(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Bengal STF: 'জঙ্গি' কার্যকলাপের বড়সড় পর্দাফাঁস বঙ্গে ? STF-র জালে ২
Bengal STF: মূলত আন্তর্জাতিক কলকে লোকাল কলে কনভার্ট করে জঙ্গি সংগঠন গুলির সহজে কথা বলার উপায় বন্ধ করতে হানা দেয় এসটিএফ। তারপর ?
সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: 'জঙ্গি' কার্যকলাপের বড়সড় পর্দাফাঁস বঙ্গে ? মূলত আন্তর্জাতিক কলকে লোকাল কলে কনভার্ট করে জঙ্গি সংগঠন গুলির সহজে কথা বলার উপায় বন্ধ করতে হানা দেয় এসটিএফ (STF)। এরপরেই সেই অভিযানে বড় সাফল্য মিলেছে। দুইজনকে গ্রেফতার করেছে এসটিএফ।
দত্তপুকুর থানা এলাকায় এই চক্র জাল বিস্তার করে ছিল। এসটিএফ হানা দিয়ে দুজনকে গ্রেফতার করে সেই সঙ্গে উদ্ধার করে দুইশো সিম বক্স ২০০০ সিম। বেআইনিভাবে ছোটখাটো টেলিফোন এক্সচেঞ্জ তৈরি করে এই কারবার চালাচ্ছিল একদল দুষ্কৃতী। দীর্ঘদিন ধরে এই কারবার চলছিল বলে জানা গেছে। এই সিমগুলোর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক কলকে লোকাল কলে ট্রান্সফার করিয়ে কম পয়সায় কথা বলা যেত।
আর্থিক অবস্থা খারাপ থাকা যেসকল মানুষ বিদেশে কাজের জন্য গিয়েছে, তাঁদের পরিবারের সিমকে ব্যবহার করা হতো। আর সেই সিম কাজে লাগিয়ে জঙ্গি সংগঠনগুলো তাঁদের কথোপকথন চালাত বলে এসটিএফ জানতে পারে। তার পরিপ্রেক্ষিতেই এসটিএফ হানা দেয়। এই ঘটনায় আরও অনেক বড় চক্র আছে বলে এসটিএফের অনুমান। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মূল চক্রকে ধরতে চায় এসটিএফ।
সম্প্রতি এসটিএফ-র হাত ধরে আরও একটি অপরাধের ঘটনা সামনে আসে। কফিন মোড়া সাদা কাপড়ে। উপরে থরে থরে সাজানো ফুল। দেখলে মনে হবে শবযাত্রা। কিন্তু কফিন খুলতেই বেরিয়ে পড়ল আসল কাণ্ড। দেখা গেল, মৃতদেহ নয়, ভিতরে ঠেসে ভরে রাখা হয়েছে গাঁজা (Marijuana Smuggling)। হাতেনাতে চারজনকে পাকড়াও করল পুলিশ। শবযাত্রার আদলে আসলে অভিনব কায়দায় গাঁজা পাচার করছিলেন সকলে। হাতেনাতে ধরা পড়লেন।
ফুলবাড়ির কাছে ওই পাচারচক্রকে হাতেনাতে ধরে রাজ্য পুলিশের STF-র হাকে ধরা পড়েছেন এক মহিলা সমেত চার জন পাচারকারী। কফিনের ভিতর থেকে মোট ৬৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে। পড়শি রাজ্য ত্রিপুরা থেকে ওই বিপুল পরিমাণ গাঁজা বিহারে পাচার করা হচ্ছিল বলে STF সূত্রে জাান গিয়েছে। চার পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতরা প্রত্যেকেই দিনহাটার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?
আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?
STF সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে গাঁজা পাচারের খবর এসে পৌঁছেছিল তাদের কাছে।। সেই মতো জলপাইগুড়ির ফুলবাড়ির কাছে কড়া নজরদারি চলছিল। সেই সময়ই একটি অ্যাম্বুল্যান্স দেখে সন্দেহ জাগে। অ্যাম্বুল্যান্স থামাতে ভিতরে চোখে পড়ে কফিন। সাদা কাপড়ে মোড়া ছিল সেটি। উপরে সাজানো ছিল থরে থরে ফুল এবং মালাও। মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেন পাচারকারীরা।