North 24 Parganas:বিজেপির মণ্ডল সভাপতিকে ধারাল অস্ত্রের কোপ বরানগরে, আঙুল তৃণমূলের দিকে
BJP Leader Attacked:বরানগরের ৩১ নং ওয়ার্ডে বিজেপির মণ্ডল সভাপতিকে ধারাল অস্ত্রের কোপের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। নিষ্ক্রিয় ছিল বরানগর থানা, আরও অভিযোগ বিজেপি শিবিরের।
কলকাতা: বরানগরের ৩১ নং ওয়ার্ডে বিজেপির মণ্ডল সভাপতিকে (BJP Mandal President Attacked) ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে। নিষ্ক্রিয় ছিল বরানগর থানা (Baranagar), আরও অভিযোগ বিজেপি (BJP) শিবিরের। সবটাই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জের, হামলার অভিযোগ উড়িয়ে পাল্টা দাবি তৃণমূলের।
বার বার অভিযোগ...
হালে বাংলায় যে পঞ্চায়েত ভোট হয়, তাতে বার বার বিরোধী শিবিরের নেতা-কর্মীদের আক্রমণের অভিযোগ উঠেছে। জুন মাসের শেষ দিকে যেমন, বিজেপি নেতার রহস্যমৃত্যু ঘিরে হইচই পড়ে যায় সবংয়ে। বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় বিজেপির বুথ সভাপতি দীপক সামন্তর ঝুলন্ত দেহ। বিজেপি নেতাকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বারবার হুমকি দেওয়া হচ্ছিল, পাঠানো হয়েছিল সাদা থান, দাবি গেরুয়া শিবিরের। পঞ্চায়েত ভোটের মুখে শাসকদলের কাছে মাথা নত না করায় খুন, অভিযোগ বিজেপির। বুথ সভাপতিকে খুনের অভিযোগে সিবিআই তদন্তের দাবি করে বিজেপি। মিথ্যে অভিযোগ, মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি বিজেপির, পাল্টা দাবি তৃণমূলের।
রক্তাক্ত বার বার...
বস্তুত, পঞ্চায়েত ভোটের আগে-পরে মিলিয়ে এরকম মৃত্য়ুর ঘটনা পঞ্চাশের কাছাকাছি। নিহতের তালিকায় ছিলেন শাসকদলের সমর্থকরাও। যেমন, গত ১ মে ময়নার বাকচায় বিজেপির বুথ সভাপতিকে খুনের অভিযোগ ওঠে। স্ত্রী, ছেলের সামনে মারধরের পর তুলে নিয়ে গিয়ে বিজেপি নেতাকে খুন করা হয়েছিল বলে শোনা যায়। এর পর গত ২৪ মে, নদিয়ার হাঁসখালিতে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় বিজেপি নেতার। বস্তুত এর আগের পঞ্চায়েত ভোটেও এমন একাধিক ঘটনার অভিযোগ জমা পড়েছে। ২০১৮ সালের ৩০ মে, পঞ্চায়েত ভোটের মুখেই যেমন, পুরুলিয়ার বলরামপুরে বিজেপি কর্মী ত্রিলোচন মাহাতোর ঝুলন্ত দেহ গাছ থেকে উদ্ধার হয়। ২২ বছরের যুবকের জামার পিছনে লেখা ছিল ১৮ বছর বয়সে বিজেপির রাজনীতি! এর ঠিক তিনদিনের মধ্যে, ২ জুন, সেই বলরামপুরের আরেক বিজেপি কর্মী, ৩০ বছরের দুলাল কুমারের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল। এতেই শেষ নয়। ২০১৯ সালের ১৫ নভেম্বর, দাঁতনে, জঙ্গলে, গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় বিজেপি কর্মী বর্ষা হাঁসদার দেহ। ২০২০ সালের ১৩ জুলাই বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে উদ্ধার হয় হেমতাবাদের বিধায়ক ও বিজেপি নেতা দেবেন্দ্রনাথ রায়ের ঝুলন্ত দেহ। শুরুতেই নবান্ন দাবি করে, ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট থেকে পুলিশের ধারণা, এটা সম্ভাব্য আত্মহত্যারই ঘটনা! ওই বছরেরই ২৯ জুলাই, পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরে আমগাছ উদ্ধার হয়ে বিজেপির বুথ সভাপতির দেহ। ঠিক ২ দিন পর, ৩১ জুলাই, দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগরে বিজেপির বুথ সম্পাদকের ঝুলন্ত দেহের খোঁজ মেলে। তালিকাটা এখানেই শেষ হয়নি। ২০২০ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর, হুগলির গোঘাট স্টেশনের কাছে গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার সক্রিয় বিজেপি কর্মী বলে পরিচিত গণেশ রায়ের দেহ। এর পর আছে, ২০২১ সালের ২৪ মার্চের ঘটনা। সে বার কোচবিহারে বিধানসভা ভোটের প্রথম দফার তিনদিন আগে বাড়ি থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে বিজেপি নেতা অমিত সরকারের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। ২৬ মার্চ, বিধানসভা ভোটের আগের দিন শালবনির জঙ্গলে উদ্ধার বিজেপি কর্মীর লালমোহন সোরেনের ঝুলন্ত দেহ।
বরানগরের ক্ষেত্রে সামনে এল হামলার অভিযোগ।
আরও পড়ুন:২৩ অগাস্ট থেকে বন্ধ থাকবে অমরনাথ যাত্রা, ঘোষণা সরকারের