Dengue Death: ৪৫ বছরেই সব শেষ, দক্ষিণ দমদমে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু গৃহবধূর
Dengue Death in South Dumdum: ৯ দিনে দক্ষিণ দমদমে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে ২ জনের মৃত্যু।১০ নম্বর ওয়ার্ডের পর ২১ নম্বর ওয়ার্ডে প্রাণ হারালেন ৪৫ বছরের গৃহবধূ।
কলকাতা: দক্ষিণ দমদমে ফের ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্তের মৃত্যু। ৯ দিনে দক্ষিণ দমদমে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে ২ জনের মৃত্যু। দক্ষিণ দমদমে (South Dumdum) ১০ নম্বর ওয়ার্ডের পর ২১ নম্বর ওয়ার্ডে মৃত্যু ডেঙ্গি আক্রান্তের। উডল্যান্ডস হাসপাতালে মৃত্যু ৪৫ বছরের গৃহবধূর।
পুজোর মরসুমে ডেঙ্গি নিয়ে ক্রমশ আশঙ্কা বাড়ছে। অজান্তেই বেড়েছে ডেঙ্গির প্রকোপ। স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্টে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, পুজোর কয়েকটা দিন ডেঙ্গি পরীক্ষা অনেকটাই কম হয়েছে। কিন্তু, আক্রান্তের সংখ্যা সেই তুলনায় কমেনি। উল্টে দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে পজিটিভিটি রেট। জেলাওয়াড়ি হিসাব অনুযায়ী পুজো’র মধ্যে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনায়, দ্বিতীয় স্থানেই কলকাতা, তারপর হাওড়া।
অক্টোবারের প্রথম সপ্তাহে জানা যায়, পুর এলাকার নিরিখে শীর্ষে রয়েছে কলকাতা, গত এক সপ্তাহে এখানে আক্রান্ত হয়েছেন সাড়ে ছশোর বেশি মানুষ। উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুরে এক সপ্তাহে ডেঙ্গি আক্রান্ত ৩৭০ জন। এই তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে দার্জিলিঙের শিলিগুড়ি পুরসভা। সেখানে এক সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা ৩০০ ছুঁইছুঁই। স্বাস্থ্য দফতরের গত সপ্তাহে, বৃহস্পতিবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বুধ থেকে বৃহস্পতিবার, অর্থাৎ শুধুমাত্র ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৬০৭ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গি আক্রান্ত হচ্ছেন ২০ থেকে ৪০ বছর বয়সীরা। প্রবীণ ও শিশুদের মধ্যে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা অনেক কম। এই পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, আতঙ্ক আরও বাড়াচ্ছে।
আরও পড়ুন, কালীপুজোর আগে স্বস্তির খবর! রাজ্য থেকে বিদায় নেবে বর্ষা?
অপরদিকে, দুর্গাপুজো মিটতেই ডেঙ্গিতে জোড়া মৃত্যু হল শহরে। দক্ষিণ দমদম পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে দশম শ্রেণির মেধাবী ছাত্র সায়ন হালদারের। উত্তরপ্রদেশ থেকে রাজ্যে আসা এক তরুণীর মৃত্যু হয়েছে সল্টলেক আমরিতে। দুটি ক্ষেত্রেই ডেথ সার্টিফিকেটে ডেঙ্গির উল্লেখ রয়েছে। দশম শ্রেণির ছাত্রের পরিবার সূত্রে খবর, সপ্তমীর দিন জ্বর আসে তার। প্রথমে গোরাবাজারে পুরসভার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারপর অবস্থার অবনতি হলে স্থানান্তরিত করা হয় আর জি কর হাসপাতালে। সেখানেই গতকাল রাতে মৃত্যু হয় পড়ুয়ার। মেধাবী ওই ছাত্র ছিল এক ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ক্লাসের ফার্স্ট বয়। তার মৃত্যুতে স্কুলের সহপাঠী ও শিক্ষকদের মধ্যেও নেমে আসে শোকের ছায়া।