North 24 Paraganas: যাত্রা শেষ, লাদাখ থেকে বাড়ি ফিরলেন রিকশা চালক সত্যেন দাস
North 24 Paraganas News:বহু প্রতিকুলতা,বিপদের ঝুঁকি, ভালুক ও জংলি কুকুরের ভয় উপেক্ষা করে নিজের জীবন বাজী রেখে পরিবেশ বাঁচানোর ওই আর্জি নিয়ে লাদাখ পৌছে গিয়েছিলেন সত্যেন।
![North 24 Paraganas: যাত্রা শেষ, লাদাখ থেকে বাড়ি ফিরলেন রিকশা চালক সত্যেন দাস kolkata rajarhat gopalpur rickshaw puller satyen das returns home after completing journey to Ladakh North 24 Paraganas: যাত্রা শেষ, লাদাখ থেকে বাড়ি ফিরলেন রিকশা চালক সত্যেন দাস](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2021/12/17/cba8ce350e75f00b1a04948e27934b05_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: পরিবেশন দূষণ মোকাবিলার বার্তা নিয়ে নাকতলা থেকে রিক্সা চালিয়ে লাদাখ পাড়ি। এরপর সেই সফর সেরে বাড়ি ফিরলেন সত্যেন দাস। ‘সেভ ওয়াটার!! সেভ ন্যাচার!!’ এই স্লোগান নিজের রিক্সায় ঝুলিয়ে কলকাতার নাকতলায় নিজের বাড়ি থেকে গত ১ অগাস্ট নিজের রিক্সা নিয়ে বেরিয়ে পড়েছিলেন ৫০ বছরের সত্যেন দাস।বহু প্রতিকুলতা,বিপদের ঝুঁকি, ভালুক ও জংলি কুকুরের ভয় উপেক্ষা করে নিজের জীবন বাজী রেখে পরিবেশ বাঁচানোর ওই আর্জি নিয়ে লাদাখ পৌছে গিয়েছিলেন সত্যেন। তবে এটা প্রথম নয় এরকম আরও দুইবার রিক্সা চালিয়ে লাদাখ গিয়েছিলেন সত্যেন।
গ্লোবাল ওয়ার্মিং রুখতে এবং মানুষের মধ্যে পরিবেশ সচেতনতা বাঁড়াতে তার এই যাত্রা।সত্যেন জানান, পৃথিবীর কাছে পরিবেশের কাছে দায়বব্ধ ,তাই সব কিছু ফেলে তাঁর এই যাত্রা। সত্যেন যাতায়াতের পথে অনেক মানুষের ভালোবাসা পেয়েছেন। যাত্রা পথে অনেক মানুষ বাড়িয়ে দিয়েছেন সাহায্যের হাত। আর এগুলি তাঁকে যাত্রা পথে উজ্জীবিত করেছে। তবে পথে নানান ধরনের বিপদ ও ঝুঁকির মোকাবিলা করতে হয়েছে তাঁকে। সত্যেন জানিয়েছেন, যতদিন বাঁচবেন, তার এই প্রয়াস অব্যাহত থাকবে।
কিছুদিনের অপেক্ষা, আবার হয়ত রিক্সার প্যাডেলে চাপ দিয়ে নতুন কোনও গন্তব্যের পথে রওনা দেবেন সত্যেন। থাকতে পারে হয়ত, নতুন কোনও বার্তা।
নাম সত্যেন দাস। পেশায় রিকশা চালক।নেশা বিভিন্ন দূরতম স্থানে অভিযান।এই অভিযাত্রী জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছেন। তাঁর রোমাঞ্চকর কাহিনির উপর নির্মিত তথ্যচিত্র ‘লাদাখ চলে রিকশাওয়ালা’ দেশি-বিদেশি বহু মানুষের প্রশংসা কুড়িয়েছে। এবারও প্রায় ৭ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিল তাঁর রিকশা। যাতে ছিল পরিবেশ সচেতনতা ও গাছ লাগানোর বার্তা। তারপর সেখান থেকে ফিরলেন তিনি। সঙ্গী সেই রিকশা।
সত্যেন দাসের এ ধরনের যাত্রা শুরু হয়েছিল ৯০-এর দশকে। ১৯৯৩-র একটা ঘটনাই তাঁকে আরও শক্তিশালী করে তুলেছে। স্থানীয় লোকজন একবার পুরীতে পিকনিকের আয়োজন করেছিলেন। আর এতে যোগদানের জন্য মাথাপিছু ৪০০ টাকা করে দিতে হতে। সত্যেন দাসের কাছে এত টাকা ছিল না। তিনি আয়োজকদের বলেছিলেন যাওয়ার সময় ২০০ টাকা দেবেন।ফিরে এসে বাকি দুশো টাকা দেবেন। কিন্তু আয়োজকরা রাজি হননি। হাল না ছেড়ে ভাইয়ের সাইকেল নিয়েই পাড়ি দিয়েছিলেন পুরী। সেই শুরু। আর পিছু ফিরে তাকাননি তিনি। এরপর বিভিন্ন জায়গায় প্যাডেলে চাপ দিয়েই পাড়ি জমিয়েছেন।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)