TMC: তৃণমূল কাউন্সিলরদের লড়াইয়ে রণক্ষেত্র পানিহাটি, পরিস্থিতি সামলাতে নামল পুলিশ
Panihati TMC Clash: শাসক দলের দুই কাউন্সিলরের বচসা, হাতাহাতিতে রণক্ষেত্র উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটি।
সমীরণ পাল, পানিহাটি: পার্টি অফিস কার? তা নিয়ে ২ তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলরের লড়াইয়ে রণক্ষেত্র পানিহাটি (Panihati)। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামতে হল পুলিশকে (Police)। পার্টি অফিসে তালা ঝোলালেন উপপুরপ্রধান।
পার্টি অফিস একটি। দাবিদার দুই। অফিস কার? কে বসবেন সেখানে? তাই নিয়ে সম্মুখ সমরে পানিহাটি পুরসভার দুই তৃণমূল কাউন্সিলর স্বপন কুণ্ডু এবং টুলু দাস। শাসক দলের দুই কাউন্সিলরের বচসা, হাতাহাতিতে রণক্ষেত্র উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটি।
বিবাদ এমন জায়গায় পৌঁছয়, যে ছুটে আসতে হয় ঘোলা থানার পুলিশকে। বিবাদের কেন্দ্রে ঘোলা থানার মহেন্দ্রনগরের এই পার্টি অফিস। আগে ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন টুলু দাস। গত পুরনির্বাচনে ২১ নম্বর ওয়ার্ডে টিকিট দেওয়া হলে প্রথমে দাঁড়াতে চাননি তিনি। পরে ওবশ্য ওই ওয়ার্ড থেকেই ভোটে জেতেন। টুলু যখন ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন, তখন ওই ওয়ার্ডের মহেন্দ্রনগরের পার্টি অফিসে বসতেন। গত পুরভোটে ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হন স্বপন কুণ্ডু।
ভোটের জেতার পর স্বপন দাবি করেন, ২০ নম্বর ওয়ার্ডের পার্টি অফিসে তিনি বসবেন। কিন্তু রাজি হননি টুলু। তাঁর অভিযোগ, রাজি না হওয়ায় স্বপন কুণ্ডু অনুগামীদের নিয়ে পার্টি অপিস দখল করার চেষ্টা করছেন। সোমবার সন্ধ্যায় দুই কাউন্সিলরের বিবাদ চরমে পৌঁছয়। একে অপরের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তুলেছে দু’পক্ষই।
ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ঘোলা থানার পুলিশ। লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করে ভিড় সরিয়ে দেন পুলিশকর্মীরা। এরপর ঘটনাস্থলে আসেন পানিহাটি পুরসভার উপপুরপ্রধান সুভাষ চক্রবর্তী। পরিস্থিতি সামাল দিতে তিনি পার্টি অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেন। ঘটনা নিয়ে জেলা নেতৃত্বের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলানি।