North Bengal Medical Case: দুর্নীতি থেকে হুমকির অভিযোগ, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে একাধিক ছাত্রকে বহিষ্কার
North Bengal Medical Students Expelled: উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ থেকে বহিষ্কার করা হল ৫ ছাত্র-ছাত্রীকে, আরএমও, ডিন, সহকারি ডিনকে পাঠানো হল ছুটিতে...
সনৎ ঝা ও বাচ্চু দাস,উত্তরবঙ্গ: দুর্নীতি থেকে হুমকির অভিযোগ, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে একাধিক ছাত্রকে বহিষ্কার। আরএমও, ডিন, সহকারি ডিনকে পাঠানো হল ছুটিতে। মেডিক্যাল কলেজ থেকে বহিষ্কার করা হল ৫ ছাত্র-ছাত্রীকে । ১জন ইন্টার্নের রেজিস্ট্রেশন বাতিল, ৩জনের রেজিস্ট্রেশন বাতিলের সুপারিশ। ধর্ষণের হুমকি, পরীক্ষায় ফেল করানো থেকে তোলাবাজির অভিযোগ। থ্রেট কালচারের অভিযোগে অভীক দে-র বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের।
আর জি কর-কাণ্ডের আবহে থ্রেট কালচারের অভিযোগ উঠেছিল উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজেও। আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের তীব্র বিক্ষোভের জেরে পদত্যাগও করেছিলেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্য়াল কলেজের ডিন এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিন। এবার অভিযুক্ত আধিকারিক, হাউস স্টাফ ও ইন্টার্ন সহ ১২ জনের বিরুদ্ধে একাধিক শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করল মেডিক্য়াল কলেজ কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে পদত্যাগী ডিন সন্দীপ সেনগুপ্ত, পদত্যাগী অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিন সুদীপ্ত শীল এবং নিউরো মেডিসিন বিভাগের রেসিডেন্ট মেডিক্যাল অফিসার (RMO) নীলাব্জ ঘোষকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। একইসঙ্গে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুপারিশ করা হচ্ছে স্বাস্থ্য ভবনে।
গত চৌঠা সেপ্টেম্বর উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে প্রবল ছাত্র বিক্ষোভের পর আন্দোলনকারীদের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি গড়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ। সোমবার এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠকে প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয় সেই কমিটি। তার ভিত্তিতে তিনজন হাউসস্টাফ শাহিন সরকার, সাহিনুল ইসলাম এবং ঋতুরম্ভ সরকারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। পাশাপাশি রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের কাছে তাঁদের লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশও করা হয়েছে। একইসঙ্গে বাতিল করে দেওয়া হয়েছে ইন্টার্ন সোহম মণ্ডলের রেজিস্ট্রেশন। এছাড়াও কলেজের প্রথম বর্ষের তিনজন পড়ুয়া জয় লাকড়া, ঐশী চক্রবর্তী, সৃজা কর্মকার এবং দ্বিতীয় বর্ষের দুই ছাত্র তীর্থঙ্কর রায় এবং অরিত্র রায়কে উত্তরবঙ্গ মেডিক্য়াল কলেজ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন, "মানুষের চেপে রাখা ক্ষোভ বেরিয়ে এসেছে", ইস্তফার পর প্রথমবার এবিপি আনন্দে আর কী বললেন জহর সরকার
আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তার সাহারিয়া আলম বলেন,'কলেজ কাউন্সিলের এই সিদ্ধান্তে আমরা খুশি। কিন্তু এখনও অনেকে আছে। বিভিন্নভাবে থ্রেট দিচ্ছে। আমরা বলতে চাই এদেরকেও ছাড়া হবে না। তারা যদি ফের এসব করে তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। টিএমসিপি ইউনিটকে আমাদের জীবন থেকে ত্যাগ করতে হবে।' শাহিন সরকারের বিরুদ্ধেই পড়ুয়াদের হুমকি এমনকী ধর্ষণের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।