North Dinajpur News: স্বচ্ছ ভারত মিশনের জন্য কোটি কোটি খরচই সার, পর্যাপ্ত শৌচাগার নেই উত্তর দিনাজপুরের এই বিদ্যালয়ে
এই স্কুলে চার হাজার ছাত্রী পড়াশুনো করে। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, প্রধান শিক্ষিকার উদ্যোগে ছাত্রী ও অভিভাবকদের কাছ থেকে চাঁদা তুলে আরও ২৮ টি শৌচাগার তৈরি করা হয়।
সুদীপ চক্রবর্তী, উত্তর দিনাজপুর: চোপড়া গার্লস স্কুলে (Chopra Girls School) নেই পর্যাপ্ত শৌচাগার (Toilet)। চাঁদা তুলে স্কুলে বাড়তি শৌচাগার তৈরি করায় প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। যদিও প্রধান শিক্ষিকার উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে পাশেই দাঁড়িয়েছেন অভিভাবকরা।
স্কুলে ছাত্রী সংখ্যা প্রায় ৪ হাজার। কিন্তু শৌচাগার মাত্র ৩টি। চাঁদা তুলে আরও শৌচালয় তৈরি করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেছিলেন প্রধান শিক্ষিকা।
কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। উত্তর দিনাজপুরের (North Dinajpur) চোপড়া গার্লস হাইস্কুলের এই ঘটনায় অসন্তোষ ছড়িয়েছে ছাত্রী ও অভিভাবকদের মধ্যে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এই স্কুলে চার হাজার ছাত্রী পড়াশুনো করে। কিন্তু, স্কুলে রয়েছে মাত্র তিনটি শৌচাগার। ছাত্রীদের অভিযোগ, সেগুলিও ব্যবহারের উপযোগী নয়। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, প্রধান শিক্ষিকার উদ্যোগে ছাত্রী ও অভিভাবকদের কাছ থেকে চাঁদা তুলে আরও ২৮ টি শৌচাগার তৈরি করা হয়।
চোপড়া গার্লস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মল্লিকা সাহা জানিয়েছেন, স্কুলে শৌচাগার নির্মানের জন্য জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক থেকে শুরু করে ইসলামপুর মহকুমাশাসক, উত্তর দিনাজপুর (North Dinajpur) জেলাশাসক এমনকি গ্রামপঞ্চায়েত থেকে এলাকার বিধায়ক ও সাংসদের দ্বারস্থ হয়েছিলাম। কিন্তু কেউ কোনও উদ্যোগ না নেওয়ায় শৌচাগারের সমস্যা বেড়েই চলছিল। এরপর স্কুলের পরিচালন সমিতি এবং অভিভাবকদের সাথে আলোচনা করে অভিভাবক এবং গ্রামের বাসিন্দাদের কাছ থেকে চাঁদা তুলে চোপড়া গার্লস হাইস্কুলের (Chopra Girls Highschool) শৌচাগার নির্মান।
কিন্তু প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া চাঁদা তুলে কেন শৌচাগার নির্মাণ করা হল? এই প্রশ্ন তুলে প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন ইসলামপুর মহকুমা প্রশাসন।
ইসলামপুরের মহকুমাশাসক সপ্তর্ষি নাগ, বিষয়টি শুনেছি। যেহেতু স্কুলের ভেতরে শৌচাগার নির্মানের বিষয় তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিডিও ও বিদ্যালয় পরিদর্শকে খতিয়ে দেখার জন্য বলা হয়েছে।
প্রশাসন তদন্তের নির্দেশ দিলেও প্রধান শিক্ষিকার এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন অভিভাবকরা।
চোপড়া গার্লস হাইস্কুলের এক অভিভাবকের কথায়, মহকুমা প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের কাছে স্কুলে শৌচাগার নির্মানের জন্য দরবার করা হলেও কোনও সুরাহা হয়নি। তাই আমরা নিজেরাই চাঁদা দিয়ে স্কুলে ২৮ টি শৌচাগার নির্মান করেছি। আর এখন শৌচাগার নির্মান হয়ে যাওয়ার পর প্রশাসন নিয়ম দেখাচ্ছে।
নির্মল বাংলা বা স্বচ্ছ ভারত মিশনের জন্য খরচ হচ্ছে কোটি কোটি টাকা! সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য দেওয়া হচ্ছে বিজ্ঞাপন! কিন্তু, স্কুলের ছাত্রীদের জন্য শৌচাগার তৈরি নিয়ে প্রশাসনের প্রশ্নের মুখে প্রধান শিক্ষিকা। ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা।