(Source: Poll of Polls)
North 24 Parganas: ব্রিটিশদের ইতিহাস থেকে ভবতারিণী মায়ের মন্দির, ঘুরে দেখার অন্যতম আকর্ষণ এই জেলা
Tourist Spots in West Bengal: কথিত আছে, ১৭৫৭ সালে বাংলার তৎকালীন নবাব মীর জাফর কুলপি পর্যন্ত ২৪টি জংলী মহল বা পরগণার জমিদারি স্বত্ব ভোগ করার অধিকার দেন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে।
Tourist Spots in West Bengal: কথিত আছে, ১৭৫৭ সালে বাংলার তৎকালীন নবাব মীর জাফর কুলপি পর্যন্ত ২৪টি জংলী মহল বা পরগণার জমিদারি স্বত্ব ভোগ করার অধিকার দেন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে। সেই থেকে জায়গাটির নাম হয় ২৪ পরগনা। পরবর্তীকালে এর উত্তর অংশ নিয়ে তৈরি হয় উত্তর ২৪ পরগনা । জেনে নিন এই জেলার কিছু দর্শনীয় স্থান।
দক্ষিণেশ্বরের কালী মন্দির
কলকাতার অদূরে হুগলি নদীর তীরে রয়েছে দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দির। ১৮৫৫ সালে জমিদার রানি রাসমণি এই মন্দিরটি তৈরি করেন। দেবী কালীকে এখানে ভবতারিণী রূপে পূজো করা হয়। বিশিষ্ট যোগী তথা কালী সাধক রামকৃষ্ণদেব এই মন্দিরের পুরহিত ছিলেন। কালী মন্দির ছাড়াও এখানে দ্বাদশ শিব মন্দির, নাট মন্দির ও রামকৃষ্ণ পরমহংসের বাসগৃহ রয়েছে।
আদ্যাপীঠ মন্দির
দক্ষিণেশ্বর মন্দির থেকে বেশ কিছুটা দূরে রয়েছে হিন্দুতীর্থ আদ্যা মায়ের মন্দির। এই মন্দিরের চূড়ার দিকে লক্ষ্য করলে দেখবেন, এটি তিন চূড়াওয়ালা একটি মন্দির। প্রথম ধাপে উপবীষ্ট রয়েছে ঠাকুর রামকৃষ্ণের মূর্তি। দ্বিতীয় ধাপে বাসানো রয়েছে অষ্টধাতুর দেবী মূর্তি। তৃতীয় ধাপে দেখতে পাবেন রাধাকৃষ্ণের যুগলমূর্তি। দূর-দূর থেকে এই মন্দিরে ভিড় জমান ভক্তরা।
চন্দ্রকেতুগড়
কলকাতার উত্তরপূর্বে প্রায় ৩৪ কিলোমিটার দূর রয়েছে চন্দ্রকেতুগড়। ইতিহাস প্রসিদ্ধ এই স্থানে আজও উঁকি দেয় বহু অধ্যায়। শোনা যায়, এখানকার ইতিহাস মৌর্য যুগের আগের কথা বলে। গ্রিক দার্শনিক মেগাস্থিনিসের রচনা ইন্ডিকাতে এই স্থানের উল্লেখ রয়েছে। রাজা বিক্রমাদিত্যের সভারত্ন বিখ্যাত জ্যোতির্বিদ বরাহমিহির ও তাঁর পুত্রবধূ খনার নাম যুক্ত। কথিত আছে, এখানে খনা ও বরাহমিহিরের বাসস্থান ছিল।
টাকি
গরমে দিঘা হলে শীতে বাঙালির বার-বার আসার জায়গা টাকি। ইচ্ছামতী নদীর তীরে টাকির সৌন্দর্য আপানাকে টানবেই। ওপারে বাংলাদেশ আর এপারে টাকি, মাঝে নদীবক্ষে নৌকাভ্রমণ করে নিতে পারেন চাইলেই। গোল পাতা, মাছরাঙা দ্বীপের পাশাপাশি টাকি যেন ধরা দেবে সুন্দরবনের প্রতিকৃতি হিসাবে। কলকাতা থেকে মাত্র ২ ঘণ্টায় পৌঁছে যেতে পারেন এখানে।
ব্যারাকপুর
দেশে ব্রিটিশ ইতিহাসের অন্যতম জনপদ এই ব্যারাকপুর। ইংরেজি শব্দ বারাক থেকেই ব্যারাকপুরের উৎপত্তি। শোনা যায়, উনিশ শতকে ব্যারাকপুরে গঙ্গার ধারে তৈরি করা হয় এক সাজানো বাগান। সেই পার্কটিকে এখন আমরা নাটবাগান বা মঙ্গল পান্ডে পার্ক বলেও চিনি। এটি ব্যারাকপুর স্টেশনে নেমে খুব একটা দূরে নয়।
আরও পড়ুন: Kalimpong : কুয়াশা ঘেরা পাইন-বন, মনাস্ট্রির শান্তি, নয়নাভিরাম কাঞ্চনজঙ্ঘা, চলো Let's go কালিম্পং