দেগঙ্গায় রাতের অন্ধকারে চাষের জমি থেকে অবাধে মাটিপাচার, শুরু রাজনৈতিক চাপানউতোর
Deganga News: মাটি চুরি করে ২৫ ফুট গর্ত করে ফেলেছে মাটি মাফিয়ারা। প্রতিবাদে এলাকাবাসী চাষের জমি ভরাট ও মাটি পাচার বন্ধের দাবিতে মাটি খাদানে বিক্ষোভ দেখায়।
সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: দেগঙ্গার (Deganga) চাঁপাতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের দিঘিরআটি চাঁদপুর এলাকায় রাতের অন্ধকারে চাষের জমি থেকে অবাধে চলছে মাটিপাচার। মাটি পাচার হচ্ছে সে সম্পর্কে জমির মালিকরা জানেন না। প্রতিবাদ করলে মাটি মাফিয়ারা গ্রামবাসীদের জেসিবি চাপা দিয়ে প্রাণে মারার হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ। প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো কাজ হয়নি। তাই প্রতিবাদে গ্রামবাসীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাটি খাদানে জেসিবি আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। চাঁপাতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের দিঘিরআটি এলাকায় প্রায় দুই বিঘা ৩ ফসলি চাষের জমি থেকে মাটি চুরি করে ২৫ ফুট গর্ত করে ফেলেছে মাটি মাফিয়ারা। প্রতিবাদে এলাকাবাসী চাষের জমি ভরাট ও মাটি পাচার বন্ধের দাবিতে মাটি খাদানে বিক্ষোভ দেখায়। গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের জেরে খাদান থেকে পালিয়ে যায় মাটি মাফিয়ারা। জমির মালিক মান্টু আলি ও খাদিজা বিবি জানান, দীঘিরআটি চাঁদপুরের বাসিন্দা জুলফিকার আলি ওরফে মিন্টু দলবল নিয়ে এভাবে মাটি চুরি করছে। প্রতিবাদ করলে তাঁদেরকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। আর এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
বারাসাত সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সভাপতি তাপস মিত্র জানান, রাজ্যজুড়ে যেভাবে মাটি পাচার চলছে তার একটাই উদ্দেশ্য সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে গুন্ডা মস্তান ভাড়া করার জন্য মাটি পাচার করে তৃণমূল টাকা জোগার করছে। শাসক দলের পঞ্চায়েতের মদতে চাঁপাতলা এলাকায় রাতের অন্ধকারে বিঘার পর বিঘা চাষের জমি থেকে মাটি পাচার হচ্ছে। এই মাটি পাচারের সঙ্গে প্রশাসনের একটি অংশ জড়িত রয়েছে। মাটি পাচার বন্ধ হলে বিজেপির পক্ষ থেকে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন চাঁপাতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হুমায়ুন রেজা চৌধুরী। তিনি জানান শুধু দেগঙ্গার চাঁপাতলা নয় দেগঙ্গা জুড়ে এভাবে রাতের অন্ধকারে মাটি পাচার হচ্ছে। বেশ কয়েকবার বি এল এন্ড আর ও কে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি কাজের কাজ কিছু হয়নি। তবে এই ঘটনার সঙ্গে শাসকদলের কেউ জড়িত নয় যদি কোনও পঞ্চায়েত সদস্য এই মাটি পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকে তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি প্রশাসনের নিষ্কৃয়তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন পঞ্চায়েত প্রধান হুমায়ুন রেজা চৌধুরী। এখন দেখবার বিষয়, কবে এই মাটি পাচার বন্ধ করে দেগঙ্গা প্রশাসন।