Bangaon News: পুরভোট নিয়ে জরুরি বৈঠক, অথচ গরহাজির দুই নেতা, বনগাঁ বিজেপি-তে অসন্তোষের সুর
Bangaon News: বেশ কিছু দিন ধরেই দলীয় নেতৃত্বের মধ্যে মতবিরোধ চলছে। এর আগে দলীয় কার্যালয়ের ভাড়া নিয়েও ঝামেলা হয়।
সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: মতুয়া বিক্ষোভ (Matua Protest) সামাল দিতে এমনিতেই হিমশিম খাচ্ছে দল। এম পরিস্থিতিতে বনগাঁ (Bangaon) বিজেপি-র (BJP) পুরভোট (WB Municipal Polls 2022) নিয়ে প্রস্তুতি বৈঠকেও দেখা মিলল না সেখানকার বিধায়ক এবং জেলা নেতৃত্বের। তা নিয়ে গেরুয়া শিবিরে যেমন অস্বস্তি তৈরি হয়েছে, তেমনই আবার তৃণমূলের (TMC) তরফে তাদের দিকে কটাক্ষ ছুড়ে দেওয়া হচ্ছে।
সামনে পুরসভা নির্বাচন। তার আগে বুধবার গান্ধী পল্লীতে দলের পার্টি অফিসে ভোটের প্রস্তুতি নিয়ে জরুরি বৈঠক বসে। সেখানে ২২টি ওয়ার্ডকে দু’টি ভাগে বিভক্ত করে বনগাঁ উত্তর এবং দক্ষিণ পৌর মণ্ডলের বৈঠকে নানা বুথ থেকে কর্মীরা এলেও, বৈঠকে দেখা যায়নি বনগাঁ উত্তরের বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া এবং জেলা নেতা দেবদাস মণ্ডলকে।
বনগাঁ বিজেপি-র সাংগঠনিক জেলা সভাপতি রামপদ দাস যদিও বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তিনি বলেন, ‘‘বিধায়কের অনেক কাজ থাকে। হয়ত ব্যস্ত আছেন। হতে পারে সে জন্যই আসেননি।’’ দেবদাসকে বৈঠকে যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বলে জানান রামপদ। তবে দেবদাসের না আসার কারণ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি তিনি। এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে মন্তব্য করতে চাননি অশোক এবং দেবদাসও।
আর এই গোটা ঘটনায় বিজেপি-কে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। বনগাঁয় তৃণমূল জেলা সভানেত্রী আলোরানি সরকার বলেন, ‘‘ওরা আতঙ্কিত। প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছে না। তার জন্যই অশোক কীর্তনীয়া এবং জেলা নেতৃত্ব বৈঠকে উপস্থিত হননি । বনগাঁয় ওদের লোকজন নেই।’’
আরও পড়ুন: Samik Bhattacharya: 'ডায়মন্ড হারবার ছাড়া রাজ্যের অন্যান্য জেলায় টেস্ট কেন কম', প্রশ্ন শমীকের
রাজ্য কমিটিতে জায়গা না হওয়ায় সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপ ছাড়ার হিড়িক দেখা যায় বিজেপি-তে। শান্তনু ঠাকুর থেকে মতুয়া সম্প্রদায়ের একে একে অনেকেই দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে যান। সেই আবহে দলের কার্যালয়ের ভাড়া নিয়ে অশোকের সঙ্গে বিবাদ বাঁধে জেলা বিজেপি-র। দলীয় কার্যালয়ের চাবি অশোকের কাছেই থাকত। কিন্তু তা চাইতে গেলে তিনি চাবি দিতে অস্বীকার করেন বলে অভিযোগ ওঠে। ছ’নাসের ভাড়া বাকি রয়েছে, তা না মেটানো পর্যন্ত চাবি দেওয়া যাবে না, দলীয় কর্মীদের তিনি এমনটাই জানান বলে অভিযোগ।
নেতৃত্বের উপর ক্ষোভ থেকেই অশোক এমন আচরণ করছেন বলে সেই সময় অভিযোগ করেন স্থানীয় বিজেপি নেতা-কর্মীরা। অশোক যদিও দাবি করেন, যাবতীয় অভিযোগ মিথ্যা। তাঁর কাছে কার্যালয়ের চাবি নেই, তাই আটকে রাখার প্রশ্ন ওঠে না। অন্য দিকে, দেবদাসের সঙ্গেও জেলা নেতৃত্বের মতবিরোধ কয়েক মাস ধরেই। সাম্প্রতিক কালে বিজেপি-র একাধিক বৈঠক এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। তার জন্য শোকজও ধরানো হয় তাঁকে।