ছবি দেখা গিয়েছিল, তার পর আর ঝুঁকি নিতে চায়নি প্রশাসন। ৭ দিনের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয় কালিয়াগঞ্জের একাংশে।
up10.abplive.com
up12.abplive.com
Class 10
Class 12
আরও পড়ুন:কালিয়াগঞ্জে নাবালিকার মৃত্যু বিষক্রিয়ায়, উল্লেখ ময়নাতদন্ত রিপোর্টে