Dengue Death: ডেঙ্গিতে দশম শ্রেণির ছাত্রের মৃত্যু দক্ষিণ দমদমে, সল্টলেকে আরও ১
Dumdum Salt lake Dengue Death: দুর্গা পুজো মিটতেই ডেঙ্গিতে জোড়া মৃত্যু হল দক্ষিণ দমদম পুরসভা এলাকায় এবং সল্টলেক আমরিতে। দুটি ক্ষেত্রেই ডেথ সার্টিফিকেটে ডেঙ্গির উল্লেখ রয়েছে।
উত্তর ২৪ পরগণা: দুর্গা পুজো মিটতেই ডেঙ্গিতে জোড়া মৃত্যু হল শহরে। দক্ষিণ দমদম পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে দশম শ্রেণির মেধাবী ছাত্র সায়ন হালদারের। উত্তরপ্রদেশ থেকে রাজ্যে আসা এক তরুণীর মৃত্যু হয়েছে সল্টলেক আমরিতে। দুটি ক্ষেত্রেই ডেথ সার্টিফিকেটে ডেঙ্গির উল্লেখ রয়েছে।
দশম শ্রেণির ছাত্রের পরিবার সূত্রে খবর, সপ্তমীর দিন জ্বর আসে তার। প্রথমে গোরাবাজারে পুরসভার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারপর অবস্থার অবনতি হলে স্থানান্তরিত করা হয় আর জি কর হাসপাতালে। সেখানেই গতকাল রাতে মৃত্যু হয় পড়ুয়ার। মেধাবী ওই ছাত্র ছিল এক ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ক্লাসের ফার্স্ট বয়। তার মৃত্যুতে স্কুলের সহপাঠী ও শিক্ষকদের মধ্যেও শোকের ছায়া। ভেঙে পড়েছে পরিবার। এখনও চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গি। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৬০৭ জন নতুন করে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। গত এক সপ্তাহে ৪ হাজার ৬৭৮ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর।
সেপ্টেম্বরের শেষেও একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। পুজোর আনন্দে মেতে ওঠে মানুষ। প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে নামে মানুষের ঢল। রাস্তায় আলোর রোশনাই। কিন্তু, তারমধ্যেই ভয়ঙ্কর গতিতে ছড়ায় ডেঙ্গি। দিনে দিনে উদ্বেগ-আতঙ্কের আতঙ্কের কারণ হয়ে উঠেছে। চিকিৎসায় একটু দেরি হলেই, পরিস্থিতি গড়াচ্ছে মৃত্যু অবধি। গতমাসে ফের মৃত্যু হয় ডেঙ্গি আক্রান্ত এক তরুণীর। তাঁর ডেথ সার্টিফিকেটে ডেঙ্গির উল্লেখ রয়েছে। ৩৮ বছর বয়সী সঙ্গীতা দেবীকে জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ভেন্টিলেশনেও দিতে হয়। কিন্তু, তাতেও শেষরক্ষা হয়নি। শেষ অবধি তাঁর মৃত্যু হয়। তবে এরইমধ্যে অন্য খবরও রয়েছে। ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে, কার্যত মৃত্যুর দোড়গোড়ায় পৌঁছে গিয়েছিলেন ঠাকুরপুকুরের বাসিন্দা অর্পিতা সেনও। জ্বর নিয়ে তাঁকে একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। ৩-৪ দিনের মধ্যে অবস্থার চূড়ান্ত অবনতি হয়। মাল্টি অর্গ্যান ফেলিওরের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়।
আরও পড়ুন, কোথা থেকে এত টাকা পেয়েছিলেন অনুব্রতর দেহরক্ষী ? আজ জেলে গিয়ে সায়গল হোসেনকে জেরা ইডি-র
তখন নার্সিংহোম থেকে অর্পিতাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। চিকিৎসকরা কোনওমতে সিপিআর দিয়ে তাঁকে প্রাণে বাঁচান। কিন্তু, পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় অর্পিতাকে ভেন্টিলেশনে দিতে হয়। দীর্ঘ দেড় মাসের লড়াইয়ের পর আস্তে আস্তে তিনি সুস্থ হন। বুধবার তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হল। চিকিৎসকরাও বলছেন, এত দিন লড়াই করে, ডেঙ্গি আক্রান্তের সুস্থ হওয়ার নজির সাম্প্রতিক অতীতে নেই।