(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Chopra: চোপড়ায় অবৈধ চোলাই মদের দোকান ভাঙচুর, রাস্তা অবরোধ করে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ
North Dinajpur News: আজ রবিবার গ্রামের সব বাসিন্দারা মিলে সম্মিলিত হয়ে অবৈধ চোলাই মদের দোকানগুলো ভাঙচুর চালায়। এছাড়া মাঝিয়ালি-চোপড়া রাজ্য সড়ক অবরোধ করে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখায়।
সুদীপ চক্রবর্তী,চোপড়া: অবৈধ চোলাই মদের দোকান ভাঙচুর, রাস্তা অবরোধ করে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ। আর এই ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠল স্থানীয় এলাকা। ঘটনাটি ঘটেছে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর (North Dinajpur) জেলার চোপড়ার মাঝিয়ালী এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে খবর নিয়ে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই এই এলাকায় এমন অবৈধ কাজ কারবার চলছিল। চোলাই মদ তৈরি হত এলাকায়। বারবার স্থানীয় প্রশাসনকে বলেও কোনও কাজ দেয়নি। বিশেষ করে এই এলাকায় মহিলাদের ওপর অত্যাচারও বাড়তে থাকে এরপরই। স্থানীয় গ্রামের চা শ্রমিকরা চোলাই মদ খেয়ে তাঁদের স্ত্রী-দের মারধর করত। শুধু পারিবারিক অশান্তিই নয়। এলাকায় রাতে দুর্ঘটনার মাত্রাও বেড়ে গিয়েছিল।
এরপরই আজ রবিবার গ্রামের সব বাসিন্দারা মিলে সম্মিলিত হয়ে অবৈধ চোলাই মদের দোকানগুলো ভাঙচুর চালায়। এছাড়া মাঝিয়ালি-চোপড়া রাজ্য সড়ক অবরোধ করে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখায়। ঘটনায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছিল। সেই সময় স্থানীয় পুলিশ এসে অবরোধ মুক্ত করে এলাকা। এই ধরণের অসামাজিক কাজের সঙ্গে কারা কারা জড়িয়ে এলাকার, সেই বিষয়েও খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
এর আগে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আবগারি দফতরের থেকে চোলাই মদের দোকান ভেঙে দেওয়া ও চোলাই মদ নষ্ট করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বারবার। কয়েক মাস আগে এমন খবর এসেছিল যে মেদিনীপুরের নারায়ণগড় থানার পাথরঘাটা গ্রামে খালপাড়ে, দিনের পর দিন অবৈধ চোলাই মদ তৈরি করছিল কয়েকজন অসাধু ব্যবসায়ী। অভিযোগ ওঠে এমনটাই। সেখানে গিয়েই সেই মদের ঠেক গুঁড়িয়ে দিয়েছিল বেলদার আবগারি দফতর।
সেবার গোপন সূত্রে খবর পেয়েছিল বেলদা আবগারি দফতর। দীর্ঘদিন ধরেই সেখানে সাত নম্বর অঞ্চলে পাথরঘাটা গ্রামে অবৈধভাবে খাল পাড়ে চোলাই মদ তৈরি হচ্ছিল। আবগারি দফতরের তরফে অভিযানে নেমে আধিকারিকরা দেখতে পান যে সবাই চোলাই মদ তৈরি করছিল। সেদিন দফতরের আধিকারিকদের আসতে দেখে বেশ কয়েকজন ছুটে পালিয়ে যায়। এরপর ওই ঠেক, চুল্লি সমস্ত ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় আবগারি দফতরের কর্মীরা।
এই কলকাতা শহরেও পুরসভার তরফে এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বারবার। এমনকী শহরের সমস্ত হুক্কা বার বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা পুরসভা। মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেছিলেন, ''হুক্কা বারের আড়ালে নিষিদ্ধ মাদকের ব্যবহারের অভিযোগ আসছে। মাদকে আসক্ত হয়ে পড়ছে তরুণ প্রজন্ম।''