North 24 Parganas: পানিহাটিতে খুনের ২ ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেফতার আততায়ী
Murder: তৃণমূল কাউন্সিলর খুনের এক সপ্তাহের মধ্যে ফের পানিহাটিতে খুন। আগরপাড়ার নয়াবস্তিতে কুপিয়ে খুন করা হয় এক যুবককে। পুলিশ সূত্রে দাবি, খুনের বদলা নিতে খুনের ঘটনা। গ্রেফতার করা হয়েছে দু’জনকে।
সমীরণ পাল, পানিহাটি: তৃণমূল কাউন্সিলর (TMC Councillor) খুনের (Murder) এক সপ্তাহের মধ্যে ফের উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) পানিহাটিতে (Panihati) খুন। আগরপাড়ার (Agarpara) নয়াবস্তিতে কুপিয়ে খুন করা হয় এক যুবককে। এই খুনের ঘটনার ২ ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেফতার আততায়ী। পুলিশ (Cops) সূত্রে খবর, খুনের পাল্টা খুন। ১০ বছর পর বাবার খুনের বদলা নিল ছেলে।
আজ হোলির বিকেলে নয়াবস্তি এলাকায় রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় এক যুবকের দেহ। অভিযোগ, ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে, ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে খুন করা হয় মহম্মদ আরমান নামে ওই যুবককে।
কিন্তু কেন খুন হলেন ২৭ বছরের ওই যুবক? পুলিশ সূত্রে খবর, ২০১১ সালে কামারহাটিতে খুন হন শেখ উজির নামে এক ব্যক্তি। সেই ঘটনায় নাম জড়ায় মহম্মদ আরমানের। অভিযোগ, বাবার খুনের বদলা নিতে আরমানকে খুন করে শেখ বসির। তার সঙ্গী ছিল শেখ রমজান নামে একজন। খুনের ২ ঘণ্টার মধ্যেই দু’জনকে গ্রেফতার করেছে খড়দা থানার (Khardah Police Station) পুলিশ।
আরও পড়ুন বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে বেরিয়ে হাসপাতালে যুবক, বেঘোরে মৃত্যু, খুনের অভিযোগ পরিবারের
রবিবার পানিহাটির ৮ নম্বর ওয়ার্ডে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুন করা হয় তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্তকে। আর আজ বিকেলে পাশের ওয়ার্ড নয়াবস্তিতে খুন হলেন এক যুবক।
পুলিশ সূত্রে খবর, বেলঘরিয়া থানায় আরমানের বিরুদ্ধে ছিনতাই, তোলাবাজি-সহ ১৭টি অভিযোগ ছিল। ১৫ দিন আগে জেল থেকে ছাড়া পান কামারহাটির বাঁশবাগান এলাকার ওই বাসিন্দা।নিহতের পরিবারের অভিযোগ, ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয় আরমানকে।
নিহতের এক আত্মীয় দাবি করেছেন, ‘ডেকে নিয়ে গিয়েছিল। ও জেল থেকে ছাড়া পেয়ে বেরিয়ে এসেছে ১৫ দিন হল। এখানকার লোক সব দেখেছে, কিন্তু কেউ নাম বলছে না।’
স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, ‘আমি তো শুয়েছিলাম। খবর পেয়ে এসে দেখি। কোনও আওয়াজ শুনিনি।’
কাউন্সিলর খুনের এক সপ্তাহের মধ্যে ফের রক্তাক্ত হল পানিহাটি। এই নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা। সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, ‘তৃণমূল নেতার পাশের ওয়ার্ডে খুনের ঘটনা। বারুদের স্তূপের উপর দঁড়িয়ে বাংলা। হিংসা, গায়ের জোর, তোলাবাজি ক্রমশঃ বাড়ছে। তার পিছনে পুলিশ, রাজনৈতিক দলের ইন্ধন।’