North Bengal Medical College: পরীক্ষা হলে শাসক নেতা! সিসিটিভি ফুটেজ ঘিরে শোরগোল
West Bengal News: ডাক্তারির পোস্ট গ্রাজুয়েশনের পরীক্ষা চলছে। আর পরীক্ষা চলাকালীন হলের মধ্যে মোবাইল হাতে ঘোরাঘুরি করছেন তৃণমূলের চিকিৎসক সংগঠনের এক নেতা।
সন্দীপ সরকার, কলকাতা: উত্তরবঙ্গ মেডিক্য়াল কলেজে (North Bengal Medical College) ডাক্তারি পরীক্ষা চলাকালীন পরীক্ষার্থীদের সহযোগিতা করার অভিযোগ তৃণমূলের চিকিৎসক নেতার বিরুদ্ধে। পরীক্ষা হলের সিসিটিভি ফুটেজ ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে চিকিৎসক মহলে। যদিও ফুটেজের সত্য়তা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ। বিতর্কের মুখে সাফাই দিয়েছেন অভিযুক্ত চিকিৎসক নেতা।
ডাক্তারির পোস্ট গ্রাজুয়েশনের পরীক্ষা চলছে। আর পরীক্ষা চলাকালীন হলের মধ্যে মোবাইল হাতে ঘোরাঘুরি করছেন তৃণমূলের চিকিৎসক সংগঠনের এক নেতা। উত্তরবঙ্গ মেডিক্য়াল কলেজের পোস্ট গ্রাজুয়েশন পরীক্ষা হলের সিসিটিভি ফুটেজ ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে চিকিৎসক মহলে। যদিও সিসিটিভি ফুটেজের সত্য়তা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ। জানা গিয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজে যাঁকে মোবাইল হাতে দেখা যাচ্ছে তিনি অভীক দে। তৃণমূলের চিকিৎসক সংগঠনের নেতা ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের মেডিক্য়াল সেলের আহ্বায়ক।
অভিযোগ ২৬ মে উত্তরবঙ্গ মেডিক্য়াল কলেজের পোস্ট গ্রাজুয়েশনের পরীক্ষা চলাকালীন মোবাইল হাতে হলে ঢুকে পড়েন বর্ধমান মেডিক্য়াল কলেজের রেডিওলজি বিভাগের আরএমও অভীক দে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্য়াল কলেজের পরীক্ষা হলে তিনি কীভাবে ঢোকার অনুমতি পেলেন? পরীক্ষা হলে ঢুকে তিনি কী করছেন? ন্যাশনাল মেডিক্য়াল কমিশনের নিয়ম অনুয়ায়ী পরীক্ষকও হলে মোবাইল ফোন ব্য়বহার করতে পারেন না। তাহলে তৃণমূলের চিকিৎসক নেতা কীভাবে মোবাইল নিয়ে হলে ঢুকলেন? এনিয়েই দেখা দিয়েছে বিতর্ক। অ্য়াসোসিয়েশন অফ হেলথ সার্ভিস ডক্টরসের সাধারণ সম্পাদক মানস গুমটা বলেন, “১৩ জুন রাজ্য়পালের হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি দি। অভিযোগ করি ব্য়াপক টোকাটুকি চলছে।’’
যদিও বিতর্কের মুখে শাসক দলের চিকিৎসক নেতার দাবি, তাঁকে ডাক্তারি পোস্ট গ্রাজুয়েশন পরীক্ষার পর্যবেক্ষক করেছে রাজ্য় স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্য়ালয়। তবে মোবাইল ফোন নিয়ে হলের ঢোকার কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি। উল্টে এই ফুটেজ মিডিয়ার হাতে আসা নিয়ে দলের চিকিৎসক সংগঠনের নেতৃত্বের একাংশের দিকে আঙুল তুলেছেন তিনি।
রাজ্য় মেডিক্য়াল কাউন্সিলের ভোটে তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছিলেন অভীক দে। ফলে ভাইরাল সিসিটিভি ফুটেজ ঘিরে তুঙ্গে উঠেছে চাপানউতোর। বিজেপির চিকিৎসক নেতা ইন্দ্রনীল খাঁ বলেন, “শিক্ষা ব্য়বস্থায় দুর্নীতি দেখেছি। স্বাস্থ্য শিক্ষাকেও তৃণমূল ছাড়ছে না। তৃণমূল করা মানেই সবাই ডাক্তার হয়ে যাবে। ভাল পোস্টিং পাবে। রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি ঢুকে গেছে।’’ তৃণমূলের চিকিৎক নেতা কৌশিক বিশ্বাস বলেন, “উনি টুকলিতে সহযোগিতা করছেন অভিযোগ হতে পারে। তদন্ত সাপেক্ষ। কলেজ কর্তৃপক্ষ তদন্ত করবেন। অভিক দের কাছে সরকারি অর্ডার ছিল। আইনিভাবেই হলে প্রবেশের অধিকার পেয়েছিল। ফোনটা হয় তো ভুল বশত ওর সঙ্গে চলে গিয়েছিল। তৃণমূলের মেডিক্য়াল সেলের কোনও নেতা টোকাটুকিতে মদত দেবেন না।বিরোধীদের অপপ্রচার।’’
আরও পড়ুন: Dengue Update: হাসপাতালে রোগীদের ভিড়, দুই বর্ধমানে বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা