Suvendu Adhikari: 'মমতাকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করব', চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর
Suvendu on Mamata: ঠাকুরবাড়িতে গিয়ে 'মুখ্যমন্ত্রী' ইস্যুতে কী চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর ?
উত্তর ২৪ পরগনা: মমতাকে 'উৎখাতের ডাক' শুভেন্দুর। ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) গণতান্ত্রিকভাবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করব’, ঠাকুরবাড়িতে গিয়ে চ্যালেঞ্জ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দু অধিকারী এদিন চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আরও বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধীদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। আমরা কিন্তু ছাড়ব না।'
এদিন শুভেন্দু বলেন, 'সিএএ বহু চর্চিত বিষয়, সিএএ-র দাবি বারে বারেই করেছি। যেমন কথা তেমন কাজ, সিএএ পাস হয়েছে। কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার কথা আইনে নেই। আগামী দিনে এরাজ্যে সিএএ চালু হবে। দম থাকলে সিএএ আটকে দেখান। সিএএ বিরোধিতার নামে উস্কানি দেওয়া হচ্ছে ও হেনস্থা করা হচ্ছে। সিএএ কার্যকর হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। আগামী দিনে পশ্চিমবঙ্গে ডবল ইঞ্জিন সরকার চালু হবে।’ পঞ্চায়েত ভোটের আগে সিএএ নিয়ে সুর চড়াচ্ছে বিজেপি। বিজেপির ডাকে সিএএ নিয়ে সমাবেশে যোগ দিতে ঠাকুরনগরে যান শুভেন্দু। ঠাকুরবাড়িতে গিয়ে পুজো দেন বিরোধী দলনেতা।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার সংবিধান দিবস পালনের আবহেও বিধানসভায় দাঁড়িয়েই শাসকদলের সমালোচনা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। অথচ সেদিনই আবার মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে শুভেন্দু। গতকাল বিধানসভায় সংবিধান দিবস ( Constitution Day )উপলক্ষে অনুষ্ঠানে শাসক দলকে নিশানা করেন শুভেন্দুৃ। ‘সংবিধানে লেখা, ফর দ্য পিপল, অফ দ্য পিপল, বাই দ্য পিপল’। আমাদের এখানে চলে, ফর দ্য পার্টি, অফ দ্য পার্টি, বাই দ্য পার্টি’।২৬ নভেম্বর সংবিধান দিবস। নির্ধারিত দিনের আগেই শুক্রবার বিশেষ এই দিন পালিত হয় বিধানসভায় ( West Bengal Assembly )। আর এখান থেকেই ফের একবার শাসকদলকে বাক্যবাণে বিঁধলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা।
আরও পড়ুন, 'সবার একসঙ্গে আসা উচিত’, পঞ্চায়েত ভোটের আগে মহাজোটের সওয়াল মিঠুনের
শুক্রবার বিধানসভায় দাঁড়িয়েই শুভেন্দু বলেন, ‘ভোটের সময় আমরা আমাদের রাজনীতি করব। কিন্তু বাকি সময় সংবিধান অনুযায়ী চলব। বিধানসভা থেকে এটাই শপথ নেওয়া উচিত’। ফের একবার তৃণমূল সরকারকে কাঠগড়ায় তুলে বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘প্রশাসনিক সভায় বিরোধীদের ডাকা হয় না। যথা সময় পুরসভা নির্বাচন হয় না, প্রশাসক বসিয়ে চলছে। ' শুভেন্দুর বক্তব্যে আসে কলেজ রাজনীতি প্রসঙ্গও। এনিয়েই যখন রাজ্য-রাজনীতি তোলপাড় হচ্ছে, তখন অত্যন্ত ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দিলীপ ঘোষের কথায়, 'ওঁদের পুরনো সম্পর্ক বহু বছরের, কী আছে জানি না। অনেকে কালীঘাটে প্রণাম করে আসেন। উনি ওখানে প্রণাম করেছেন। তাঁদের ব্যক্তিগত সম্পর্ক, প্রণাম করাটা কোনও পাবলিক ম্যাটার মনে করি না। সেটা ব্যক্তিগত হওয়া উচিত, শ্রদ্ধা-সম্মানের সঙ্গে।'