Ration Scam: রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে সাতসকালে বনগাঁর কালুপুরে আটা কলে ED হানা
ED On Ration Scam:ইডি সূত্রে দাবি, এই আটা কলে রেশনের গম আনা হত।
উত্তর ২৪ পরগনা: রেশন দুর্নীতিকাণ্ডের (Ration Scam) তদন্তে ফের তৎপর ইডি (ED)। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতির পর, রেশন দুর্নীতির তদন্তে কার্যত জেরবার একের পর এক হেভিওয়েটরা। ইতিমধ্য়েই রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এদিন সাতসকালে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর কালুপুরে আটা কলে হানা দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডি সূত্রে দাবি, এই আটা কলে রেশনের গম আনা হত।
রেশন বণ্টন দুর্নীতির মামলায় ইডি-র হাতে একের পর এক গ্রেফতারি এবং চাঞ্চল্য়কর সব তথ্য় উঠে আসার পর অবশেষে নড়েচড়ে বসল রাজ্য় সরকার। খাদ্য় দফতরের পোর্টালে, এবার বাকিবুর রহমানের সংস্থা। NPG রাইসমিল প্রাইভেট লিমিটেডকে হোল্ড করা হয়েছে। রেশন বণ্টন দুর্নীতির মামলায়। ১৪ অক্টোবর গ্রেফতার হন ব্য়বসায়ী বাকিবুর রহমান। আর ২৭ অক্টোবর ইডি গ্রেফতার করে প্রাক্তন খাদ্য়মন্ত্রী জ্য়োতিপ্রিয় মল্লিককে।
ইডি সূত্রে দাবি, এই দুর্নীতির তদন্তে নেমে, তাঁরা বাকিবুর রহমানের পাহাড় প্রমাণ সম্পত্তির কথা জানতে পারেন। যার মধ্য়ে ছিল তাঁর একাধিক সংস্থাও। গোয়েন্দা সূত্রে দাবি, ৬টি এমন সংস্থার কথা জানা যায়, যেখানে আটা বণ্টন দুর্নীতির টাকা ঢুকেছিল। এর মধ্য়ে একটি সংস্থা ছিল NPG রাইসমিল প্রাইভেট লিমিটেড। এই সংস্থায় ১০ কোটি ৩০ লক্ষ ৯৭ হাজার ১০০ টাকা ঢুকেছিল বলে তদন্তে জানা যায়। সূত্রের খবর, জ্য়োতিপ্রিয় মল্লিক ও বাকিবুর রহমানের গ্রেফতারির পর খাদ্য় দফতরের পোর্টালে এই সংস্থাকে হোল্ড হিসেবে দেখানো হয়েছে।
নিয়ম অনুযায়ী, রাজ্য় সরকারের তরফে এই চালকলগুলিতে ধান পাঠানো হয়। তারপর এই চালকলগুলি থেকে রাজ্য় সরকার ধান নেয়। সূত্রের খবর,হোল্ড করার অর্থ এই চালকলগুলিতে রাজ্য় সরকার আর ধান পাঠাবে না। বছর তিনেক আগে রেশন বণ্টন দুর্নীতি নিয়ে মামলা করেছিল পুলিশও। ২০২০, ২১ ও ২২ সালে নদিয়ার ধুবুলিয়া, কোতোয়ালি ও নবদ্বীপ থানায় তিনটে FIR করে পুলিশ।
আরও পড়ুন, জল ছাড়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন কারা ? ঘাড় থেকে দায় ঝাড়ল DVC
২০২০ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি, নদিয়ার কোতোয়ালি থানায় FIR দায়ের হয়। সেই FIR-এর ভিত্তিতেই ২০২২ সালে ED ECIR দায়ের করে। কিন্তু, পুলিশের তদন্তে এই দুর্নীতি সামনে আসেনি কেন? এনিয়ে নড়েচড়ে বসতে এতদিন লাগল কেন? এখন ইডি জ্য়োতিপ্রিয় মল্লিক এবং বাকিবুর রহমানের গ্রেফতারির পর এই ব্য়বস্থা কি মুখ বাঁচাতে? সেই প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। এই মামলায় আরও কী কী চাঞ্চল্য়কর তথ্য় সামনে আসা বাকি? সেটাই এখন দেখার।