Shantanu Thakur On CAA:'সিএএ লাগু হলে মানুষের উপকার, এতে বিজেপির আসনসংখ্যাও বাড়বে', প্রত্যয়ী শান্তনু ঠাকুর
Citizenship Amendment Act: 'সিএএ লাগু হলে মানুষের উপকার হবে। এর ফলে কারও নাগরিকত্ব যাবে না', দাবি বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের।
উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: সিএএ (Shantanu Thakur On CAA) লাগু হলে মানুষের উপকার হবে। এর ফলে কারও নাগরিকত্ব যাবে না। দাবি বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের। এর ফলে বিজেপির আসনসংখ্যা বাড়বে বলেও দাবি করেন শান্তনু ঠাকুর।
আর যা বললেন...
এদিন এবিপি আনন্দের সঙ্গে এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বনগাঁর সাংসদ আরও একবার দাবি করেন, 'এই আইন নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন, কারও থেকে নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার আইন নয়।' সঙ্গে আরও একবার জানালেন, ১৯৭১ সাল থেকে ২০১৪ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে যাঁরা উৎপীড়িত হয়ে এদেশে এসেছেন, সেই ধর্মীয় সংঘ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন এটি। তবে যাঁরা আগে থেকেই এদেশের নাগরিক, তাঁদের কোনও ভাবে আর কিছু আবেদন করতে হবে না। লোকসভা ভোটের ঠিক মুখে গত কাল, সোমবার, সিএএ বিধি কার্যকর করে দেওয়ায় তুমুল রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে বাংলায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধি কার্যকর হওয়ার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আগেই জানিয়ে দেন, কোনও ধরনের বৈষম্য হলে মানবেন না। তার পর, আজ, হাবড়ার সভা থেকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন।
এসবের প্রেক্ষিতে বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের বক্তব্য়, 'কংগ্রেসই শুরুই করেছিল এটা। বিজেপি সরকার শুধু উৎপীড়িতদের এদেশে স্থায়ী ব্যবস্থা করার জন্য সিএএ কার্যকর করার ব্যবস্থা করল।' এর পর রাজ্যের তৃণমূল সরকারেরও পাল্টা সমালোচনা শোনা যায় তাঁর মুখে। বলেন, 'পাসপোর্ট অ্যাক্ট আইনে এমন কিছু মানুষজনের কাছে ১৯৭১ সালের আগেকার দলিল চাওয়া হচ্ছে। কে করছে? বর্তমান রাজ্য সরকার। তাতে কারা ফাঁসছেন? যাঁরা ওপার থেকে এসেছেন।' কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মতে, রাজ্য সরকারের উচিত ছিল, এঁদের পরিচয় ইত্যাদি যাচাই করে জনগণনায় নাম পাঠিয়ে তাঁদের ভারতের বৈধ পরিসরে নিয়ে আসা। রোহিঙ্গাদের অনুষঙ্গও টানেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এর পরই তাঁর প্রশ্ন, 'আমাদের যদি ভবিষ্যতে কোনও সরকার বের করে দেয়, সংবিধানে অধিকার নিশ্চিত না থাকে, তখন কী করব আমরা?' কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল সরকার যদি করতেই না দেয়? শান্তনু ঠাকুরের বক্তব্য, 'রাজ্য সরকারের কিছু বলার এক্তিয়ারই নেই।'
মমতার হুঙ্কার...
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যখন একথা বলছেন, তার আগেই হাবড়ার সভায় মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, 'অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছে বিজেপি । সাবধান থাকতে হবে। যে সিএএ কেন্দ্র ঘোষণা করেছে, তার বৈধতা নিয়ে সন্দেহ আছে।পুরোটাই ভাঁওতা, অধিকার কেড়ে নেওয়ার খেলা। দরখাস্ত করলে, নাগরিকত্ব বাতিল হয়ে যাবে।'
আরও পড়ুন:মাঝরাতে ছাদে ২০ জনের ডাকাত দল ! ডালখোলায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতি-মারধর