Barrackpore Incident: ডাকাতিতে 'বাধা', গুলিতে সোনার দোকানের মালিকের ছেলের মৃত্যু
Barrackpore Case: ব্যারাকপুরের আনন্দপুরীতে চলল গুলি। মূলত ডাকাতিতে বাধা দেওয়ায় সোনার দোকানের মালিকের ছেলের উপর গুলি চালানোর অভিযোগ।
উত্তর ২৪ পরগনা: ব্যারাকপুরের আনন্দপুরীতে চলল গুলি। মূলত ডাকাতিতে বাধা দেওয়ায় সোনার দোকানের মালিকের ছেলের উপর গুলি চালানোর অভিযোগ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। মৃত্য়ু হয়েছে তাঁর। জখম আরও ২। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
তবে শেষ অবধি পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, গুলিবিদ্ধ হওয়া পর সোনার দোকানের মালিকের ছেলের মৃত্যু হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত মাসেও রাজ্যের একটি জেলায় সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল। সোনার দোকানে ডাকাতির ( Gold Shop Dacoity) ঘটনায় রামপুরহাটে (Rampurhat) শেষমেশ চার দুষ্কৃতি (4 Miscreants Arrested) গ্রেফতার করা হয়।উদ্ধার হয় একটি ওয়ান শটার। চুরি যাওয়া প্রায় সব সোনা এবং রূপোরও হদিস মেলে।
ওই ঘটনা ঘিরে টানটান উত্তেজনা ছড়িয়েছিল রামপুরহাটে। খবর মিলেছিল, রামপুরহাট থানার নিউটাউন এলাকায় রানিগঞ্জ-মোড়গ্রাম ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে একটি, সোনার দোকানে ডাকাতি করতে এসেছিল একদল দুষ্কৃতি। সন্ধ্যা সাড়ে আটটা নাগাদ ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে নিউটাউনের কাছে একটি সোনার দোকানে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ডাকাতি করতে ঢুকেছিল চার-পাঁচ জনের একটি ডাকাত দল। সেই সময় দোকান মালিকের তৎপরতায় এলাকার বাসিন্দারা ঘটনস্থলে এসে ডাকাতদের ঘিরে ফেলেছিলেন। পরে পুলিশে খবর যেতে দোকানটি চার দিক থেকে ঘিরে ফেলেছিলেন রামপুরহাট থানার পুলিশকর্মীরাও। দোকানের চারপাশে তখন রীতিমতো রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতি। ভিতরে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে ডাকাতের দল, বাইরে থেকে তাদের ঘিরে ফেলেছিল পুলিশবাহিনী।
গত বছর অগাস্টে, উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরেও এক ধরনের ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, অশোকনগরের শ্রীকৃষ্ণপুর এলাকার নুরপুর বাজারে পরপর ২টি সোনার দোকানে হানা দেয় দুষ্কৃতীরা। সিভিক ভলান্টিয়ার ও নৈশ রক্ষীদের বেঁধে রেখে লুঠপাট চালানোর অভিযোগ। দুষ্কৃতী দলে ১৫ জন ছিল বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি। এই ডাকাতির ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। শুধু লক্ষাধিক টাকার গয়না লুঠই নয়, দুষ্কৃতীরা দোকানের সিসিটিভি-র হার্ড ডিস্ক নিয়ে পালায় বলে পুলিশ সূত্রে দাবি। ঠিক তার পরের মাসে, ক্রেতা সেজে ভর দুপুরে ডানকুনিতে সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল।
আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?
সোনার দোকানের ভিতরে ক্রেতা সেজে ২ দুষ্কৃতী, পরে আসে আরও ৩জন। আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে নামকরা সোনার দোকানে ৬ দুষ্কৃতী চড়াও। দোকানের বাইরে বাইকে অপেক্ষায় ১ দুষ্কৃতী, ভিতরে ৫ দুষ্কৃতী। দোকানের নিরাপত্তারক্ষীদের মারধর করে দোকানে ঢুকে লুঠ। দোকানের কর্মীদের অস্ত্র দেখিয়ে সোনা লুঠ করে চম্পট। আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ক্রেতাদের দোকান থেকে বের করে লুঠপাট চালায় দুষ্কৃতিরা।