West Bengal Bypoll 2021:খড়দায় অনেক এগিয়ে শোভনদেব, দ্বিতীয় স্থানের জন্য জোর টক্কর বিজেপি ও সিপিএমের
West Bengal Bypoll Khardah Assembly Result 2021:আজ রাজ্যে চার বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনের ভোটের গণনা চলছে। গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল খড়দা আসনে জয়ী হয়েছিল। দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন বিজেপি প্রার্থী।
উত্তর ২৪ পরগনা: ২০১৬-র বিধানসভা ভোটে মুখ থুবড়ে পড়েছিল বাম-কংগ্রেস জোট। ঘাসফুলের দাপটে জোট বেঁধেও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি বাম ও কংগ্রেস। এবার আইএসএফ-এর সঙ্গে হাত মিলিয়েও জোটের হাল ফেরাতে পারেনি তারা। উল্টে রক্তক্ষরণ হতে হতে বিধানসভা নির্বাচনে তারা রক্তশূন্য হয়ে পড়ে। অধিকাংশ আসনেই সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছিল তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে। বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ জোটকে একটি আসন পেয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল। বিধানসভায় এই প্রথম বাম ও কংগ্রেসের কোনও প্রতিনিধি নেই। এরইমধ্যে আজ রাজ্যে চার বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনের ভোটের গণনা চলছে। আর গণনার প্রবণতা অনুযায়ী, চারটি আসনেই এগিয়ে ক্ষমতাসীন তৃণমূল। এরইমধ্যে নজর কেড়েছে খড়দা। সেখানে ভোট গণনার প্রাথমিক প্রবণতা অনুযায়ী দ্বিতীয় স্থানের লড়াইয়ে বিজেপি প্রার্থীকে পিছনে ফেলে দিয়েছিলেন সিপিএম প্রার্থী দেবজ্যোতি দাস। দ্বিতীয় স্থানের লড়াইয়ে নবম রাউন্ডে অনেকটাই ব্যবধান কমায় বিজেপি। দশম রাউন্ডের পর সিপিএমকে পিছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে বিজেপি। গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল খড়দা আসনে জয়ী হয়েছিল। দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন বিজেপি প্রার্থী শীলভদ্র দত্ত। কিন্তু এবার এই আসনের উপনির্বাচনে ভোট গণনার প্রবণতা অনুযায়ী, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে তৃণমূল প্রার্থী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়।
উত্তর ২৪ পরগনার খড়দা বিধানসভা কেন্দ্রে গত নির্বাচনে ২৮ হাজার ১৮০ ভোটে জেতেন তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিন্হা। তবে ফল ঘোষণার আগেই মৃত্যু হয় জয়ী তৃণমূল প্রার্থীর। এবার সেই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। বিজেপি প্রার্থী জয় সাহা। এবং সিপিএমের হয়ে লড়েছেন দেবজ্যোতি দাস।
খড়দায় চতুর্থ রাউন্ডের শেষে ১৮ হাজার ০৬৮ ভোটে এগিয়ে ছিল তৃণমূল।খড়দায় চতুর্থ রাউন্ডের শেষে বিজেপিকে পিছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থানে ছিল সিপিএম। সপ্তম রাউন্ডের শেষে ৩৩ হাজার ২০১ ভোটে এগিয়ে তৃণমূল। খড়দায় ষষ্ঠ রাউন্ডের শেষেও বিজেপিকে পিছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থানে ছিল সিপিএম।
খড়দার বিজেপি প্রার্থী জয় সাহা বলেছেন, ৩০ তারিখেই বোঝা গেছিল এই ফল হবে। যেভাবে প্রক্সি ভোট হয়েছে তাতে অন্যরকম কিছু হওয়া সম্ভব ছিল না। তবে সেদিনই বিজেপির নৈতিক জয় হয়ে গেছে। পাল্টা সৌগত রায় বলেছেন, ‘আমি তো বলেছিলাম কেউ এজেন্ট বসাতে না পারলে আমাজে জানাবেন। আমি নিজে ব্যবস্থা করব। জানাননি কেন ? ’