
(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
North 24 Parganas News: নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপি-র আদর্শে বিশ্বাসী, পদ্মশিবিরে যোগ দিয়ে বললেন বাম নেতার পুত্রবধূ
North 24 Parganas News: বীজপুর কেন্দ্রের পাঁচ বারের বিধায়ক জগদীশ দাস। বামপন্থী নেতা হিসেবে যথেষ্ট পরিচিতিও রয়েছে তাঁর। সেই জগদীশ বাবুর পুত্রবধূ সোমা দাস সোমবার বিজেপি-তে যোগ দিলেন।

সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: সামনে বকেয়ার চার পৌরসভার নির্বাচন (WB Municipal Elections)। তার আগে বঙ্গ রাজনীতিতে ফের পালাবদল। এ বার বামপন্থী নেতার পুত্রবধূ বিজেপি-তে (BJP) যোগ দিলেন। একই সঙ্গে জানিয়ে দিলেন, নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) নেতৃত্ব পছন্দ তাঁর। নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপি-র আদর্শে বিশ্বাসী তিনি।
বীজপুর কেন্দ্রের পাঁচ বারের বিধায়ক জগদীশ দাস। বামপন্থী নেতা হিসেবে যথেষ্ট পরিচিতিও রয়েছে তাঁর। সেই জগদীশ বাবুর পুত্রবধূ সোমা দাস সোমবার বিজেপি-তে যোগ দিলেন। সোমবার সকালে জগদ্দলের মজদুর ভবনে তাঁকে পদ্মশিবিরে যোগদান করান ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংহ (Arjun Singh)।
এ দিনের ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্যারাকপুরে বিজেপি-র সভাপতি সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই বিজেপি-র পদ্মশোভিত পতাকা হাতে তুলে নেন সোমা। পালাবদলের কারণ জানতে চাইলে যুক্তি দেন, মোদির চিন্তাভাবনা, কাজের ধরন পছন্দ করেন তিনি। তাই বিজেপি-র হয়ে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: Purulia News: বাগানবাড়িতে জেলফেরত যুবকের রক্তাক্ত দেহ, খুনের অভিযোগ পরিবারের
কিন্তু স্বয়ং শ্বশুরমশাই এবং বাড়ির লোকজন যেখানে বামপন্থী আদর্শে বিশ্বাসী, সেখানে তিনি হঠাৎ বিজেপি-র দিকে ঝুঁকলেন কেন? সোমার জবাব, ‘‘আমার পরিবারের সকলে পামপন্থার সঙ্গে যুক্ত ঠিকই। কিন্তু আমি কোনও দিন রাজনীতি করিনি। বিজেপি-তে একটা সিস্টেম রয়েছে। বিজেপি এবং মোদিজির আদর্শে বিশ্বাসী আমি। আমি নিজে কখনও বামপন্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না।’’
সোমার দলে যোগ দেওয়া নিয়ে অর্জুনের বক্তব্য, ‘‘বামপন্থী পরিবার থেকে সোমাদেবী বিজেপি-তে যোগ দিলেন। এতে বীজপুরে দলের শক্তি বাড়ল অনেকটা।’’ সোমারও বিশ্বাস, আগামী দিনে বীজপুরে বিজেপি ঘুরে দাঁড়াবেই। আসন্ন পুরভোটে তিনি কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দলের কর্মীদের সঙ্গে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন।
তবে বামপন্থী পরিবারের সদস্যদের যে ভাবে দলে স্বাগত জানাচ্ছেন, তৃণমূল থেকে কেউ এলেও কি একই সমাদর পাবেন, জিজ্ঞেস করা হয় অর্জুনকে। জবাবে তিনি জানান, তৃমমূল থেকে টিকিট না পাওয়া বিদায়ী কাউন্সিলর অথবা কোনও নেতা বিজেপি-তে এলে দলের কর্মী হিসেবেই কাজ করতে হবে তাঁদের।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
