North Dinajpur: চোপড়া আধার প্রতারণায় ভিনরাজ্যের যোগ! গ্রেফতার ২
Aadhaar Fraud:তদন্তে নেমে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া ও ইসলামপুর থেকে ২ জনকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ।
আবির দত্ত, কলকাতা: আধার-প্রতারণার (Aadhaar Fraud) ঘটনায় এবার সামনে এল ভিনরাজ্যের যোগ। উত্তর দিনাজপুরের (North Dinajpur) পাশাপাশি, এবার বিহারের যোগও সামনে এসেছে। আধার জালের মাধ্যমে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে কলকাতা গোয়েন্দা পুলিশের জালে আরও দুই। তদন্তে নেমে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া ও ইসলামপুর থেকে ২ জনকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। পুলিশের দাবি, বায়োমেট্রিক-প্রতারণার অপারেশন চলছে চোপড়া ও লাগোয়া বিহারের আরারিয়া থেকে। এবার ব্যাঙ্ক প্রতারণা শিকার হয়েছেন বাগুইআটির এক বাসিন্দা। কলকাতায় শেক্সপিয়র থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। অভিযোগ, এইপিএস পদ্ধতি ব্যবহার করে ওই ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট থেকে ২৮ হাজার ৯০০ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া থেকে এক নাবালক ও একটি ব্যাঙ্কের কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্টের (Customer Service Point) মালিক-সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। উদ্ধার হয় প্রচুর মনিটর, ফিঙ্গার প্রিন্ট স্ক্যানার, ল্যাপটপ, পেন ড্রাইভ-সহ বেশ কিছু সরঞ্জাম। পুলিশের দাবি, চোপড়াজুড়ে প্রতারকরা জাল বিছিয়েছে। সেই তদন্তেই পুলিশ জানিয়েছে, ভিনরাজ্যের যোগ মিলেছে। ব্যাঙ্ক থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ২ জনকে। তদন্তে নেমে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া ও ইসলামপুর থেকে মোক্তার আলম ও রোশন আলি নামে ২ জনকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। পুলিশের দাবি, বায়োমেট্রিক-প্রতারণার গোটা অপারেশন চলছে চোপড়া ও লাগোয়া বিহারের আরারিয়া থেকে। ধৃতদের ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
সরকারি ওয়েবসাইট থেকে তথ্য-চুরি?
আধার প্রতারণা যখন মাথাব্যথা বাড়াচ্ছে। তখনই উদ্বেগ বৃদ্ধি করল আরও একটি আশঙ্কার খবর। পুলিশের দাবি, বিভিন্ন সরকারি ওয়েবসাইট (Government Website) থেকেই বায়োমেট্রিক (Biometric Data) তথ্য চুরি করছে প্রতারকরা। সরকারি ওয়েবসাইটেই মিলছে আধারের তথ্য ও আঙুলের ছাপ। জমি-বাড়ি-সম্পত্তির রেজিস্ট্রি সংক্রান্ত তথ্য সরকারি ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়। পাশাপাশি, প্রত্যন্ত গ্রামে গ্রাহকদের সুবিধার জন্য কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্ট রয়েছে বিভিন্ন ব্যাঙ্কের। যেখানে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে টাকা তোলা যায়। সেই সব কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্ট থেকেও ফিঙ্গার প্রিন্ট জোগাড় করছে প্রতারকরা। সেই তথ্য দিয়েই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গায়েব করে দিচ্ছে তারা। প্রয়োজনই পড়ছে না কোনও কার্ডের তথ্য, ওটিপি বা সিভিভি-এর। প্রতারকরা এখন সাহায্য নিচ্ছে Aadhaar Enabled Payment System বা AEPS-এর। পুলিশ সূত্রে দাবি, উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া কার্যত পরিণত হয়েছে আধার-প্রতারণার হাবে। এই পরিস্থিতিতে পাবলিক ডোমেনে থাকা তথ্য ও আধার নম্বর ‘মাস্কড’ করতে রাজ্যের অর্থ সচিবকে চিঠি দিয়েছে লালবাজার।
আরও পড়ুন: ফের প্রাণ কাড়ল ডেঙ্গি! এবার মৃত্যু দত্তাবাদে