North Bengal University Crisis : প্রশাসনিক সঙ্কটের জের, হস্টেলের আবাসিকদের খাবার বন্ধের নোটিস দিল উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ
Food Crisis in University : নোটিসে লেখা রয়েছে, অর্থের অভাবেই এই সিদ্ধান্ত। আর এই নোটিস ঘিরেই সামনে এসেছে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনিক সঙ্কটের ছবি।
সনৎ ঝা, দার্জিলিং : উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে (North Bengal University) প্রশাসনিক সঙ্কটের জেরে হস্টেলের আবাসিকদের খাবার বন্ধের নোটিস দিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরে খাবার চালু হলেও উপাচার্য, ফিনান্স অফিসার ও রেজিস্ট্রার না থাকায় আগামীদিনে অচলাবস্থা তৈরি হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা।
অর্থের অভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিকদের খাবার বন্ধ
হস্টেলের আবাসিকদের খাবার মিলবে না। নোটিসে লেখা রয়েছে, অর্থের অভাবেই এই সিদ্ধান্ত। আর এই নোটিস ঘিরেই সামনে এসেছে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনিক সঙ্কটের ছবি। আবাসিকদের দাবি, মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নোটিস দিয়ে জানায়, আর্থিক সঙ্কটের কারণে বুধবার থেকে হস্টেলে খাবার মিলবে না। নোটিস পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। বিক্ষোভের জেরে কার্যত বন্ধ হয়ে যায় প্রশাসনিক কাজকর্ম। ওয়াচ অ্যান্ড ওয়ার্ড বিভাগে তালা ঝুলিয়ে দেন পড়ুয়ারা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, কর্মীরা মিলে খাবারের ব্যবস্থা করেন।
খাবার বন্ধের নোটিসে ক্ষুব্ধ আবাসিকরা জানিয়েছেন, নোটিসে বলা আছে আজ থেকে মেস বন্ধ। খাবার দিতে হবে এটা ন্যায্য দাবি। হস্টেলের ছেলেরা তালা লাগিয়ে দিয়েছে।
কী বলছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ
বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলের আবাসিকদের খাবার না দেওয়ার নোটিস দেওয়া হল কেন ? এর জন্য প্রশাসনিক সঙ্কটকে দায়ী করেছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যাপকরা। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সায়েন্স বিভাগের ডিন সুভাষচন্দ্র রায় বলেছেন, 'যেহেতু ৩টি পোস্ট খালি, উপাচার্য নেই। ফিনান্স অফিসার রিটায়ার করে গেছেন, রেজিস্ট্রার নেই, খাবারের ব্যবস্থা করতে পারিনি টাকার ক্রাইসিস ছিল।' পাশাপাশি উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্টসের ডিন রথীন বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশঙ্কা, 'ইলেকট্রিসিটি বিল অলরেডি ডিফল্টার হয়ে গেছে। প্রভিডেন্ট ফান্ড এই মাসে সেটা যাবে না। ইন্টারেস্ট পাবে না। স্যালারি বন্ধ হয়ে যাবে।'
হস্টেলে খাদ্যসঙ্কট আপাতত মিটলেও, প্রশাসনিক পদে অবিলম্বে নিয়োগ না হলে, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়কে আরও বড় রকমের বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন অধ্যাপকরা।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে (Presidency University) ৪ টিএমসিপি (TMC) নেতাকে 'শাস্তি' দেওয়া হয়। চলতি সিমেস্টারের জন্য ২ টিএমসিপি নেতা সাসপেন্ড (Suspend)। ৪ টিএমসিপি নেতার হস্টেলে ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা। পড়ুয়াদের হেনস্থা, বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তি নষ্টের অভিযোগে শাস্তি। তদন্ত কমিটির রিপোর্টের প্রেক্ষিতে পদক্ষেপ, দাবি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। বাম ছাত্র সংগঠনের চাপে পড়ে কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপ, পাল্টা টিএমসিপি।