North 24 Parganas:দত্তপুকুরে মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে 'খুন' তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যার মা
Mother Of TMC Panchayat Member Killed:দত্তপুকুরে মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে 'খুন' তৃণমূল সদস্যার মা। মৃতের মেয়ে দেবযানী সর্দার দত্তপুকুর ১ নম্বর পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্যা।
সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: দত্তপুকুরে (Duttapukur Crime) মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে 'খুন' তৃণমূল সদস্যার মা (TMC Panchayat Membar Mother Murdered)। মৃতের মেয়ে দেবযানী সর্দার দত্তপুকুর ১ নম্বর পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্যা। পুলিশ সূত্রে খবর, মুখে কাপড় বাঁধা অবস্থায় একটি দেহ উদ্ধার হয়। শ্বাসরোধ করে তাঁকে খুন করা হয়েছিল বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান করছে পুলিশ। কে বা কারা, কেন খুন করল সেটা এখনও স্পষ্ট নয়।
যা জানা গেল...
মৃতের নাম বেবিরানি সর্দার। মৃতার কন্যা তথা তৃণমূলের জয়ী পঞ্চায়েত সদস্যা দেবযানী জানিয়েছেন, রবিবার ভোররাতে, সিঁড়ির নিচের দরজা দিয়ে নেমে আসে দুষ্কৃতীরা। তার মুখে কাপড় বাঁধা ছিল। তার পরেই ওই ঘটনা নজরে আসে। রবিবার সকালে খবরটি জানাজানি হতেই পৌঁছয় দত্তপুকুর থানার পুলিশ। দত্তপুকুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান দেবযানী সর্দার ও বর্তমান সদস্যের সঙ্গে একই বাড়িতে থাকছিলেন তাঁর মা। আজ শোওয়ার ঘরে মাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান দেবযানী। মৃতের বয়স ৫৫ বছর। পরিবারের প্রত্য়েকে হতভম্ব। বিশেষত, দেবযানীর মেয়ে, বেবিরানির খুদে নাতনি, তার পাশেই ঘুমোচ্ছিল। ঘটনার আকস্মিতায় সে সম্পূর্ণ হতবাক। তার মধ্যেই তার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছে পুলিশ। একই বাড়িতে দেবযানীর স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়িও থাকতেন। সেই বাড়িরই শোওয়ার ঘরে রক্তাক্ত অবস্থায় পঞ্চায়েতের তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য়ার মায়ের দেহ উদ্ধার হলে সারা এলাকায় হইচই পড়ে গিয়েছিল। প্রাথমিক ভাবে খবর, মুখে কাপড় বাঁধা অবস্থায় বেবিরানিকে প্রথমে গলা টিপে মারা হয়েছে। তাঁর মুখেও আঘাত করা হয়। কান দিয়ে রক্তপাতেরও প্রমাণ রয়েছে। এখনও পর্যন্ত পুলিশের তরফ থেকে খুনের কারণ, কে বা কারা এই কাণ্ডের নেপথ্যে রয়েছে কিছুই স্পষ্ট করে জানানো হয়নি। আপাতত দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তার রিপোর্ট এলে ছবিটি আরও স্পষ্ট হবে বলেই ধারণা।
ব্যবসায়ী খুনে আরও গ্রেফতার...
অন্য দিকে নরেন্দ্রপুরে ব্যবসায়ী শাহিদ মণ্ডলকে খুনের ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই নিয়ে ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ২। ধৃতের নাম বিনয়কৃষ্ণ দাস। পুলিশের দাবি, সে 'টিপার' হিসেবে কাজ করেছিল। পুলিশের দাবি, গড়িয়ার বোয়ালিয়ায় ভাড়াবাড়িতে থাকত বিনয়কৃষ্ণ। গড়িয়া স্টেশনের সন্ধ্যাবাজারে তার একটা দোকানও রয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, বিনয়কৃষ্ণ 'টিপার' হিসেবে কাজ করেছিল। সাহিদের কাছে টাকা থাকা এবং তার গতিবিধি সংক্রান্ত তথ্য সেই দুষ্কৃতীদের কাছে পৌঁছে দিয়েছিল বলে খবর।
আরও পড়ুন:বিদায় চেয়েও ডিগবাজি বিজেপি-র প্রলয় পালের, জানালেন, ছাড়ছেন না রাজনীতি