North Bengal Storm Update: পৌঁছয়নি পানীয় জল, খাবার! বঞ্চনার অভিযোগে সরব ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের একাংশ
Jalpaiguri Update: জলপাইগুড়ির ঝড়ের পর কেটে গিয়েছে ৩৬ ঘণ্টারও বেশি।
সন্দীপ সরকার, জলপাইগুড়ি: ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri Storm Update)। সময় যত গড়াচ্ছে, ততই দীর্ঘ হচ্ছে বঞ্চনার অভিযোগের তালিকা। প্রায় ২ দিন হতে চলেছে, এখনও বহু জায়গায় পৌঁছয়নি ত্রাণ। পানীয় জল নেই, খাবার অমিল, বিদ্যুৎহীন এলাকা। ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন ময়নাগুড়ির বার্নিশের বাসিন্দারা।
বঞ্চনার অভিযোগে সরব: ভয়াবহ ঝড়ে বিপর্যস্ত জীবন। কেউ নিজের স্বজনকে হারিয়েছেন, কেউ বা ঘর হারিয়েছেন। ঝড়ের সময়কার কথা বলতে গিয়ে এখনও শিউরে উঠছেন তাঁরা। রবিবার, দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ এই ঝড় আসে। কয়েক মিনিটের ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। স্থানীয়দের দাবি, জলপাইগুড়ির সেনপাড়া হয়ে তিস্তা নদী পার করে, ময়নাগুড়িতে যাওয়ার পর আরও ভয়ানক হয়ে ওঠে এই ঝড়। প্রায় ৩৬ ঘণ্টা কেটে গেলেও এখনও আতঙ্কের ছাপ স্থানীয়দের চোখেমুখে।
কী অভিযোগ?
আর এবার বঞ্চনার অভিযোগে সরব ক্ষতিগ্রস্তদের একাংশ। অভিযোগ, পরিবার চারজনের অথচ পেয়েছেন ৫০০ মিলিলিটারের দুটো জলের বোতল। বাড়ির নলকূপ গাছের তলায় চাপা পড়েছে। প্রশাসনের তরফে গাছ কাটার জন্য কেউ আসেনি। বার্নিশের বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, বড় রাস্তার ধারে যাদের বাড়ি ভেঙেছে, সমস্ত ত্রাণ তারাই পাচ্ছে। গ্রামের ভিতর ত্রাণ পৌঁছচ্ছে না বলে তাঁদের অভিযোগ।
রবিবার রাতেই ঝড়ে-বিধ্বস্ত জলপাইগুড়িতে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ প্রথমে আহতদের দেখতে হাসপাতালে যান। এরপর বার্নিশ গ্রামে ত্রাণ শিবিরে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী। ঝড়ের তাণ্ডবে এই গ্রামে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের পরিবারের সঙ্গেও কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর রাত ২টো নাগাদ চালসার উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। গতকালে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যান রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসও।
জলপাইগুড়িতে ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে প্রাণ হারিয়েছেন দ্বিজেন্দ্রনাথ সরকার ও যোগেন রায়। ৬১ বছরের দ্বিজেন্দ্রনারায়ণ আদতে কোচবিহারের চ্যাংড়াবান্ধার বাসিন্দা। জলপাইগুড়ি পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের সেনপাড়ায় দিদির বাড়ি বেড়াতে এসেছিলেন। দুপুরে সাইকেল নিয়ে বেরিয়েছিলেন। ঝড় ওঠায় প্রথমে বাড়ি থেকে দেড়শো মিটার দূরে গাছতলায় দাঁড়িয়েছিলেন। এরপর ঝড় শুরু হলে পাশের কালীমন্দিরে আশ্রয় নিতে যান। মন্দিরে ঢোকার সময় ওঁর ওপর ভেঙে পড়ে গাছের বড় ডাল। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দ্বিজেন্দ্রনারায়ণের।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: University of Gour Banga: গৌড়বঙ্গের উপাচার্যকে সরালেন রাজ্যপাল, কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ রাজ্যের