North 24 Parganas News: পাচারকারীদের প্ল্যান ভেস্তে দিল BSF, উদ্ধার হওয়া প্যাকেট খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ
BSF Rescue Ornaments: ভারত- বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তে, ১৭ কেজি রূপার অলঙ্কার পাকড়াও করেছে বিএসএফ।
সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: ফের সীমান্ত পাচারকারীদের প্ল্যান ভেস্তে দিল বিএসএফ (BSF)। ভারত বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তে, ১৭ কেজি রূপার অলঙ্কার পাকড়াও করেছে বিএসএফ। জানা গিয়েছে, চোরাকারবারীরা এসব অলঙ্কার ভারত থেকে বাংলাদেশে পাচার করার চেষ্টা করছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। বিএসএফ গোটা পরিকল্পনায় জল ঢেলেছে। জানা গিয়েছে , উদ্ধার হওয়া ওই অলঙ্কারের আনুমানিক মূল্য ১০,৩৮,৯৯৬ টাকা।
জানা গিয়েছে, ২৪ জুলাই সুনির্দিষ্ট তথ্যের উপর কাজ করে, সীমান্ত চৌকি হাকিমপুর, ১১২ ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা একটি গ্রামের পুকুরের কাছে অভিযান চালায়। জওয়ানরা বাঁশের ঝোপের মধ্যে চোরাকারবারীদের গতিবিধি লক্ষ্য করে। এরপর জওয়ানরা চোরাকারবারিদের তাড়া করে থামতে বলে। এদিকে জওয়ানরা, তাদের দিকে আসতে দেখে পাচারকারীরা ঘনবসতি, অন্ধকার ও ঝোপঝাড়ের সুযোগ নিয়ে হাকিমপুর গ্রামের দিকে পালিয়ে যায়। এর পরেই এলাকায় তল্লাশি অভিযান শুরু করে জওয়ানরা। তল্লাশির সময় জওয়ানরা ঘটনাস্থল থেকে একটি সাদা রঙের প্লাস্টিকের ব্যাগ উদ্ধার করে। প্লাস্টিকের ব্যাগটি খুললে বাদামি রঙের ১৫ টি প্যাকেট পাওয়া যায়। আর ওর ভিতর থেকেই উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ রূপোর অলঙ্কার।
ইতিমধ্যেই উদ্ধার হওয়া ওই রূপার অলংকার পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তেঁতুলিয়া কাস্টম অফিসে হস্তান্তর করা হয়েছে। জওয়ানদের সাফল্যে আনন্দ প্রকাশ করে, শ্রী একে আর্য, ডিআইজি, মুখপাত্র, বিএসএফ, দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ার বলেছেন,' চোরাকারবারিদের তাদের ঘৃণ্য পরিকল্পনা চালানো থেকে বিরত রাখতে চোরাচালানের সম্ভাব্য সমস্ত পথ কঠোর নজরদারিতে রাখা হয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, 'চোরাচালান সংক্রান্ত তথ্য দেওয়ার জন্য তাহার নিকট একটি গুপ্ত দল রয়েছে, যারা সীমান্ত এলাকায় সংঘটিত সম্ভাব্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের ওপর কড়া নজর রাখছে।'
আরও পড়ুন, 'এটি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক আড্ডা', উপরাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের পর বললেন দেব
চলতি বছরে সোনাপাচারকাণ্ডে একটি বড় পর্দাফাঁস হয়েছিল শিলিগুড়িতে।মায়ানমার থেকে কলকাতায় পাচারের আগেই শিলিগুড়ির (Siliguri) কাছে পানকৌরি টোল প্লাজায় ধরা পড়েছিল ১৪ কেজি সোনা। যার বাজার মূল্য ৮ কোটি ৬১ লক্ষ ৪৬ হাজার টাকা। গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে, রাত ন'টা নাগাদ অভিযান চালিয়ে বিপুল সোনা উদ্ধার করেছিল রাজস্ব গোয়েন্দা দপ্তর। ১৩ টি ভাগে নিজস্ব চারচাকা গাড়িতে আলাদা বাক্স বানিয়ে রাখা হয়েছিল এই সোনা। ধৃত দুজনেই মিজোরামের বাসিন্দা। মূলত বেল্টের মাঝে, ট্যাবলেট বানিয়ে, পেনের রিফিলে নানা মূল্যবান জিনিস লুকিয়ে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে চোরাপাচার করতে গিয়ে সীমান্তে এবং বিমানবন্দরে একাধিকবার ধরা পড়ার ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু সেগুলি সবই লোকচক্ষুর আড়াল করলেও কাস্টমের চোখ ফাঁকি দেওয়া সম্ভব হয়নি।