Samik Bhattacharya: 'অনুপম দত্তকে তৃণমূলের কর্মীরাই খুন করেছে', অভিযোগ শমীকের
Samik on Anupam Dutta Murder Case: 'তৃণমূলের একাংশ এই খুনিকে বাঁচাতে চাইছে', অনুপম দত্ত খুনে 'মূল ষড়যন্ত্রীর' জামিন মিলতেই বিস্ফোরক শমীক ভট্টাচার্য। আরও কী বললেন রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র ?
উত্তর ২৪ পরগনা: অনুপম দত্ত খুনে (Anupam Dutta Murder Case) 'মূল ষড়যন্ত্রীর' জামিন (Main Conspirator gets Bail) মিলতেই 'আত্মহত্যার চেষ্টা' খোদ তৃণমূল কাউন্সিলর মীনাক্ষী দত্ত-র ( TMC Councillor Minakshi Dutta)। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তিনি ও তাঁর গোটা পরিবার।'মূল ষড়যন্ত্রীর' জামিন হতেই বিস্ফোরক মৃতের পরিবার। চার্জশিট নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ তোলা হয়েছে। নিহত কাউন্সিলরের স্ত্রী, সন্তান-সহ গোটা পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ্যে এসেছে। এহেন ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দিলেন রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য (Samik Bhattacharya)। তিনি বলেছেন,'অনুপম দত্তকে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরাই খুন করেছে, তৃণমূলের একাংশ এই খুনিকে বাঁচাতে চাইছে।'
অনুপম দত্তকে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরাই খুন করেছে: শমীক ভট্টাচার্য
এদিন শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, 'অনুপম দত্তের হত্যাটা যথেষ্টভাবেই সংবাদমাধ্যমের আলোকে আলোকিত হয়ে গিয়েছে। অনুপম দত্তের হত্যাকাণ্ড নিয়ে তৃণমূল প্রাথমিক বিবৃতি দিয়েছিল, বিজেপির চক্রান্ত। পরবর্তীকালে তারা তাঁর স্ত্রীকে নির্বাচিত করে কাউন্সিলর বানালেন। আমরা প্রথম দিন কিন্তু বলেছিলাম, অনুপম দত্তের হত্যা, তৃণমূলের আভ্যন্তরীণ দখলদারীরই ফসল। অনুপম দত্তকে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরাই খুন করেছে। আর হত্যার মূল যিনি অভিযুক্ত, আজকে সে যদি জামিন পায়, সেটা আইনি প্রক্রিয়া, কিন্তু সেখানে কোনও পুলিশ প্রশাসনের এমন কোনও কর্তার ক্ষমতা নেই, যে সিদ্ধান্ত নিয়ে আজকে তিনি জামিন করে দিতে পারেন। সুতরাং এই পুরো প্রক্রিয়ায় তৃণমূলের উচ্চস্তর নেতৃত্ব যুক্ত , তৃণমূলের একাংশ এই খুনিকে বাঁচাতে চাইছে।'
পুলিশের উপর এতদিন ভরসা রেখেছিলাম:নিহত কাউন্সিলরের স্ত্রী মীনাক্ষী দত্ত
নিহত কাউন্সিলরের স্ত্রী মীনাক্ষী দত্ত এদিন বলেন, 'একটা মানুষ যদি একটা মানুষকে মেরে দিয়ে এভাবে হঠাৎ বেরিয়ে যায়, তাহলে আমার কথা আপনি পরে ভাববেন, কোন মানুষ আজ নিরাপদে আছে ? নিরাপদে তো কেউ নেই তাহলে। পুলিশের উপর এতদিন ভরসা রেখেছিলাম। এখনও আছি , দেখা যাক কী হয়।' উচ্চতর তদন্তের দাবি জানাতে চান কিনা প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, 'অবশ্যই আরও ভালভাবে যেনও তদন্ত হয়।'
আরও পড়ুন, কত চাকরি হয়েছে ? কত বাকি ? পরিসংখ্যান চেয়ে বামেদের নিশানা মমতার
' পুলিশের কাছে খুনের কথা কবুলও করেছে খুনি, কীভাবে হাইকোর্টে জামিন মিলল ?'
নিহত কাউন্সিলরের ভাই নিরুপম দত্তর দাবি, খুনের ঘটনার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ রয়েছে। পুলিশের কাছে খুনের কথা কবুলও করেছে খুনি। গোটা ঘটনায় মূল ষড়যন্ত্রী বাপি পণ্ডিতের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। এরপরও কীভাবে হাইকোর্টে জামিন মিলল ? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে নিহতের পরিবার। পরিবারের দাবি, খুনে অভিযুক্তের জামিনের খবর মেলার পরেই দুই সন্তানকে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন অনুপম দত্তর স্ত্রী ও পানিহাটির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর মীনাক্ষী দত্ত। তারপরেই তাঁকে সাগর দত্ত মেডিক্যাল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে চিকিৎসাধীন মীনাক্ষীর শারীরিক অবস্থা এই মুহূর্তে স্থিতিশীল বলেই জানিয়েছে পরিবার।