Samik Bhattacharya: 'ডায়মন্ড হারবার ছাড়া রাজ্যের অন্যান্য জেলায় টেস্ট কেন কম', প্রশ্ন শমীকের
এদিন একটি সাংবাদিক বৈঠকে শমীক ভট্টাচার্য রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, টেস্টের প্রকৃত পরিসংখ্যান সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরা হচ্ছে না।
কলকাতা: ৩০ শতাংশ টেস্টই হয়েছে শুধু ডায়মন্ড হারবারে (Diamond Harbour)। রাজ্যের অন্যান্য জেলায় টেস্ট এত কম হচ্ছে কেন? করোনা পরীক্ষা (Covid19 Test) নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিজেপি নেতা (BJP Leader) শমীক ভট্টাচার্য (Samik Bhattacharya)। এদিন একটি সাংবাদিক বৈঠকে শমীক ভট্টাচার্য রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, টেস্টের প্রকৃত পরিসংখ্যান সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরা হচ্ছে না। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, জলপাইগুড়িতে টেস্ট অত্যন্ত কম হয়েছে।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) ডায়মন্ড মডেল নিয়ে রাজনৈতিক তরজার শেষ নেই। বিতর্ক বিরোধী শিবির থেকে শুরু করে পৌঁছে গিয়েছে দলের অন্দরেও। অভিষেকের ডায়মন্ড মডেল নিয়ে রীতিমতো খোঁচা দিয়েছেন দলের বিধায়ক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পরিস্থিতিতেই ফের একবার তাঁর ডায়মন্ড হারবার মডেলের সাফল্য নিয়ে পোস্ট করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
করোনা মোকাবিলায় ডায়মন্ড-মডেলের সাফল্য তুলে ধরে ফের ফেসবুকে পোস্ট (Facebook Post) করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পোস্টে নিজের লোকসভা কেন্দ্রের সংক্রমণের হার সম্পর্কিত পরিসংখ্যান তুলে ধরে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ লিখেছেন, ' কোভিড পরিস্থিতিতে সব স্বাস্থ্য কর্মী, যে সমস্ত মানুষ সামনে থেকে লড়াই করেছেন এবং জেলা প্রশাসনের প্রত্যেককে অভিবাদন জানাচ্ছি। করোনা যোদ্ধাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। ডায়মন্ড হারবারবাসীকে ধন্যবাদ।'
গত ১৭ জানুয়ারি মডেলের সাফল্য নিয়ে ট্যুইট করেন অভিষেক। ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ পোস্টে লেখেন, ' আরও একবার করে দেখাল ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্র। গঙ্গাসাগর ও কলকাতার কাছাকাছি হওয়া সত্ত্বেও ডায়মন্ড হারবারে সংক্রমণের হার ৩ শতাংশের নীচে। এই যুদ্ধে লাগাতার সমর্থন ও সহযোগিতার জন্য ডায়মন্ড হারবারের মানুষকে ধন্যবাদ। ফেসবুক পোস্টে লেখেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। '
এর দিন দুয়ের আগেই , এই ডায়মন্ড মডেল নিয়েই তুঙ্গে ওঠে তরজা।
ডায়মন্ড হারবার মডেল নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যকে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গ বলে বিস্ফোরক দাবি করেন, তৃণমূলেরই আরেক সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়! তিনি বলেন, 'দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পদটি সর্বক্ষণের। তাই এই পদে থেকে কারও ব্যক্তিগত কোনও মত থাকতে পারে না। অনেক বিষয়ে আমারও ব্যক্তিগত মত আছে। দলীয় শৃঙ্খলার কারণেই তা প্রকাশ্যে বলা যায় না। এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধাচারণ। এভাবে রাজ্য সরকারকেই চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।'